জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মমুখী কোর্স চালুর তাগিদ উপাচার্যের

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হিসেবে দুই মেয়াদ কাটিয়ে বিদায়ের অপেক্ষায় থাকা অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ কর্মমুখী কোর্স চালুর তাগিদ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছেন। অবকাঠামোগত সম্প্রসারণ ছাড়াও নতুন-নতুন একাডেমিক কোর্স চালু করেছেন তিনি।

৪ মার্চ উপাচার্য হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শেষ কর্মদিবস কাটাবেন তিনি।

এর আগে সোমবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে দুই মেয়াদপূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসে হারুন-অর-রশিদ গত ৮ বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অগ্রগতি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন তৎপরতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে বিদায়ী উপাচার্য বলেন, “ভবিষ্যতে কলেজগুলোতে প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী ও টেকনিক্যাল বিষয়ে শর্ট কোর্স বা ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম চালুর কথা আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।”

গত ৮ বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেশনজট ও ইমেজ সংকটের চক্র থেকে বেরিয়ে এসেছে বলে মনে করেন তিনি।

“আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ম-নীতি, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে এসে নানা ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ‘শিক্ষা বোর্ডের’ ইমেজ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সমর্থ হয়েছি।”

নানা সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে হারুন-অর-রশিদ বলেন, “জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আজ একটি আইটিভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয়। শতকরা ৯৫ ভাগ কর্মকাণ্ড অনলাইনের মাধ্যমে সম্পাদন করা হয়ে থাকে। প্রশাসন ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।”

উপাচার্য জানান, বর্তমানে এক একর করে জমির ওপর তিনটি নিজস্ব স্থায়ী আঞ্চলিক কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। সারাদেশে অঞ্চলভিত্তিক আরো ছয়টি স্থায়ী আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। ক্যাম্পাসে আগে কোনো আবাসনের ব্যবস্থা না থাকলেও এখন পাঁচটি ভবন নির্মিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় চেষ্টার কমতি রাখেননি দাবি করে হারুন-অর-রশিদ বলেন, “জীবনের শ্রেষ্ঠ আটটি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়েছি। আমি খুশিমনেই এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নিচ্ছি।

“আমার ভেতর যেমন একটি সংবেদনশীল, মানবিক মন আছে; ঠিক অনুরূপভাবে আইন, নিয়ম-কানুন রক্ষার ক্ষেত্রে খুবই কঠিন। বিশেষ করে দুর্নীতির ক্ষেত্রে আমার অবস্থান ‘জিরো টলারেন্স’। অনেক দুর্নীতিবাজ, অন্যায়কারী আমার সময়ে যথোপযুক্ত শাস্তি পেয়েছে। আর যারা সৎ, নিষ্ঠাবান তাদেরকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয়েছে।”

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মশিউর রহমান, স্নাতকপূর্ব স্কুলের ডিন ড. নাসির উদ্দিন, কলেজ পরিদর্শক ড. মনিরুজ্জামান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বদরুজ্জামানসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা সেখানে ছিলেন।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply