৭ কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে শীঘ্রই জানানো হবে: পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক
করোনা কারণে পিছিয়ে পড়েছে দেশের সাত কলেজের সকল শিক্ষা কার্যক্রম। কয়েকমাস ধরেই বন্ধ রয়েছে ৭ কলেজ। এমন পরিস্থিতিতে ঢাবি অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে শীঘ্রই জানানো হবে বলে জানা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী এ সংক্রান্ত তথ্য জানান।
৭ কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে ঢাবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাহালুল হক চৌধুরী বলেন, সাত কলেজের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে বুধবারের সভায় কোন আলোচনা হয়নি। এখানে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিষয়েই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাত কলেজের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, শিগগিরই জানিয়ে দেওয়া হবে।
আরো পড়ুন- সাত কলেজের পরীক্ষা হবে ওএমআর পদ্ধতিতে
এর আগে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সব বিভাগ-অনুষদ ও ইনস্টিটিউটে স্বল্প সংখ্যক পরীক্ষা নেওয়া বাকি আছে, তাতে অবশিষ্ট পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তবে সেই সভায় অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে। পরীক্ষা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটি শুধুমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিভিন্ন বিভাগ-অনুষদ ও ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য।
সাত কলেজের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের সব কাজেই স্থবিরতা চলে এসেছে। শিক্ষাব্যবস্থায় এর প্রভাবটা তুলনামূলক বেশি। এটাকে কিছুটা কাটিয়ে উঠতে মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের করোনার মধ্যেও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের সাত কলেজ শিক্ষার্থীদেরও কিছু কিছু বিভাগে পরীক্ষা শুরু হয়ে করোনার কারণে আবার বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু বিভাগে ভাইভা বাকি আছে, যার কারণে তারা রেজাল্ট পাচ্ছে না। আমরা এসব বিষয়ে অবগত আছি। পর্যায়ক্রমে ঢাবির সঙ্গে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে আমরা কাজ করছি।
এদিকে করোনা পরবর্তীতে ঢাবি ৭ কলেজের পরীক্ষা হবে ওএমআর পদ্ধতিতে। করোনা পরবর্তী সময়ে দ্রুত ফল প্রকাশের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সকল পরীক্ষা ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) প্রফেসর আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকারী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, করোনা পরবর্তী পরীক্ষাগুলো ওএমআর পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। ওএমআর পদ্ধতি চালু হলে ফলাফল প্রকাশের সময় আগের চেয়ে দুই মাস কমে যাবে। খাতা দেখা শেষ হলে ১০-১৫ দিনের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে। ওএমআর পদ্ধতির খাতা ইতোমধ্যে আমরা কলেজে পেয়ে গেছি।