শিক্ষা খবরশিক্ষা নিউজ

এসএসসি পরীক্ষা আগামী ১০-১২ নভেম্বরের মধ্যে, ১৫ দিন আগে সময়সূচি (রুটিন

চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা আগামী ১০-১২ নভেম্বরের মধ্যে যেকোনো দিন শুরু করা হতে পারে। পরীক্ষা আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। পরীক্ষা শুরুর ১৫ দিন আগে সময়সূচি (রুটিন) প্রকাশ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষা আয়োজন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষার জন্য প্রশ্নপত্র ছাপার কাজ শেষ হয়েছে। চলতি সপ্তাহে প্রশ্নপত্র জেলা পর্যায়ে পাঠানো হবে।

সূত্রটি জানায়, আগামী ১০ থেকে ১২ নভেম্বরের যেকোনো দিন থেকে পরীক্ষা শুরু করতে চায় শিক্ষা বোর্ডগুলো। যেহেতু ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে, সেহেতু উল্লেখিত সময়ের মধ্যে এসএসসি পরীক্ষা শুরু করলে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে।

জানা গেছে, এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে সারাদেশে প্রায় ২২ লাখ শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেছে। তার মধ্যে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চার লাখ ৭৩ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা সমন্বয়ক বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক নেহাল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ১০, ১১ বা ১২ নভেম্বর থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরুর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ সময়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু করতে পারলে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে। পরীক্ষা শেষে পরবর্তী একমাস পর ফল প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চলতি সপ্তাহে পরীক্ষা শুরুর দিন চূড়ান্ত করা হবে।’

আরো পড়ুন- ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষা আয়োজন নিয়ে শঙ্কা

সাধারণত বছরের জুলাই মাসে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী আর অক্টোবরে নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হয়। আর দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী বা অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে এবং ডিসেম্বরে নির্বাচনী পরীক্ষা হয়। এরপর নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা হয়।

ইতোমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে। আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও হয়নি। একাদশ শ্রেণিতে কলেজ পর্যায়ে নেয়া বিভিন্ন ক্লাস টেস্ট আর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এসব শিক্ষার্থীকে ‘অটো পাস’ দেয়া হয়েছে।

প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। করোনাকালে সরাসরি পরীক্ষা বা ক্লাস টেস্ট নেয়ারও কোনো সুযোগ নেই। এ কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে শেষ করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরীক্ষা ও ক্লাস সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়া বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

এদিকে অটোপাসের দাবি তুলেছেন ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীরা। এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণায় এই দাবি আরও জোরেশোরে উঠেছে। অন্যদিকে এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে আগাম মন্তব্য করতে রাজি নয় বোর্ডগুলো। যেহেতু এসএসসি পরীক্ষার আরো ৩ মাসের বেশি সময়। সেজন্য এসএসসি পরীক্ষার বিষয়ে এখনই ভাবছে না শিক্ষাবোর্ডে গুলো।

আরো পড়ুন- অটোপাসের দাবি তুলেছেন এসএসসি পরীক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে হয়তো করোনা চলে যাবে, পরীক্ষার হলেও বসার পরিবেশ তৈরি হবে। কিন্তু গত প্রায় এক বছর ক্লাস করতে না পারায় যে ক্ষতি হয়েছে; সেটা কীভাবে পূরণ হবে? এই অবস্থায় পরীক্ষা না নিয়ে অটোপসাই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। কেননা তারাহুরো করতে গেলে শিক্ষার্থীদের উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ার সঙ্কা রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মতে, করোনার কারণে গত মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ফলে তখন থেকেই তাদের ক্লাস-পরীক্ষা সব থমকে যায়। এছাড়া রয়েছে কোচিং এবং প্রাইভেট বন্ধ থাকায় তারা দীর্ঘদিন ধরে পড়ালেখার বাইরে রয়েছে। ফলে নিজেদের পরীক্ষার জন্য সেভাবে প্রস্তত করতে পারেনি। এছাড়া এখনো তাদের মূল্যায়ন পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়নি। টেস্ট পরীক্ষার পর একজন পরীক্ষার্থী নিজেদের ঘাটতি সম্পর্কে জানে এবং নিজেকে প্রস্তুত করতে তিনমাস সময় পায়। তবে তাদের সেই সুযোগ এবার থাকছে না বলেই অভিমত তাদের।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply