সীমিত আকারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেব্রুয়ারি থেকে সীমিত আকারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) পাঠ্যপুস্তক বিতরণ-২০২১ ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন- নতুন শিক্ষাবর্ষে মেধার ভিত্তিতে শ্রেণি রোল নম্বর থাকছে না
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছরের এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির জন্য সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে ক্লাসরুমে বসিয়ে শিক্ষার্থীদের অসমাপ্ত সিলেবাস শেষ করে একটি প্রস্তুতিমূলক পরীক্ষা নেয়া হবে। তার মধ্যে এ দুই স্তরের পরীক্ষার্থীদের পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে আগামী বছরের জুনে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেয়া হবে। এরপর জুলাই-আগস্টে এইচএসসি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে ক্লাস বসিয়ে তা পড়ানো হবে।’
এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল নিয়ে কেউ অসন্তুষ্ট হবেন না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, করোনার কারণে এবার বিশেষ পরিস্থিতিতে ফলাফল দেয়া হচ্ছে। ফলাফল নিয়ে যদি কোনো শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হন তাহলে তিনি নিজ শিক্ষা বোর্ডে আবেদন করতে পারবেন। তবে আশা করছি রেজাল্ট নিয়ে কেউ অসন্তুষ্ট হবেন না।
বিশ্বব্যাপী করোনার ভাইরাস মহামারির কারণে গত ১ এপ্রিল থেকে নির্ধারিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা মহামারির কারণে নেয়া সম্ভব হয়নি। জানুয়ারি মাসে পরীক্ষার ফল ঘোষণা হওয়ার কথা।
এদিকে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোচিং সেন্টারের ছুটি আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। এসময়ে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্ডেন স্কুলগুলোও বন্ধ থাকছে।
আরো পড়ুন- ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় পরিবর্তন
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়তে থাকায় গত ১৭ মার্চ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সব অফিস-আদালত আর যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস খুলে যানবাহন চলাচল শুরু হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধই থাকে।