কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তির যোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ
সাতটি কৃষি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির যোগ্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুলাই) কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির যোগ্য প্রার্থীর তালিকা দেখুন এখানে।
আরো পড়ুন- সাত পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি
সাতটি সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। গুচ্ছ পরীক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী, সাত বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন হাজার ৪১৯টি আসনের বিপরীতে ১০ গুণ অর্থাৎ ৩৪ হাজার ১৯০ জন পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবে। ফলে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে লড়বে প্রায় ১০ জন ভর্তিচ্ছু।
এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান পরীক্ষার জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সমূহে প্রাপ্ত মোট নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম তৈরী করে আসন সংখ্যার ১০ গুন প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের জন্য বাছাই করা হয়েছে। যে সকল আবেদনকারীর মোট প্রাপ্ত নম্বর ১০৩৭ বা তার ঊর্ধ্বে , কেবল তারাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ পাবে। ওয়েবসাইটে লগইন করে নিজ নিজ ফলাফল জানা যাবে।
৭ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির যোগ্য প্রার্থীর তালিকা দেখতে ক্লিক করুন https://admission-agri.org/student_panel/applicant_login.php
যে সকল আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ পাচ্ছে না, তাদের প্রদত্ত মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি কর্তৃক টাকা ফেরৎ প্রদানের তারিখ নির্ধারণ করার পর সকলকে একসাথে ৭০০ টাকা করে ফেরৎ প্রদান করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ৩১/০৭/২০২১ এর পরিবর্তে ০৪/০৯/২০২১ নির্ধারণ করা হয়েছে।
ভর্তি বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, এবার সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসন সংখ্যা তিন হাজার ৪১৯টি। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক হাজার ১১৬টি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪টি, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫টি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১টি, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩টি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০টি আসন রয়েছে।
উল্লেখ্য গত ১০ জুন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য আবেদনের শেষ তারিখ ছিল। এ সময়সীমার মধ্যে আবেদন জমা পড়েছে ৮০ হাজার ৯৩৩টি। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ৩১ জুলাই থেকে পিছিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।