বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদের কাজ কি?
বঙ্গবন্ধু চেয়ার পদের কাজ কি? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম, রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে গবেষণা এবং তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ১৯৯৮ সালে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ প্রবর্তন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ‘বেগম জেবুন্নেসা এবং কাজী মাহবুবুল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্ট’র অর্থায়নে প্রথম এই পদটি প্রবর্তিত হয়। অধ্যাপক সমমর্যাদাসম্পন্ন বিশিষ্ট গবেষক এ চেয়ারে নিয়োগ পেয়ে থাকেন। সাধারণত বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, রাজনীতি, উন্নয়ন, অর্থনীতি, দর্শন প্রভৃতি বিষয়ে যাদের গবেষণাকর্ম রয়েছে তাঁরাই বঙ্গবন্ধু চেয়ারের জন্য নির্বাচিত হন। নিয়োগপ্রাপ্ত গবেষক অধ্যাপকের সমমান বেতনভাতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সুবিধা পান। এই পদটি এক বছর মেয়াদের হলেও ক্ষেত্রবিশেষে তা দুই বছর করার সুযোগ রয়েছে।
পদটি নিয়োগের নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে যিনি বঙ্গবন্ধু চেয়ারে বসবেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাঁর ২০ বছরের গবেষণাকাজ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে অন্তত ১০টি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হতে হবে। নিযুক্ত বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপককে যে দায়িত্ব পালন করতে হবে সেগুলো হলো– বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণা কর্মে উপদেশ প্রদান, বঙ্গবন্ধুবিষয়ক সেমিনার আয়োজনে নির্দেশনা দান, ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তব্য’ প্রদান, প্রশিক্ষণ পাঠ্যক্রম প্রণয়নে বঙ্গবন্ধুর জীবনদর্শন অন্তভুর্ক্তকরণ ইত্যাদি ।
শিক্ষার্থীদের মান উন্নয়নের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অবকাঠামো বাড়ছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এসি রুম, প্রজেক্টরে ক্লাস হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীদের গুণগত মান বাড়ছে না। আমাদের এখন কোয়ালিটির উপরে ফোকাস দিতে হবে। মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য ব্যাসিক নলেজের পাশাপাশি দক্ষতার উপরে দৃষ্টি বাড়াতে হবে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আয়োজিত এই ওয়েবিনারে উপাচার্য অধ্যাপক শেখ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইউজিসির চেয়ারম্যান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান এবং অতিথি হিসেবে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ উপস্থিত ছিলেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, যোগাযোগের জন্য ভাষা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে হবে। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা স্নাতক ডিগ্রি শেষ করার পর চাকরিতে সমস্যার সম্মুখীন হবে। আমাদের বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়ে অবস্থার পরিবর্তন করে এগিয়ে যেতে হবে। ফলে শিক্ষা কারিকুলাম রি-ডিজাইন করে ছাত্রছাত্রীদের চাকরির সুযোগ করে দিতে হবে।
ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ড. মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন ৪২তম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন উপ-কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহসান-উল-আম্বিয়া। এছাড়া কর্মচারী সমিতিার সভাপতি আব্রাহাম লিংকন, সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি আতিয়ার রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য শেখ আব্দুস সালাম বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির জনকের মুর্যাল, মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন স্থাপনা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন বলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কেবল পড়া লেখাই নয় শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতানোরও বিকাশ ঘটে।’
এদিকে ৪২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে দশটার দিকে প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ। পতাকা উত্তোলন শেষে শান্তি ও আনন্দের প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর প্রশাসন ভবনের পূর্ব পাশে দুইটি গাছের চারা রোপণ করে তিনি ৪২তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ৪২টি ফলজ ও বনজ গাছের চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, বিভিন্ন হল প্রভোস্ট, অফিস প্রধানগণ, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, শাপলা ফোরাম, ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বেলা ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সভা কক্ষে কেক কেটে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়। দুপুরে কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।