বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকার নিবন্ধন নতুন ওয়েবসাইটে
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে করোনা টিকার আওতায় আনতে একটি ওয়েবলিংক চালু করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ লিংকটি চালু করেছে ইউজিসি। যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা জন্মনিবন্ধন সনদ দিয়ে উক্ত ওয়েবসাইটে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।
আরো পড়ুন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভ্যাক্সিনের নিবন্ধনের নির্দেশ
এখনও যেসব শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধন করেননি, এ (https://univac.ugc.gov.bd/) লিংক ব্যবহার করে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। যাদের জন্মনিবন্ধন সনদ নেই, তাদের দ্রুত সনদ সংগ্রহ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন সনদ দিতে অনুরোধ করেছে ইউসিজি।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, কমিশনের লক্ষ্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা এ ওয়েবলিংকের মাধ্যমে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র আছে তারাও এ লিংক ব্যবহার করে সুরক্ষা অ্যাপের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। এ ওয়েবলিংকের মাধ্যমে টিকাগ্রহণকারী ও নিবন্ধনকারী শিক্ষার্থীর সঠিক সংখ্যা জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকার নিবন্ধনের তথ্য পাওয়ার পর স্বাস্থ্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করবে ইউজিসি।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আর যাদের এনআইডি নেই, তারা জন্মসনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে। আর যদি জন্মসনদ না থাকে তাহলে সেটি করে নেওয়া খুবই সহজ, কাজেই সেটি তারা করে নেবে। দুদিনের মধ্যে ইউজিসি থেকে একটি লিংক দেওয়া হবে। যে লিংকে তারা জন্মসনদ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে তারপর তারা সুরক্ষা অ্যাপে যেন রেজিস্ট্রেশন করে। তাদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিয়ে দেওয়া হবে।
এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের পর থেকে খুলতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন কাজ শেষ করা হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু ও আবাসিক হল খুলতে পারবে।