প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে প্রথম গুচ্ছের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী মে মাসে (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট)
প্রথম গুচ্ছের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট) ইতিমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। আর বাকি দুই গুচ্ছের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চলতি মাসেই প্রকাশ করার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছিলেন, ‘আগামী দুই সপ্তাহে আরও দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।’
কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রথম গুচ্ছের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী মে মাসে। জুনের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ শেষে আগস্টেই মৌখিক পরীক্ষা। এরপর সেপ্টেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে চায় ডিপিই। আর দ্বিতীয় গুচ্ছের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে আগস্টের মাঝামাঝি। আগস্টের মধ্যেই লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ শেষে অক্টোবরে হতে পারে মৌখিক পরীক্ষা। এরপর নভেম্বরে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে।
এ ছাড়া তৃতীয় গুচ্ছের লিখিত পরীক্ষা হতে পারে অক্টোবরে। নভেম্বরে ফল প্রকাশ শেষে আগামী বছরের জানুয়ারিতে শুরু হতে পারে মৌখিক পরীক্ষা। এরপর ফেব্রুয়ারিতে চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পরিকল্পনা করেছে ডিপিই।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে বিভাগ ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গুচ্ছভিত্তিক নিয়োগ হওয়ায় এবারই প্রথম সারা দেশে একযোগে নিয়োগ পরীক্ষা ও ফল প্রকাশ করা হবে না। মোট তিন গুচ্ছে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। আগামী মে মাসে প্রথম গুচ্ছের লিখিত পরীক্ষা দিয়ে শুরু হবে। আর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ সর্বশেষ গুচ্ছের চূড়ান্ত ফলাফল দিয়ে শেষ হবে এই প্রক্রিয়া।
সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) কর্মপরিকল্পনা-সংক্রান্ত নথি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের আট বিভাগকে মোট তিনটি গুচ্ছে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম গুচ্ছে রয়েছে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ। দ্বিতীয় গুচ্ছে খুলনা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগ। আর তৃতীয় গুচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ।
এখন পর্যন্ত নিয়োগের জন্য আট বিভাগের অনুমোদিত শূন্য পদের সংখ্যা ৭ হাজার ৪৬৩। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশির ঢাকা বিভাগে, ১ হাজার ৩৬৫ আর সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে, ৪১১টি। এ ছাড়া বরিশালে ৮৭১, রংপুরে ৯৮৮, খুলনায় ৯৪০, ময়মনসিংহে ৫৯৯, রাজশাহীতে ১ হাজার ৫৮ এবং চট্টগ্রামে ১ হাজার ২৩১টি। তবে শূন্য পদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ডিপিই সূত্র জানিয়েছে।