পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়সূচী ২০২২
Jute Research Institute Oral and Practical Exam Schedule 2022 পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়সূচী ২০২২ । বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) এর বিভিন্ন পদের মৌখিক ও ব্যবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পরীক্ষার সময়সূচী ২০২২। বিজেআরআই মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখঃ ১৯-২৯ নভেম্বর ২০২২। বিজেআরআই এর বিভিন্ন গ্রেডভূক্ত শূন্য পদে সরাসরি নিয়োগের নিমিত্ত মৌখিক ও ব্যবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পরীক্ষার সময়সূচী প্রার্থীদের অবহিতকরণ প্রসঙ্গে।
উপর্যুক্ত বিষয়ে বিজেআরআই এর বিভিন্ন গ্রেডভুক্ত শূন্য পদে সরাসরি নিয়োগের নিমিত্ত টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড এর মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে গত ২৯ অক্টোবর, ০৫ ও ১১ নভেম্বর, ২০২২ তারিখে প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। সে মোতাবেক মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। নির্বাচিত প্রার্থীদের মৌখিক ও ব্যবহারিক (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পরীক্ষা বর্ণিত সময়সূচী অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা মহামারির কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন দেশের চাকরি প্রত্যাশীরা। কেননা করোনার কারণে তাদের চাকরি পাওয়ার সুযোগ ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ২০১৮ সালে মার্স্টার্স করছেন তানজিলা আক্তার। এরপর থেকেই তিনি সরকারি চাকরির চেষ্টা করে চলেছেন।বহু জায়গায় আবেদনও করেছেন। আশা করছিলেন, এই বছর একটা ভালো চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তার সেই স্বপ্ন থমকে গেছে।
কেননা এখন মহামারির কারণে সবকিছুই থমকে গেছে। কোনও সার্কুলার নাই, কোন চাকরির পরীক্ষা নেই। এই মহামারি কবে শেষ হবে, কবে আবার চাকরির প্রক্রিয়া শুরু হবে, তা অনিশ্চিত।
তিনি বিবিসি বাংলাকে জানান, তার বাবা মায়ের বয়স হয়েছে, এখন তার পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার কথা। কিন্তু এই মহামারির কারণে তিনি সেটা করতে পারছেন না।
আরেক চাকরি প্রত্যাশী ফারিয়া আজাদ সমাজকর্মে পড়াশোনা শেষ করেছেন ২০১৭ সালে। গত কয়েকবছর ধরেই তিনি সরকারি চাকরির চেষ্টা করছেন।
ফারিয়া বলেন,‘আমি শুধু সরকারি চাকরির জন্যই অনেক বছর ধরে চেষ্টা করছি। এ বছর ৪১তম বিসিএসের পরীক্ষা হবে ভাবছিলাম। করোনার কারণে সব আটকে গেল। এদিকে চাকরির বয়সও শেষ হতে চলেছে। মেয়ে হিসাবে পারিবারিকভাবে বিয়ে-শাদির চাপও আছে। সব কিছু মিলিয়ে একটা মানসিক চাপের মধ্যে, হতাশার থাকতে হচ্ছে।’
বাংলাদেশে বেকার
পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ ২০১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী ৬ কোটি ৩৫ লাখ। এর মধ্যে কাজ করেন ৬ কোটি ৮ লাখ নারী-পুরুষ। অন্যদিকে ২৭ লাখ বেকার।
আর সম্ভাবনাময় কিন্তু সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজের সুযোগ পান না এরকম (লেবার আন্ডার ইউটিলাইজেশন) মানুষ রয়েছেন প্রায় ৬৬ লাখ। এরা চাহিদা মাফিক কাজ না পেয়ে টিউশনি, রাইড শেয়ারিং, বিক্রয় কর্মী ইত্যাদি খণ্ডকালীন কাজ করেন।
বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ৪.২ শতাংশ হলেও যুব বেকারত্বের হার ১১.৬ শতাংশ। করোনাভাইরাসের কারণে এই জুন নাগাদ সেটি কয়েকগুণে বেড়ে গেছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাস সংকটে বিশ্বে প্রতি ছয়জনের একজন বেকার হয়েছে। আর বাংলাদেশের প্রতি চারজন যুবকের একজন বেকার (২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ)। ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই বেকারত্ব বাড়ছে।
আইএলও বলছে, মহামারিতে তারা তিনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একদিকে বেকার, সেই সঙ্গে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণও ব্যাহত হচ্ছে তাদের। এতে তাদের চাকরিতে প্রবেশ ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটছে।
আইএলও-র সংজ্ঞা অনুযায়ী, সপ্তাহে একদিন বা এক ঘণ্টা কাজের সুযোগ না পেলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হয়। সেই হিসাবে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই সংখ্যা বাস্তবে অনেক বেশি।