নাক ডাকা বন্ধের উপায় ও ঔষধ
চিকিত্সকেরা বলছেন, নাক ডাকা অন্য অনেক স্বাস্থ্যসমস্যার পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ এমনকি স্ট্রোকের ঝুঁকির আলামতও হতে পারে। লন্ডনের দ্য প্রাইভেট ক্লিনিকের নাক-কান-গলারোগ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ শল্য চিকিত্সক নাক ডাকার কারণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে জানিয়েছেন।
নাক ডাকা বন্ধের উপায়
শোয়ার ভঙ্গি বদলান
কাত হয়ে ঘুমালে নাক ডাকার সমস্যা কমে যেতে পারে। চিত হয়ে ঘুমালে গলার গলার পেশি শিথিল থাকে তাই নাক ডাকার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই যাদের চিত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস তারা কাত হয়ে ঘুমিয়ে দেখতে পারেন নাক ডাকার পরিমাণ কমে যায় কিনা।
ধূমপান ছাড়তে হবে
ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করতে হবে। ধূমপানের ফলে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা হ্রাস পায়। যার জন্যে বাতাস বের হবার পথ সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে অনেকেই নাক ডাকতে পারেন।
মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
পাকস্থলিতে বেশি মাত্রায় এ্যাসিডিটির সাথে নাক ডাকার সম্পর্ক আছে। মসলাযুক্ত খাবার বেশি খেলে এ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেয়। তাই কম মসলার খাবার খেয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন নাক ডাকার পরিমাণ কমে কিনা।
অতিরিক্ত ওজন কমান
যাদের ওজন বেশি তাদের উচিৎ ওজন কমানো। বেশি ওজনের কারণে গলার পথ সরু হয়ে যেতে পারে। যার ফলে শ্বাস নেবার সময় ঘর্ষণের কারণে শব্দ হয়। তাই যাদের ওজন বেশি শরীর স্থূল তাদের ওজন কমানোর উচিত।
শরীরচর্চা
নিয়মিত শরীরচর্চায় রক্তের চলাচল ও হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বাড়ায়। আর এতে করে ঘুমও ভালো হয়। এই কারণে নাক ডাকা কমাতে হলে প্রতিদিন শরীরচর্চার অভ্যাস করা জরুরি।
বিছানা পরিষ্কার রাখুন
ঘরে বিছানায় বেশি ধুলাবালি থাকলে শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা হয় অনেকের। নাকের নালিতে ধুলা সংক্রমিত হয়ে নাকের পেশি ফুলে উঠতে পারে। এ কারণে নাক ডাকার শব্দ হতে পারে। তাই বিছানা ও ঘর ভালো মত পরিষ্কার রাখা দরকার।
জৈবিক কারণ খুঁজুন
নাকের নালিতে পুরু নরম প্রলেপ থাকা, অন্য কোনো কারণে নাকের নালি আংশিক সংকুচিত থাকা এবং জিহ্বার পেছনে বায়ুপথ সংকুচিত থাকা এই তিনটি জৈবিক কারণ নাক ডাকার উৎস হতে পারে। ঠিক কোনটি নাক ডাকার কারণ তা জানার জন্যে একজন নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে পরামর্শ নিন।
দুশ্চিন্তা কমান
অতিরিক্ত কাজের চাপ কমাতে হবে। ঘুমাতে যাবার সময় দুশ্চিন্তা কমিয়ে ফেলতে হবে। এতে ভালো কাজ দিতে পারে। তাই শোয়ার আগে এমন কিছু করুন যেন সব ধরণের দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে সুন্দর একটা ঘুম দিতে পারেন।
নাক না গলা জেনে নিন
আপনি নাক দিয়ে শব্দটা করছেন, নাকি গলা দিয়ে—সেটা আগে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। অনেকের ক্ষেত্রে আবার দুটাই একসঙ্গে হতে পারে। তবে নাক বা গলার যেকোনো একটায় সমস্যা থাকলে নিশ্চিন্তে আপনি নাকের ড্রপ বা গলার স্প্রে—যেকোনো একটা বাদ দিয়ে দিতে পারেন।
স্থায়ী সমাধান
যদি এই নাক ডাকার শব্দের কারণে খুব বেশি ঝামেলার দেখা দেয় বা মাত্রা ছাড়া হয় তাহলে আপনার উচিত এটার স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটা। একজন নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ সার্জনের কাছে যান। এখন অনেক আধুনিক চিকিৎসা দিয়ে এই সমস্যা দূর করা সম্ভব। লেজার রশ্মির মাধ্যমে নাকের ও জিহ্বার পেছনের শ্বাসনালির সংকুচিত অবস্থা দূর করা যায়। এই অপারেশন খুব বেশি সময়সাপেক্ষও নয়।
ভালো ও গভীর ঘুম হলে নাক ডাকার সমস্যাও কমে যায়। পর্যাপ্ত ঘুম ছাড়া দীর্ঘ সময় কাজ করা ও অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে যখন কেউ ঘুমিয়ে পড়ে; তখন মুখে ও গলার পেশীগুলো ফ্লপপিয়ার হয়ে যায়। যা নাক ডাকার সৃষ্টি করে।
সবসময় হাইড্রেট থাকতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। এতে নাক ডাকার পরিমাণ কমবে। শরীর ডিহাইড্রেশনের শিকার হলে নাক ডাকার পরিমাণ বাড়ে। ইনস্টিটিউট অব মেডিসিনের মতে, সুস্থ নারীদের প্রতিদিন ১১ কাপ এবং পুরুষদের ১৬ কাপ পানি পান করা উচিত।
চিকিত্সাবিজ্ঞান অনুসারে নাক ডাকার তিনটি প্রধান জৈবিক কারণ আছে। নাকের নালিতে পুরু নরম প্রলেপ থাকা, অন্য কোনো কারণে নাকের নালি আংশিক সংকুচিত থাকা এবং জিহ্বার পেছনে বায়ুপথ সংকুচিত থাকা। আসল কারণ খুঁজে বের করতে না পারলে এ থেকে নিস্তার পাবেন না। একজন সাধারণ চিকিত্সক যদি এ বিষয়ে সাহায্য করতে না পারেন, তাহলে নাক-কান-গলারোগ বিশেষজ্ঞ দেখিয়ে পরামর্শ নিন।
নাক না গলা জেনে নিন
আপনি নাক দিয়ে শব্দটা করছেন, নাকি গলা দিয়ে—সেটা আগে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। অনেকের ক্ষেত্রে আবার দুটাই একসঙ্গে হতে পারে। তবে নাক বা গলার যেকোনো একটায় সমস্যা থাকলে নিশ্চিন্তে আপনি নাকের ড্রপ বা গলার স্প্রে—যেকোনো একটা বাদ দিয়ে দিতে পারেন।
নাক ডাকা বন্ধ করার ঔষধ
নাক ডাকা বন্ধ করার ব্যায়াম
নাক ডাকা বন্ধ করার উপায় কি
নাক ডাকা বন্ধ করার হোমিওপ্যাথি ঔষধ
নাক ডাকা বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
নাক ডাকা বন্ধ করার দোয়া
নাক ডাকা বন্ধ করার মেশিন
নাক ডাকার ইংরেজি কি -Snoring