শিক্ষা খবর

স্বাধীনতা পদক পাওয়া কে এই মো. আমির হামজা

দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার স্বাধীনতা পদক পাওয়া মো. আমির হামজা কে- তা নিয়ে আলোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সাহিত্য অঙ্গন সংশ্নিষ্টদের বিস্ময়ভরা জিজ্ঞাসা, স্বাধীনতা পদক পাওয়া কে এই মো. আমির হামজা

খোঁজ করে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হামজা ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি মারা গেছেন। ২০১৭ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘বাঘের থাবা’ প্রকাশিত হয়। এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ৩৫ টি কবিতা এবং ৩৬টি গান আছে। ২০২১ সালে প্রকাশিত হয় গীতিকাব্যগ্রন্থ ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’। গানগুলো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে লেখা। একুশের পাঁচালী নামে প্রকাশিত আরেকটি বই প্রকাশিত হয়।

অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion

 

আমির হামজার জন্য মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের বরিশাট গ্রামে ১৯৩১ সালের ৩ মে। তার বাবা ইমারত সরদার। মা আবিরণ নেছা। শৈশবে বাবাকে হারানোর কারণে কারণে লেখাপড়া বেশিদূর করতে পারেননি। ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়েছেন। কবিতা লিখতেন। নিজের লেখা সুর করতেন। কবিগান, পালাগানের মঞ্চে নিজেই গাইতেন। স্থানীয় আকবর বাহিনীর অধিনায়ক আকবর হোসেন মিয়ার অধীনে আমির হামজা সরসারি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন।

 

আমির হামজার ১০ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয়জন মো. আছাদুজ্জামান। ২৪তম বিসিএসের প্রশাসন ক্যাডারের এই কর্মকর্ত খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনিই বাবার হয়ে স্বাধীনতা পদকের জন্য আবেদন করেছিলেন। যাতে সুপারিশ করেছিলেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। আছাদুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এককভাবে কবি আমির হামজার মত এত গান ও কবিতা আর কেউ লিখেননি। তার স্বীকৃতি হিসেবে তিনি মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।

 

আমির হামজা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতায় লিখেছেন, ‘‘যে ক্ষতি পারোনা তুমি করিতে পূরণ/কেন সেই মহাপ্রাণ করিলে হনন।/কারে নিয়ে বল আজ কবিতা লিখি/একটি মুজিব এনে দাও তো দেখি।’

 

শেখ হাসিনা নিয়ে কবিতায় তিনি লিখেছেন, ‘আবারো ভাসিছে আযানের ধ্বনি/ শেখ হাসিনার আহ্বান/ ক্লান্ত শ্রমিক, মাঝিরা, চাষিরা/ফিরিয়া পেয়েছে প্রাণ/ সে যে শেখ হাসিনার আহ্বান/শত বাহুতুলে হাসিছে শাপলা বাংলার সরোবরে।’

 

স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্তদের প্রত্যেকে ১৮ ক্যারেট সোনার ৫০ গ্রাম ওজনের পদক এবং পাঁচ লাখ টাকা করে পাবেন। জাতীয় পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৭ সাল থেকে এই পদক দিচ্ছে সরকার।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply