পরীক্ষা খবরসাধারন এবং অন্যান্য

এয়ারটেল ইমু প্যাক ২০২৪ Airtel Imo Package

এয়ারটেল ইমু প্যাক ২০২৪ Airtel Imo Package মোবাইল ফোনের ডায়াল অপশনে সরাসরি * 3# বা * 8444# ডায়াল ।

একনজরে এই পোষ্টে কি কি থাকছে দেখে নিন

এয়ারটেল ইমু প্যাক ২০২৪ Airtel Imo Package

এয়ারটেল ইমু প্যাক ২০২৪ Airtel Imo Package মোবাইল ফোনের ডায়াল অপশনে সরাসরি * 3# বা * 8444# ডায়াল ।

স্মার্ট ছেলেদের পিক ২০২৪ HD পাঞ্জাবি পরে ছেলেদের ছবি তোলার স্টাইল Download
সকল স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সরকারের সিদ্ধান্ত মােতাবেক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘােষণা করা হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিতব্য সকল পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। স্থগিত এ সকল পরীক্ষার সংশােধিত তারিখ ও সময় সংশ্লিষ্ট সকলকে পরবর্তীতে জানানাে হবে।

আরো পড়ুন-

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সকল পরীক্ষা স্থগিত

পরীক্ষা স্থগিত করার প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা। টিকা দেয়ার পরেও পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্তে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। চলমান পরীক্ষাগুলো শেষ করার দাবি জানিয়েছেন। এমন সিদ্ধান্তে অনেক শিক্ষার্থীকে ফেসবুকে নানা রকম ক্ষোভের স্ট্যাস্টাস, হ্যাশট্যাগ দিতে দেখা গেছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, অনার্স ৪র্থ বর্ষের সামনে আর মাত্র ১ টা পরীক্ষা কারো কারো হয়তো ২ টা আছে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের ৪র্থ বর্ষের চলমান পরীক্ষা যেখানে একটি কারো দুইটি বাকী আছে সেইটা তো চলমান রাখা যেত? কারণ একটা পরীক্ষার রুমে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব।। কারণ যেকোন, সামাজিক, অনুষ্টানে যদি ১০০ জন জনসমাগম সম্ভব হয় তাহলে একটা রুমে কেন ৪০ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবেন না? দয়া করে আমাদের ৪র্থ বর্ষের চলমান পরীক্ষা টা শেষ করার ব্যবস্থা করেন। সেই সাথে ২য় ও ৩য় বর্ষের পরীক্ষা গুলো ও নেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

নাজিম বিশ্বাস নামে চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, স্বাস্থবিধি মেনে ১৬-১৭ সেশনের চতুর্থ বর্ষের স্থগিত পরিক্ষা গুলো নেওয়া হোক। এভাবে আর কত আমাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন। একই বর্ষে তিনটি বছর ধরে। করোনার সংক্রমন কী শুধু স্কুল, কলেজে?? আর কোনে জায়গায় নাই?? আপনাদের প্রতিহিংসার শিকার কী শুধু আমরাই? আপনাদের সকল কার্যক্রম ঠিক থাকবে। তাহলে আমাদের পরিক্ষা কেন বন্ধ থাকবে?? দয়া করে, কঠোর স্বাস্থবিধি মেনে, আমাদের পরিক্ষা গুলো নেওয়া হোক।

রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যানের ছাত্রী রুহানা তাসকিয়া জানান, সব কলেজ একসাথে করে শুধু পরীক্ষাটা নিলেই হয়। প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব তো নিজদেরই দিয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চাইলে চলমান পরীক্ষাগুলো নিতে পারে।অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান পরীক্ষা চলবেই।

জান্নাতুল নাইমা নামে এক শিক্ষার্থী জানান, পরিস্থিতি কোনদিকে অস্বাভাবিক?? আর ৩টা পরীক্ষা না হলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে?? কেনো শিক্ষার্থীদের এত কষ্ট দিচ্ছে এরা, পরিস্থিতি শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই?? বাইরে বের হলে ত সবাই সবার মতো।

আশরাফুল আলম হৃদয় নামে এক শিক্ষার্থী জানান, যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলা, বই মেলা চলে,যানবাহন চালু, সকল উৎসব-অনুষ্ঠান হয়, আমাদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ৭ দিন খোলা রেখে আমাদের পরিক্ষা শেষ করতে দিলেন না। আমাদের প্রতি এই বৈষম্য কেনো? আমাদের জীবনটা শেষ করে দিচ্ছেন।

সায়েম হাসান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিলুপ্ত ঘোষনা করে দেন, এভাবে ৩ বছর ধরে ঝুলে রাখসেন আমাদের চাকুরির বয়স তো আর বসে থাকবে না, বিষ আইনা দেন এই ৩০ লাখ পোলাপান একবারে আত্নহত্যা করুক, কারন নাতো আমাদের পরিবারের ওই ক্ষমতা আছে আমাদের প্রাইভেটে পড়াবে আর না তো চাকুরি আছে যারা আমাদের স্নাতক ছাড়া চাকুরি দিবে! সরকারি চাকুরি যে করবো সেখানেও এটা সম্ভব না এখন আমাদের মেরে ফেলেন নয়তো রুটিনের পরীক্ষা গুলা নেন এইটাই সব থেকে বড় সমাধান!

রাজশাহী কলেজে পরিসংখ্যান নিয়ে পড়া তৃতীয় বর্ষের আরেক শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, এতোদিনে মাস্টার্স শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। অথচ আমি যেখানে ছিলাম সেখানে পড়ে আছি। এভাবে আর কতোদিন? মাঝে মাঝে হতাশায় পড়ে যাই। পড়াশোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। আমাদের দিকটা সরকারের দেখা উচিত। আমাদের কোন না কোন ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে।

মদিনা আক্তার নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, কখনো ভাবতে পারিনি চার বছর এত দীর্ঘ হবে। সেশনজট নিয়ে এর আগে অনেক গল্প শুনতাম। এখন দেখছি নিজের গল্পটা আরো বড়। আঠারো মাস পর অনার্স জীবনটা শেষ করার সুযোগ পেয়েছি কেবল সে মুহুর্তে এসে শেষ হতে হতেও আর হলো না।

আকাশ চন্দ্র দাস নামের এক শিক্ষার্থী জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে সাময়িক সময়ের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পরীক্ষা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এটা রীতিমতো শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের খামখেয়ালি। ওনারা ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিচ্ছে। সামাজিক দুরত্ব মেনে বানিজ্য মেলা চলতে পারে, যে কোনো অনুষ্ঠান ১০০জন নিয়ে করা যেতে পারে, তাহলে সামাজিক দুরত্ব মেনে প্রতিটা পরীক্ষার হলে ২০-৩০ জন স্টুডেন্ট নিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যাবে নাহ কেনো?

লাকী আক্তার নামে এক অভিবাবকের মেয়ে নোয়াখালী সরকারী কলেজে অনার্স চতুর্থ বর্ষে পড়ালেখা করছেন।তিনি বলেন, যেভাবে সময় নষ্ট হয়েছে সেটা আর পূরণ করা কোন মতেই সম্ভব নয়। তারপরও আশা করেছিলাম এবার মেয়ের অনার্সটা শেষ হবে। মেস ভাড়া, অনান্য খরচ বহন করতে করতে অতিষ্ট হয়ে গেলাম। কিন্তু, আর দুই-তিনটা পরীক্ষা কেবল বাকি এ অবস্থায় সরকার বন্ধ করে দিল।

ফয়সাল আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর পরীক্ষা নেওয়া শেষ! এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা স্থগিত করে বসে আছে। ফাইজলামির একটা লিমিট থাকা দরকার ভাই।
১৯ শেষ। ২০ শেষ। ২১ শেষ।এখন ২২ ও শেষ করবে।
গত ৩ বছর যাবৎ ১ম বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার সক্ষমতা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে উঠলো না! বয়স বাড়ছে,সময়ও যাচ্ছে এসবের দায় ভার নিবে কে?
৬-৭ বছর যদি আমাদের ডিগ্রি শেষ করতে লেগে যায় এরপরে গিয়ে আমাদের আদৌ কিছু করতে পারার সম্ভবনা আছে? কি করবো আমরা? কোথায় যাব? কি করা উচিৎ আমাদের? জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এত্তগুলো ছেলে-মেয়ের জীবন থামিয়ে দেওয়ার অধিকার পায় কই?
আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা খুবিই অসহায় হয়ে পড়েছি!
আমরা না পারছি বাঁচতে,না পারছি মরতে।

আবুল কাওসার নামের এক শিক্ষার্থী জানান, ভাই আর ভালোলাগে না এসব। ২০১৯,২০,২১,২২ সাল ঠিক একই যায়গায় তৃতীয় বর্ষে আছি।আমাদের এই চার বছরে অর্নাস শেষ করার কথা।প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকান,পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকার তারা কিন্তু ঠিক সময়ে বেরিয়ে গেছে।আমার অনেক ছোট ভাই আছে যারা পাবলিকে পড়ে এখন আমার সাথে চলে আসছে।

অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদরা বাকি যে কয়েকটি কোর্সের পরীক্ষা থেকে গেছে সেগুলোর জন্য আরও আরও কয়েকটি দিন সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আবেদন জানানিয়েছে। কেউ কেউ অন্তত পক্ষে চলমান পরীক্ষাগুলো শেষ করার দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০ সালের অনার্স ৪র্থ বর্ষ পরীক্ষা চলমান রয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ থেকে শুরু হয়ে আগামী ০৬ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এদিকে ডিগ্রি ১ম বর্ষের পরীক্ষা ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে উক্ত পরীক্ষা ১ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনার্স ১ম বর্ষের ব্যবহারিক পরীক্ষা ও বিভিন্ন অনার্স মাস্টার্স প্রফেশনাল কোর্সের পরীক্ষা চলমান রয়েছে। কিন্তু সরকারের সিদ্ধান্ত মােতাবেক জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *