শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেকার তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে: শিক্ষা উপমন্ত্রী
যত্রতত্র অনার্স-মাস্টার্স চালু করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেকার তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বুধবার (২১ অক্টোবর) রাতে ‘মুজিববর্ষে শতঘণ্টা মুজিব চর্চার অংশ হিসেবে জাতির পিতা ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। মেহেরপুর জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ও ভাবনাকে আমরা ধারণ করতে পারিনি। আমরা সস্তা জনপ্রিয়তার জন্য সার্টিফিকেট সর্বস্ব শিক্ষায় মনোনিবেশ করেছিলাম। যত্রতত্র অনার্স-মাস্টার্স চালুর কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেকার তৈরি করার কারখানায় পরিণত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ব্যবহারিক ও জীবনমুখী পড়াশোনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছিলেন। তিনি বিভিন্ন বক্তৃতার মাধ্যমে কৃষি ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। ছাত্রদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ব্রিটিশরা বিএ-এমএ পাস করিয়ে আমাদের কেরানি বানিয়ে দিয়ে গেছে। তাই তোমরা জমিতে গিয়ে শেখো কীভাবে ফসল ফলাতে হয়।’
মুজিব চর্চা প্রসঙ্গে উপমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধুকে চর্চা করা উচিত ছিল। কিন্তু বিগত সরকারগুলো ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে। ৭ মার্চের ভাষণকে মানব ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। অথচ এক সময় সে ভাষণ পর্যন্ত শুনতে দেওয়া হতো না।’
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও যুক্ত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
বাংলা ট্রিবিউন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে হারে শিক্ষার্থীগণ রাজনীতিতে ঝুঁকে পড়ছে; তাতে এই অবস্থা হওয়াটাই স্বাভাবিক। কাজেই লেখাপড়া শেষ না করা পর্যন্ত কোন শিক্ষার্থীকে রাজনীতিতে জড়িত থাকতে দেয়া যাবেনা। এই ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হলে আশা করি ভালই হবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি থাকায় আমার ছেলের পড়াশোনায় মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়েছে এবং লেখাপড়া বিঘ্নিত হওয়ায় চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি আমি। ইহাতে সরকারের অবক্ষয়ের পরিচয় বলে মনে হয়েছে আমার। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারীদের শিক্ষায় মান বজায় রাখার স্বার্থে মনিটরিং-এর ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক বাস্তবায়ন করতে হবে এবং শিক্ষার্থী সহ কাউকেই রাজনীতির আশ্রয়ে লেখাপড়ার মানদন্ডে রাখা যাবে না!