শপিংমলে পরীক্ষা দিতে চায় শিক্ষার্থীরা!
শপিংমলে পরীক্ষা দিতে চায় শিক্ষার্থীরা! আজকে দোকানপাট, শপিং মল রাত ৮টার পরিবর্তে রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতারা এমন খবরে ক্ষোভ জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা খবরের পোষ্টে নানা রকম মন্তব্য করেছে নিম্নে বাছাই করা কিছু মন্তব্য দেয়া হল।
Hasan Tanvir নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
আমরা শপিংমল এ যেয়ে এক্সাম দিতে চাই!
ছোট দোকান গুলোতে ১০জন এবং বড় দোকানগুলোতে ৩০ জন,বড় বড় শপিং কমপ্লেক্স গুলোতে ২০০জন করে সিট প্লান করা হোক!আর চা এর দোকান গুলো রাস্তাসহ ‘হল রুম’ ঘোষণা করা হোক!
Jannat Islam নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
আর সেই শপিংমলে ফাইনাল ইয়ারের প্রাকটিক্যাল আর ভাইভা পরীক্ষা নেয়ার দাবী জানিয়েছে চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
Nazifa Nilu নামে এক শিক্ষার্থী মজা করে লিখেছেন,
আমাদের পরীক্ষা গুলে তাহলে রাত ১ টা থেকে শপিং মলে নেওয়া হোক এটা শিক্ষার্থী সমিতির দাবী।
এসব দেখে যা মনে হচ্ছে যে রাতে মনে হয় করোনা ঘুমাই
Mahabub Bin Ahammad নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
তাহলে আমাদের পরীক্ষা নিয়ে শপিংমলে চলে আসি।
Ariyan Muhammad Riyad নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
সারারাত খোলা রাখলে সমস্যা নাই আর ঐ দিকে শিক্ষা ব্যবস্থা গোল্লায় যাক,
Afia Mashuda নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
আমাদের এক্সাম শপিং মলে নেয়ার দাবি জানাই।
Saidur Rahman নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
আজ স্কুল কলেজ মালিক সমিতি না থাকায় এ দুর্দশা আমাদের।
Salma Akter Tushi নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
অামাদের ভাইভা পরীক্ষা যেনো শপিং মলে নেওয়া হয়।
Tu Shar নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
স্বাস্থ্য বিধিমেনে স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা গুলো শপিং মল ও বিভিন্ন ফ্যাক্টারিতে নেওয়া যায় না? কারন ওখানে তো করোনা নেই।
Ripon Khan নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
শপিংমলে পরীক্ষা নেওয়াটাই এখন সময়ের দাবী.
MD Làbû Høssåîñ নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
শপিংমল যেহেতু রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে সেহেতু রাত ১২টার পর থেকে শপিংমলে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
আর শপিংমলে জায়গা সংকুলান না হলে ব্যাংক এবং গার্মেন্টসেও পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে।
অভ্রনীল জয় নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
করোনার চেয়ে শপিংমল শক্তিশালী..তাই আমি ও শপিংমলে পরীক্ষা দিতে চাই..
Md Raihan Ali নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
স্বাস্থ্য বিধি মেনে শপিং মলে পরীক্ষা দিবো
Hasibul Islam Shanto নামে এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেছে,
Good idea নিলে মন্দ হয় না শপিংমলে তো আর করোনা নাই
ফেসবুকে যে পোষ্টে শিক্ষার্থীরা এসব দাবী জানিয়েছে সেটি দেখুন এখানে
উল্লেখ্য,
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর কয়েকবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। এবারও যদি এমন কোনো পরিস্থিতি না হয় তাহলে ২৩ মে থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। নতুবা এই সিদ্ধান্ত পিছিয়ে দেয়া হতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে এই সময়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বিঃদ্রঃ আমাদের এই পোষ্টে শিক্ষার্থীদের মন্তব্য গুলো শুধুমাত্র প্রকাশ করা হয়েছে সুতরাং এটিকে সিরিয়াস ভাবে নেয়ার কিছু নেই এটিকে রম্য রচনা হিসেবে পড়ুন। আমরা সরকারের সকল সিন্ধান্তের প্রতি আস্থাশীল এবং শ্রদ্ধাশীল।