কারিগরি উপবৃত্তি সংক্রান্ত নোটিশ ২০২২
কারিগরি উপবৃত্তি সংক্রান্ত নোটিশ ২০২২ জুনিয়র ভোকেশনাল ৬ষ্ঠ-অষ্ঠম), এসএসসি (ভোকেশনাল) ,দাখিল (ভোকেশনাল) উপবৃত্তি কারিগরির ৩৪০ মেধাবীকে বৃত্তি দেবে বোর্ড, ভালো ফলাফল করা শিক্ষার্থীদের পুরস্কার দিতে যাচ্ছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড। এ বোর্ডের অধীনে দেশের আটটি বিভাগের ৩৪০ জন কৃতি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চলতি বছর ও বিগত সময়ে পাস করা ৩৪০ কৃতি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হবে। বৃত্তি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীকে বছরে একবার পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে। ঢাকা ও সিলেট বিভাগের শিক্ষার্থীদের ঢাকার শিক্ষা বোর্ডের অনুষ্ঠানে এ অর্থ দেওয়া হবে।
কারিগরি উপবৃত্তি সংক্রান্ত নোটিশ ২০২২
বৃত্তির জন্য তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থী ১২০ জন, এসএসসি(ভোকেশনাল) ৮০ জন, এইচএসসি (বিএম) ৫৫ জন, দাখিল (ভোকেশনাল) ১৭ জন, ডিপ্লোমা টেক্সটাইলে ১৫ জন, এইচএসসি (ভোকেশনাল) ১৪ জন, ডিপ্লোমা ইন এগ্রিকালচারে ১০ জন, বেসিক কোর্স (৩৬০ ঘণ্টা) ১০ জন, ডিপ্লোমা ফিশারিজ, ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক, ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি, এডভান্স সার্টিফিকেট কোর্সে তিনজন করে ১২ জন, ডিপ্লোমা ইন কমার্স, ওয়ান ইয়ার সার্টিফিকেট কোর্সে দুটি করে চারজন, সার্টিফিকেট ইন মেরিন ট্রেড, সিএমইউ ও ডিপ্লোমা ট্যুরিজমে একটি করে তিনজনসহ মোট ৩৪০ জন রয়েছেন।
ডিপ্লোমা পর্যায়ের যে সমস্ত পর্বের জন্য উপবৃত্তি প্রাপ্ত হবে শিক্ষার্থীরা,
২০২১-২০২২ সেশনের শিক্ষার্থীরা ১ম পর্বের ফলাফলে উত্তীর্ণ থাকা সাপেক্ষে বর্তমানে ২য় পর্বের জন্য উপবৃত্তির আবেদন করতে পারবে। (শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ২য় পর্বে অধ্যয়নরত রয়েছে)
২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থীরা ২য় পর্বের ফলাফলে উত্তীর্ণ থাকা সাপেক্ষে বর্তমানে ৩য় পর্বের জন্য উপবৃত্তির আবেদন করতে পারবে। (শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ৪র্থ পর্বে অধ্যয়নরত রয়েছে)
২০১৯-২০২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা ৪র্থ পর্বের ফলাফলে উত্তীর্ণ থাকা সাপেক্ষে বর্তমানে ৫ম পর্বের জন্য উপবৃত্তির আবেদন করতে পারবে। (শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ৬ষ্ঠ পর্বে অধ্যয়নরত রয়েছে)
২০১৮-২০১৯ সেশনের শিক্ষার্থীরা ৬ষ্ঠ পর্বের ফলাফলে উত্তীর্ণ থাকা সাপেক্ষে বর্তমানে ৭ম পর্বের জন্য উপবৃত্তির আবেদন করতে পারবে। (শিক্ষার্থীরা বর্তমানে ৮ম পর্বে অধ্যয়নরত রয়েছে)
এবার নিজস্ব অর্থায়নে কারিগরি শিক্ষা খাতের ছয় লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হবে। একই সঙ্গে বই কেনার অর্থও তারা পাবে। এতদিন এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক আর্থিক সহায়তা করে আসছিল।কিন্তু মেয়াদ বাড়াতে সংস্থাটি সম্মত না হওয়ায় সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এ প্রকল্পের জন্য বিশ্বব্যাংকের বাইরে অন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে বৈদেশিক সহায়তা অনুসন্ধানের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনে ‘কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা-প্রশিক্ষণ উপবৃত্তি’ নামে প্রকল্পটির প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বছরের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এটি বাস্তবায়নে ৯৮৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে। এ প্রকল্পের আওতায় তিন হাজার ৬৪৪টি সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট, টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এসএসসি ভকেশনাল ও দাখিল ভকেশনাল কোর্স পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা থাকবে।
অনুমোদন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ২১ মার্চ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় নতুন প্রকল্পটির জন্য বিশ্বব্যাংকের বাইরে অন্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা থেকে বৈদেশিক সহায়তা অনুসন্ধানের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
১৭ এপ্রিল পিইসি সভার কার্যবিবরণী জারি করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় এসএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ৩০০ টাকা, ডিপ্লোমা বা এইচএসসি ভোকেশনাল শিক্ষার্থীদের ৫০০ টাকা করে সহায়তার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মেয়েদের শতভাগ বৃত্তি এবং ছেলেদের ৭০ শতাংশকে উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রকল্পভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে আট হাজার ৮২৪টি বায়োমেট্রিক ডিভাইস স্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্বব্যাংকসহ অন্য ছয়টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার সমন্বয়ে কারিগরি শিক্ষায় বৃহত্তর একটি কর্মসূচি হাতে নেয়ার বিষয়ে নেগোশিয়েশন চলছে। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হলে অনেক শিক্ষার্থী উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হবে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সরকার বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। পারিবারিক আর্থিক দুরবস্থার কারণে কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হলে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং এ শিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়ন ঘটবে। এসব বিবেচনায় স্টেপ প্রকল্পের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ‘কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা-প্রশিক্ষণ উপবৃত্তি’ প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।