ইসলামে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ: ২৩১৮১৩ প্রিমিয়াম সাজেশন অনার্স ৩য় বর্ষ পরীক্ষা ২০২২ অনুষ্ঠিতব্য ২০২৪ বিভাগঃ ইসলামিক স্টাডিজ
অনার্স ৩য় বর্ষ পরীক্ষা ২০২২ অনুষ্ঠিতব্য ২০২৪
বিভাগঃ ইসলামিক স্টাডিজ
(ইসলামে নৈতিকতা ও মূল্যবোধ: ২৩১৮১৩)
প্রিমিয়াম সাজেশন
ক-বিভাগ
‘আমলে সালিহ’ অর্থ কী?
উত্তর: ‘আমলে সালিহ’ অর্থ হলো- সৎকর্ম।
‘নফসে মুতমায়িন্নাহ’ কী?
উত্তর: প্রশান্ত আত্মা।
আখলাক কত প্রকার?
উত্তর: দুই প্রকার।
‘আদল’ এর বিপরীত শব্দ কী?
উত্তর: ‘আদল’ এর বিপরীত শব্দ হলো- যুলুম।
নফসে মুতমায়িন্না’ النفس المطمئنة কি?
উত্তর: ‘নফসে মুতমায়িন্না النفس المطمئنت হলো প্রশস্ত আত্মা।
‘আখলাক’ কত প্রকার?
উত্তর: আখলাক দুই প্রকার। যেমন- (ক) আখলাকে হামিদা/হাসানাহ ও (খ) আখলাকে যামিনা।
‘আখলাকে যামীমাহ’ اخلاق ذميمة অর্থ কী?
উত্তর: ‘আখলাকে যামীমাহ’ اخلاق ذميمة অর্থ হলো নিন্দনীয় বা খারাপ চরিত্র।
আমলে সালিহ’ অর্থ কী?
উত্তর: ‘আমলে সালিহ’ অর্থ হলো-সৎকর্ম।
‘ইহসান’ অর্থ কী?
উত্তর: ‘ইহসান’ অর্থ- সহানুভূতি।
পরিবার কী?
উত্তর: পরিবার একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান যার সভ্যগণ বিবাহ বন্ধনে, রক্তের সম্পর্ক বা গোষ্ঠীতে অন্তর্ভুক্তির দ্বারা আবদ্ধ।
রাহমাহ অর্থ কী?
উত্তর: মমতা, অনুগ্রহ ও কল্যাণ।
খায়র الخير শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: উত্তম বা কল্যাণ।
‘মুনাকার’ অর্থ কী?
উত্তর: ‘মুনাকার’ অর্থ- অপরিচিত।
রিবা الريا শব্দের আভিধানিক অর্থ কী?
উত্তর: সুদ।
মুনকার منکرঅর্থ কী?
উত্তর: ‘মুনকার’ অর্থ হলো-অসৎ কাজ।
আদল শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: আদল শব্দের অর্থ হলো-ন্যায়বিচার, সাম্য, ইনসাফ ইত্যাদি।
‘রিবা’ الرياশব্দের অর্থ কী?
উত্তর: আরবি রিবা অর্থ হলো- বৃদ্ধি পাওয়া, বেশি হওয়া, মূল থেকে বেড়ে যাওয়া।
মাইসির الميس অর্থ কী?
উত্তর: মাইসির الميسر অর্থ হলো জুয়া।
বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কী?
উত্তর: বিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি হলো- পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করা।
হুদুদ الحددবলতে কী বুঝ?
উত্তর: ইসলামি শরিয়ত কর্তৃক নির্ধারিত শাস্তিকে الحدد আল-হুদুদ বলে।
‘ইহসান’ অর্থ কী?
উত্তর: ‘ইহসান’ অর্থ- সদ্ব্যবহার করা।
অবিবাহিত ব্যভিচারীর শাস্তি কী?
উত্তর: ১০০ বেত্রাঘাত।
‘হুদ’ শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: শেষ সীমা, সীমা রেখা, আইনের আওতা, শাস্তির বিধান আরোপ করা।
খ বিভাগ
নীতিশাস্ত্রের কয়েকটি উৎস উল্লেখ কর। ১০০%
সিদক এর পরিচয় দাও। ৯৯%
হক্কুল ইবাদ حَقُّ الْعِبَادِ বলতে কী বুঝ? ১০০%
স্ত্রীর প্রতি স্বামীর দায়িত্বগুলো লেখ। ৯৯%
নৈতিকতার সাথে ধর্মের সম্পর্ক নিরূপণ কর।১০০%
আল কুরআনে খায়র (কল্যাণ) বলতে যা বুঝায়? ১০০%
আর্থিক অনাচার বলতে কী বুঝ? ১০০%
করোনা (Covid-19) প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা আলোচনা কর। ৯০%
আদল বলতে কী বুঝ? ৯০%
অধিকার হরণ বলতে কী বুঝ? ৯৯%
মারুফ مَعْرُوف ও মুনকার এর সংজ্ঞা দাও।১০০%
দারিদ্র্য বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা বর্ণনা কর। ১০০%
গ বিভাগ
সন্ত্রাস কী? জুয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো লিখ। ৯৯%
হালাল বলতে কী বুঝ? ইসলামে হালাম উপার্জনের গুরুত্ব বর্ণনা কর। ৯০%
আদল বলতে কি বুঝ? আদলের বিভিন্ন দিকসমূহ আলোচনা কর। ৯৯%
পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে নৈতিকতা সম্পর্কে আলোচনা কর। ৯০%
সন্তানের প্রতি পিতামাতার দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ আলোচনা কর। ১০০%
ইসলামে প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ আলোচনা কর। ৯৯%
পিতামাতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য আলোচনা কর।১০০%
ঘুষ কী? ‘সামাজিক উন্নয়নে ঘুষ বড় বাধা’- আলোচনা কর। ১০০%
যৌন অপরাধ বলতে কী বুঝ? যৌন ব্যাধি প্রতিরোধে ধর্মীয় জীবনযাপনের গুরুত্ব বর্ণনা কর। ৯৯%
সন্ত্রাস কী? সমাজ থেকে সন্ত্রাস নির্মূল ইসলামের ভূমিকা আলোচনা কর। ৯৯%
পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে নৈতিকতার প্রয়োজনীয়তা আলোচনা কর। ৯৯%
আল্লাহ তা’আলার প্রতি একজন মুসলিমের কর্তব্যসমূহ বিস্তারিত আলোচনা কর। ৯৫%
যাকাতের পরিচয় দাও। যাকাতের উদ্দেশ্য আলোচনা কর। ৯০%
হুকুকুল ইবাদ حُقُوقُ الْعِبَادِ(বলতে কী বুঝ? জীবের প্রতি মানুষের কর্তব্যগুলো বিস্তারিত আলোচনা কর।৯০%
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেপ্টেম্বরের আগে খুলছে না , সিদ্ধান্ত ঈদের আগেই। একথা গত ২৭ এপ্রিল ২০২০ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, আমরা এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলব না, কমপক্ষে সেপ্টেম্বর অবধি বন্ধ থাকবে। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকায় এই স্কুল, কলেজ এবং অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সেপ্টেম্বর মাসের আগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো ইচ্ছা নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেব।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে ২ মন্ত্রণালয় বৈঠক করা হবে। এই বিসয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষ হতে এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি রয়েছে। ছুটি শেষ হওয়ার আগেই আলোচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা বা কবে নাগাদ খোলা যাবে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে সকল সিদ্ধান্ত নেব। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে চিন্তা করা হবে। বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কয়েকটি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় তা বাস্তবায়ন করা হবে। ৬ আগস্টের পর ছুটি বাড়ছে কি না তা ঈদের আগেই জানিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দুই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঈদের পর না হলেও আগামী সেপ্টেম্বরে খুলে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে। যদি পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয় এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে দায়িত্বশীলরা আশ্বস্ত হন তাহলেই প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে। আপাতত দুটি পরিকল্পনা রয়েছে। একটি সেপ্টেম্বরে খুলে দেয়া, অপরটি যে কোনো সময়ে খুলে দেয়া।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যতদিন পর্যন্ত করোনার প্রাদুর্ভাব থাকবে ততদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা চালু করব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু কিছু জীবনযাপন আমাদের আস্তে আস্তে উন্মুক্ত করতে হবে। সেখানেও সবাই নিজেকে সুরক্ষিত রেখেই কাজ করবে।’
যারা হাত পেতে চাইতে পারে না, তাদের আলাদা করে তালিকা করতে হবে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁদের জন্যও কার্ড করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া সামনে ঈদ রেখে আরও এক দফা ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন খাতে প্রণোদনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, যাঁরা ঋণ নিয়ে ব্যবসা করেছেন, কিন্তু এই ভাইরাসের কারণে এই সময়ে ঋণের সুদ বেড়ে গেছে বলে চিন্তা করবেন না।
প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন, যাতে সুদ স্থগিত থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেবে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, দুর্ভিক্ষ দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে কৃষির ওপর গুরত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি। ধান কাটার পর সেই জমিও কাজে লাগানোর কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। দুধসহ পোলট্রি ফেলে না দিয়ে তা অল্প টাকায় বিক্রি ও মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্ব স্তব্ধ। এই ভাইরাস মোকাবিলায় বাংলাদেশ যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোগ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত সংক্রামক একটা ব্যাধি। কার যে কখন হবে, বোঝা যায় না। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। যারা ভাইরাস মোকাবিলায় কাজ করছে, তাদের সহযোগিতা করতে হবে।