Tuesday, April 23, 2024
Education News

ভূতের গল্প 2023 Bangla Bhuter Golpo বিখ্যাত ভূতের গল্প বাছাই করা সেরা ভুতের গল্প pdf

ভূতের গল্প 2023 Bangla Bhuter Golpo বিখ্যাত ভূতের গল্প বাছাই করা সেরা ভুতের গল্প pdf

জ্বীন ও কালো বিড়াল

তখন ১৯৯২ সাল।আমি ক্লাস নাইনে পড়ি।একটা বিশেষ কারনে আমাকে খুলনা শহর ছেড়ে যেতে হয়।এক আত্নীয়র মাধ্যমে খুলনার কয়রা থানার চালনা এলাকার একটা ইস্কুলে ভর্তি হলাম।ইসকুলটি একদম নদীর পাশে।লন্চ গেলে ঠেউ এসে লাগতো ইসকুলের দালানে।ইসকুলটিতে মেসে থাকার ব্যবস্থা ছিল।বেশীরভাগ ছাত্রছাত্রী ই ছিল হিন্দু।আমি শহর থেকে এসেছি তাই সবাই আমাকে খুব আদর করতো। শিক্ষকরা ও আমাকে অনেক টেককেয়ার করতেন।ইস্কুলের পাশেই টিন সেড মেস।আমাকে একদম নদীর কিনারের ঘরটা দিলেন।প্রতি ঘরে দূ তিন জন ছাত্র থাকে।কিন্তু আমি ওঠার পর দেখি ও ঘরে কেউ নেই।স্যার বললেন তোমার কি ভয় লাগবে এটাতে থাকতে?আসলে আমি একা থাকতেই ভালবাসি।নিজের ইচ্ছামত থাকা যায়।তাই স্যারকে বললাম না স্যার কোন সমস্যা হবেনা।আমি ভয় পেতে পারি এটা তো বলাই যাবেনা।তাহলে আমার থেকে শহরেরই মান সন্মান যাবে।স্যার বললেন দু মাস পর তোমার রুমে নতূন ছাত্ররা আসবে।জানালা খুলে দিলেই নদী।আহা কি যে দারূন ভাল লাগতে শুরু করলো।গ্রামটিতে তখন ও বিদ্যুৎ যায়নি।হারিকেনের আলোয় পড়াশুনা।পুরো অন্ধকার ঘরে আমি কখনোই ঘুমাতে পারিনা।তাই রাতে মিট মিট করে আলো জ্বালিয়ে রাখি।রাতে জানালা খুলে দিই।হুহু করে বাতাস আসে।প্রচন্ড গরমের দিনেও পাতলা কাঁথা গায়ে দিতে হতো নদী থেকে উঠে আসা ঠান্ডা বাতাসে।যাই হোক ছোট বেলা থেকেই আমি বিড়াল খুব পছন্দ করি।এই মেসে ওঠার ঠিক তিন দিনের মাথায় মেসে প্রথম একটা বিড়াল দেখতে পেলাম।কুচকুচে কালো চোখ টা হলদেটে।লেজের দিকে শুধু একটু সাদা রং।বিড়াল টিকে দেখে আমার খুব পছন্দ হলো।

সারাদিন ওকে আমি দেখতাম না। কিন্তু বিশ্বাস করেন আমার ঠিক  রাত্রের খাবারের সময় ও চলে আসতো।আমি ইচ্ছে করেই আমার অনেক মাছ মাংস ওকে দিতাম।ও মাথা নিচু করে খেত আর মাঝে মাঝে আমার দিকে আড় চোখে তাকাতো।আমার ইচ্ছে হতো ওকে কোলে নিয়ে আদর করি কিংবা ও আমার রুমেই থাকুক সারাদিন।কিন্তূ ওকে ধরতে গেলেই লম্বা দৌড় দিত।কোন দিন ওকে একটু ছুঁয়ে দেখতে পারিনি।মাঝে মাঝে অনেক রাত জেগে পড়াশুনা করতাম।হয়তো খেতে দেরি হয়েছে বিড়ালটি ই আমাকে মনে করিয়ে দিত খাওয়ার জন্য।ও এসে ঘরের দরজা জানালা আর বেড়াতে শব্দ করতো।আমি বুঝে নিতাম ও এসেছে ।তাড়াতাড়ি খেতে বসতাম।দরজা খুলে দিতাম।ও দূরে চুপচাপ বসে থাকতো।আমি বেশী বেশী করে খেতে দিতাম।ও চুপচাপ খেয়ে আমার দিকে আড়চোখে তাকাতে তাকাতে বের হয়ে যেত।মাঝে মাঝে ওর চাহনিতে ভয় পেতাম।কেমন যেন একটা ভয়ন্কর ভয়ন্কর দৃস্টিতে তাকাতো।আমি ভাবতাম ওটা হয়তো এ গ্রামের ই কারো বিড়াল। কিন্তু আমাদের ইস্কুল টা গ্রাম থেকে বেশ দূরে নদীর পাড়ে।তাই আমার একদিন কৌতুহল হলো যে ও কোথায় যায় সেটা দেখতে।একদিন রাতে ও আসলো।আমি ও অনেক ভাত মাছ খেতে দিলাম।ও খেয়ে বের  হয়ে গেল।আবছা আলোর রাত আমি ও টর্চ হাতে ওর পিছু পিছু গোপনে বের হলাম।টর্চ জ্বালাচ্ছিনা পাছে ও বুঝে ফেলবে।হালকা আলোতে ওকে স্পস্ট ফলো করছি আমি।

দেখি ইস্কুলের গেট পেরিয়ে নদীর দিকে যাচ্ছে আমি ও গা ঠাকা দিয়ে দিয়ে ওকে অনুসরন করছি।বিড়ালটা সোজা নদীর পানির কাছে যেয়ে হারিয়ে গেল।আমি অবাক হলাম কোথাও দেখছিনা। হঠাৎ একটা দমকা হাওয়া এসে লাগলো আমার গায়ে।ঠান্ডা বাতাস কিন্তু চোখ দুটি যেন জ্বলে যাচ্ছে।কয়েকবার চোখ মুছলাম।এর ই মধ্যে দেখি নদীতে কি একটা লাফ দিয়ে পড়ার শব্দ।আমি ভেবেছি হয়তো বিড়ালটা নদীতে লাফ দিয়েছে।চোখ জ্বালা অবস্থায় এক ঝলক দেখতে পাই  নদীর উপর দিয়ে কি যেন দ্রুত গতিতে নদীর ওপারের দিকে চলে যাচ্ছে।আমি দ্রুত ইস্কুলের দিকে দৌড় দিলাম।ভয়ে গা কাপছে।অন্য সব ছাত্ররা সবাই ঘুম।তাই কাউকে ডাকলাম না।দরজা জানালা বন্ধ করে শুয়ে পড়লাম।ঐ রাতেই প্রচন্ড জ্বর চলে এলো গায়ে।আর চোখ দুটি ফুলে গেছে প্রচন্ড ব্যাথা ও শুরু হলো।সকালে স্যাররা সবাই এলেন আমার রুমে।আমি রাতের ঘটনা সব বললাম স্যারদের।বাড়ীতে চিঠি দিলেন স্যার।তাড়াতাড়ি সবাই আমাকে দূরের একটা মসজিদের ইমামের কাছে নিয়ে গেলেন।হুজুর চোখ পড়ে দিলেন।পানি পড়ে দিলেন।তিনি বললেন এটা বিড়াল ছিল না।এটা একটা জ্বীন।জ্বীনেরা আমাদের মতোই খাবার খায়।বিশেষ করে মানুষের উচ্ছিষ্ট ফেলে দেওয়া মাছের কাঁটা হাড় এ সব ই তাদের প্রিয় খাবার।কত জ্বীন যে কুকুর বিড়াল রূপ নিয়ে আমাদের সামনে দিয়ে খাবার খেয়ে যায় তা আমরা বুঝতে ও পারিনা।হুজুর বললেন যদিও এই জ্বীন আমার কোন ক্ষতি করবে না।আমার অতি উৎসাহর কারনে তার পিছন পিছন গিয়ে ছিলাম এজন্য একটা খারাপ বাতাস সে আমার চোখে দিয়ে যায়।তবুও একা একা ও ঘরে আমার থাকা ঠিক হবেনা।পরে অন্য একটা রুমে তিন হিন্দু ছাত্রদের সাথে থাকতে শুরু করলাম।অবাক ব্যাপার এ বিড়াল টা আর আসে না।তাই আমার ভয় বেড়ে গেল অনেকগুন।সিদ্ধান্ত নিলাম এখানে আর থাকবো না।চিঠি পেয়ে বাড়ী থেকে আব্বা এলেন মামা এলেন।তারা আমাকে লন্চে সাথে করে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন খুলনার বাড়ীতে।

 

বাস্তব জীবনে সত্যিঘটনা 

আমি যে ঘটনাটি আজ আপনাদের কে বলবো সেটা আমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে ঘটা। পেশায় সে একজন মসজিদের মোয়াজ্জেম।

আমার চাচাতো ভাইয়ের নাম ইমরান। তিনি থাকেন আমাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের সদরপুরে।ছেলে বেলা থেকেই আমার সেই চাচাতো ভাইটি ভৌতিক ব্যাপার গুলোতে খুব একটা বিশ্বাস করতেন না। ছিলেন সাহসী স্বভাবের। কিন্তুু একটা ঘটনা তার সমস্ত জীবনকে ওলট পালট করে দিল।

সময়টা ২০০৯ সালের জুন অথবা জুলাই মাস। রাত ৯টা অন্য যে কোন একটা সাধারণ রাতের মতোই সেদিন রাতে ঘুমোতে যাচ্ছিলেন তিনি। আপনারা হয়তো জানেন গ্রামে ৯টা মানে অনেক রাত। শুয়ে পড়ার পর কিছুটা ঘুম ঘুম এসে যায় চোখে। কিন্তুু হঠাৎই দরজা কে যেন নক করলো বেশ জোরে ধাক্কা দিলো।তিনি ভাবলেন এতো রাতে কে।

দরজা খুলে দেখলেন তারই পরিচিত একজন লোক দাড়িয়ে আছে। ঠান্ডা গলায় সেই লোকটি বললো যে গ্রামে কেউ একজন মারা গিয়েছেন। আজ রাতেই সেই মৃত ব্যক্তির দাফনের কাজ করতে হবে। কিছুটা বিরক্ত হয়েই তিনি রওনা দিলেন।

সেই লোকটির সাথে। ঘটনা স্থলে পৌছে দেখলেন লাশটার অবস্থা খুবই বীভৎস বললেও কম হবে চেহারাটা শুধু কোন রকমে বোঝা যাচ্ছিল। জানা যায় ট্রাক চাপা খেয়ে মারা গেছে। সাধারণত কোন বাড়িতে কেউ মারা গেলে পরিবারের লোকজন বেশ কান্না কাটি করে তাছাড়া অনেক মানুষ এসে ভিড় করেন।

কিন্তুু সেখানে তেমনটা দেখা গেল না। প্রথমে খটকা লাগলেও ব্যাপারটা খুব আমলে নিলেন না।। তিনি ভাবলেন অনেক রাত হয়েছে বলে হয়তো। লাশ আগে থেকেই গোসল করানো ছিল এবং খাটিয়াটা তৈরি ছিল। সুতরাং তিনি ঘটনা স্থলে গেলে লাশ কাঁধে তোলা হয়।

খাটের সামনের অংশটা তিনি ধরেন। স্থানীয় কবর স্থানের নাম গোয়ালখালি কবর স্থান নামে পরিচিত। সেখানে যেতে হলে ধান খেতের মাঝখান দিয়ে হেটে যেতে হয়। সে সময় যে সময়টার কথা বলছি তখন বৃষ্টির সময় ছিল। ক্ষেত গুলো পানিতে ভরা ছিল।কোথাও হাঁটু পানি,কোথাও কোমর সমান পানি।।

সেখানে দিনের বেলাতেই লাশ নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। রাতে ব্যাপারটা কঠিন হয়ে পড়লো। চার দিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, হারিকেনের আলোতে কিছু দেখা যাচ্ছিলো না। লাশ নিয়ে ওনাদের বেশ কষ্টই হচ্ছিলো।

লাশ বহনের ধর্মীয় নিয়ম কানুন ছাড়াও এমনিতেই কেউ তেমন একটা কথা বার্তা বলেন না। কিন্তুু আসে পাশের মানুষের নীরবতা তার কাছে মোটেও স্বাভাবিক লাগছিলো না।। জড়োতা কাটানোর জন্য তিনি তার আশে পাশে যারা ছিলেন তাদের সাথে অনেক কথা জিজ্ঞেস করতে লাগলেন।

কিন্তুু আশেপাশের কেউ তেমন একটা তার কথার উত্তর দিলেন না। তাছাড়া সেখানে লোক ছিলো মাত্র ৪ থেকে ৫ জন। উপায় না দেখে তিনি কথা না বলে হাঁটতে থাকলেন। এতো কম লোকের উপস্থিতিটাও তার কাছে কিছুটা অস্বাভাবিক লাগলো

 

ডাইনী

১)দুপুর বেলা মেয়েটি পুকুর পাড়ে বসেছিল । দেখে মনে হচ্ছিল সে হয়তো কারো অপেক্ষা করছে । বার বাড় ঘড়ি দেখছে । যেন সে আর অপেক্ষা করতে চাচ্ছে না ।এদিকে আমার ও খুব খিদা পেয়েছিল ।

বাসায় যেতে অনেক সময় । ততক্ষণ আমি অপেক্ষা করতে পারবো না । তাই তাকে দিয়েই দুপুরের খাওয়া শেষ করলাম ।

 

২) ছেলেটা প্রায় আমাকে উত্ত্যক্ত করতো । ওর জন্য কলেজে যেতে পারতাম না । সেদিন রাতে টিউশন থেকে আসার সময় সে আমার পথ আগলে দাঁড়ায় । পরদিন সকালে তার রক্ত শূন্য দেহ পাওয়া যায় তার

বাসার সামনে ।

 

৩) পাড়ার কিছু ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । কাল রাতে তারা পাড়া ঘুরতে বেরিয়ে ছিল । তারপর তাদের সাথে আমার দেখা হয় ।

 

৪) ছেলেটি আমার বান্ধবীকে খুন করেছে । তার টাকার গরমে তার কোনো শাস্তি হয়নি । আমি আমার বান্ধবীর মাকে কথা দিয়েছিলাম । আমি তাকে শাস্তি দেবো । সে কথা মতো আমি তার সাথে প্রেমের অভিনয় করি । মাগরিবের আজানের আগে আমরা নির্জন একটা জায়গায় ঘিরে বসলাম । আমার খুব পানির পিপাশা পেলো । তাই সেখানে বসেই রাস্তার অপর পাশের দোকান থেকে পানির বোতল হাত বাড়িয়ে এনে দেখি ছেলেটি ভয়ে হার্ট এটাক করেছে ।

 

৫) এই মেয়েটি খুব খারাপ । এইসব মেয়েদের জন্যই বাকি মেয়েদের সবাই খারাপ ভাবে । মেয়েটির কাধে হাত রাখলাম । পেছনে ঘাড় ফিরিয়ে আমাকে দেখলো । পরদিন তার অর্ধেক কংকাল দেহ পাওয়া গেল ।

 

৬) লোকটি খুব লোভী । টাকার জন্য তার ৬টা বউকে খুন করেছে । যৌতুকের জন্য তাদের বলি দেয় সে । এবার ৭ নং বউয়ের উপর অত্যাচার শুরু করেছে । উফ মেয়েটির কান্না সহ্য করতে পারছিলাম না । তাই

তাদের দরজায় নক করে ঘরে ঢুকলাম । তারপর যা হবার তাই হলো । মেয়েটিকে খেতে চাইনি । তার চিৎকারে বাদ্ধ হলাম ।

 

৭) বান্ধবীর জন্মদিনে গিয়েছিলাম । ফিরতে রাত হয়ে গেছে । একটা সিএনজি পেলাম । মাঝ রাস্তায় আসতেই বুঝতে পারলাম তার উদ্দেশ্য খারাপ । কিন্তু সে নিজেই জানতো না সে কাকে তার সিএনজিতে তুলেছে । সেদিন রাত থেকেই সে নিখোঁজ ।

 

৮) বাবা আমার জন্য একটি সুন্দর বিড়াল কিনে এনেছেন । কিন্তু বিড়ালটা হয়তো বুঝতে পেরেছিল আমি আসলে কে । তাই আমাকে দেখলেই মিউ মিউ করতো । একদিন তাকে আর খুঁজে পেলো না কেউ ।

 

৯) মেয়েটি খুব অভার স্মার্ট । আমি অবশ্য এই টাইপের মেয়েদেরকে খেতে পছন্দ করি । তাই ………

 

১০) চেয়েছিলাম ছেলেটিকে বুঝিয়ে বলবো, মেয়েটি তাকে অনেক ভালোবাসে । এভাবে যেন অবহেলা না করে । মেয়েটিকে যেন সে বিয়ে করে। কিন্তু না । ছেলেটি মানলো না । রাগের মাথায় আমার কাজ করে বাসায় গেলাম । মা খেতে বলল । কিন্তু আমি তো খেয়েই এসেছি।

 

প্রতারক অথবা বিশ্বাসঘাতক 

 

পড়াশোনা শেষে চাকরির জন্য ঘুরছি…

বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারভিউ দেয়া এবং টুকটাক কিছু বই ঘাটাঘাটি করা  বাদে  বাকি সময়টা আড্ডা দিয়েই কাটাই।

আমি যে ম্যাচে ভাড়া থাকি তার পাশেই অবস্থান পার্ক ভিউ নামের আবাসিক হোটেলের। এই হোটলের কোনো অংশ থেকেই কোনো প্রকার পার্ক দৃষ্টিগোচর হয়না। তবুও নামকরণের এমন অদ্ভুত চিন্তা মালিকের মাথায় কোথা থেকে এলো তা নিয়ে আমার চিন্তার শেষ নেই। হোটেলটি মধ্যম-মানের।আমি এ এলাকায় আছি প্রায় একবছর। তবে হোটেল পার্ক- ভিউয়ের নামকরণের বিষয়টি আমার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে ৩ মাস ধরে। এর পেছনে অবশ্য একটি কারণও আছে৷

একদিন চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে আমার ম্যাচে ফিরছিলাম।ইন্টারভিউ যারা নিচ্ছিলো তারা কোনো অংশেই আমার থেকে বেশি শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করা মানুষ নয়৷ তাদের সকল প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেয়ার পরেও যখন জানতে পারলাম এখানে যে নিয়োগ পাবে সে আগে থেকেই ঠিক করা৷ শুধুমাত্র ফর্মালিটি মেন্টেইন এর কারণে ইন্টারভিউ নেয়া হচ্ছে, রাগে দুঃখে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি আর কখনো  চাকরি টাকরির জন্য চেষ্টা করব না।এটা ছিলো আমার ৩৭ তম ইন্টারভিউ।  চাকরির চিন্তা বাদ৷ ভাবলাম খুব নিম্নমানের একজন চোর হব। পড়াশোনা শেষ করে তো আর উচ্চমানের চোর হওয়া যায় না। মানবিক মূল্যবোধ বলতে একটা বিষয় আছে। মানুষের এমন কিছু চুরি করতে হবে, যাতে তার বড় কোন ক্ষতি না হয়।

সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে যখন আমার ম্যাচের সামনে এসে পৌঁছেছি-

একটা গম্ভীর কন্ঠস্বর আমাকে ডাকলো- এই ছেলে! এই?

কিছুটা ধমকের সুর।

আমি ফিরে তাকালাম। দেখলাম,একজন বয়স্ক লোক। মুখে খোঁচা খোঁচা দাঁড়ি।

অর্ধেক দাঁড়ি পেকে সাদা হয়ে গেছে।

ঠোঁট গুলো কুচকুচে কালো। গায়ের রঙ শ্যামলা।

উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো-

তোমার কাছে একটা ম্যাচ হবে?

এবার কন্ঠে অনুনয়ের সুর।

আমি সিগারেট খাই৷ সুতরাং আমার কাছে ম্যাচ আছে। পকেট থেকে বের করে ওনার দিকে এগিয়ে দিলাম।

উনি একটা কাঠি বের করে ঘষা দিতেই খ্যাশ করে আগুন জ্বলে উঠলো। সিগারেট ধরিয়ে  বড় একটা টান  দিয়ে বললেন,

কিছু মনে করোনা। আজকাল একটু ধাই-ধকম দিয়ে না ডাকলে মানুষ ফিরে তাকায় না।

তা – চাকরির ইন্টারভিউ দিয়ে ফিরলে বুঝি?

ওনার দিকে তাকিয়ে ভালোভাবে পা থেকে মাথা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করলাম। পায়ে চটি স্যান্ডেল। পরনে একটা কাঁঠালি কালারের পাঞ্জাবি৷ কিছুটা কবি সাহিত্যিক ভাব..

উত্তর দিলাম- হ্যাঁ৷

“চাকরি হলোনা- বা হবে না৷” তাইতো?

  • তেমনটাই মনে হচ্ছে।
  • তুমি যদি সত্যি ই যোগ্য হও। চাকরি তোমায় খুঁজে নিবে৷ তোমাকে চাকরির পেছনে দৌড়াতে হবে না।
  • আজকাল আর যোগ্যতা বিচার করে চাকরি পাওয়া যায়? মামার জোড় লাগে৷
  • তুমি কি নিজেকে খুব যোগ্য একজন ব্যক্তি ভাবো?

এবার একটু কনফিউজড হলাম.. উত্তর দিলাম

ইন্টারভিউ বোর্ড এ যোগ্যতার পরীক্ষায় তো পাশ করি।

লোকটি হাসলেন।

আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, আচ্ছা বলতে পারো সামনের  এই আবাসিক হোটেলের নাম পার্ক ভিউ কেনো?

এখান থেকে তো কোনো পার্ক দেখা যায় না..

পেছনে ঘুরে একবার হোটেলের দিকে তাকালাম। হলুদ কালারের ব্যাকগ্রাউন্ড এ লাল কালি দিয়ে লেখা-

হোটেল আবাসিক

” পার্ক ভিউ”

সত্যি এখানের আশেপাশেও কোনো পার্ক নেই৷ তবে হোটেলের নাম পার্ক ভিউ কেনো! লোকটিকে সহজে উত্তর দিলাম- হয়ত ভুলে দিয়েছে। নামের সাথে বাস্তবতার অমিল।

লোকটি সিগারেটে টান দিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললো..

নাহ, নামকরণ ঠিক আছে৷ তবে এই নামকণের পেছনে ছোট একটা রহস্য আছে। নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে রহস্যটি খুঁজে বের করো।

আমি লোকটির কাছে তার নাম জানতে চাইলাম।

তিনি জানালেন, তার নাম – মুহিবুল্লাহ।

হোটেল পার্ক ভিউ এ নতুন উঠেছেন।

থাকেন ৩০৮ নাম্বার রুমে।

গল্প করতে যাওয়ার দাওয়াত দিয়ে তিনি হাঁটতে হাঁটতে হোটেল পার্ক ভিউতে ঢুকে গেলেন।

আর তখন থেকে  আমার মাথাতেও এই প্রশ্নটা ঢুকে গেলো! ”হোটেলের নাম পার্ক ভিউ কেনো?”

এই প্রশ্ন মাথায় ঘুরাতে ঘুরাতে কেটে গেলো তিনটি মাস।

মুহিবুল্লাহ ভাইয়ের ৩০৮ নম্বর রুমে এখন আমার  যাতায়াত নিয়মিত।  বই ঘাটাঘাটি করার ফাঁকে ফাঁকে যে সময়টুকু পাই সেটা মুহিবুল্লাহ ভাইয়ের সাথে আড্ডায় ব্যয় করি। তিনি খুবই শিক্ষিত মানুষ। মনে হয় তার প্রতিটি কথাই যেন একেকটা অমর বানী।

মুহিবুল্লাহ ভাইয়ের রুমটা অদ্ভুত। আবাসিক হোটেলের এই রুমটা তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য ভাড়া নিয়েছেন। লম্বা সময়ের জন্য থাকবেন বলেই হয়ত এ রুমটা নিজের মত করে গুছিয়ে নিয়েছেন তিনি৷ দেয়ালের বিভিন্ন জায়গায় সংবাদপত্র থেকে আকর্ষনীয় অংশ কেটে লাগিয়ে রেখেছেন। গুরুত্বপূর্ণ কিছু খবর সবসময় সতেজ রাখার চেষ্টা হয়ত।।কাঠের চৌকির পাশে স্থান পেয়েছে ছোট্ট

একটি কাঠের টেবিল ও একটি কাঠের চেয়ার। টেবিলে রাখা স্তুপ আকারে বই। পাশেই স্বচ্ছ কাঁচের একটি  ফুলদানি। পানি পূর্ণ কাঁচের ফুলদানিতে রোজ সকালে তিনি একটি করে গোলাপ  রাখেন৷ পরদিন ভোরে নতুন গোলাপ আসলে পুরোনোটি তুলে ফেলে দেন।কাঠের চৌকিটির নিচে আছে পানি খাওয়ার জন্য প্লাস্টিকের বোতল। একটা চিনির বয়াম। একটি কাঁচের গ্লাস।  তবে লোকটা যে একজন চেইন  স্মোকার সেটা তার রুমে ঢুকলে কখনো-ই বোঝা যায়না।

তিনি রুমে বসে কখনোই ধূমপান করেন না।

একদিন সন্ধ্যায় প্রচন্ড মেজাজ খারাপ নিয়ে মুহিবুল্লাহ ভাইয়ের রুমে গেলাম। তবে উপর থেকে আমি তাকে ধরতে দিলাম না আমার মনের ভেতরে তখন কি চলছে। ওনার একটা কথা আমি মনে প্রাণে মেনে চলি। উনি বলেছিলেন-

“প্রকৃত বুদ্ধিমান ব্যক্তিদেরকে মানুষ কখনো বুঝতে পারেনা, সে প্রকৃতপক্ষে বোকা নাকি চালাক এটা বোঝা বেশ দুষ্কর।”

তার এই কথাটা শোনার পর থেকে আমি মানুষের সাথে এমন ভাবে মিশি.. যেন আমাকে উপর থেকে দেখে ভেতরের কিছু বোঝা না যায়।

তাই মনের ভেতরের রাগ ও হতাশা লুকিয়ে রেখে বরাবরের মতই মুহিবুল্লাহ ভাইয়ের সাথে খোশগল্পতে কিছুটা ভালো সময় পার করার জন্য চেষ্টা করতে থাকলাম।কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হলো না।

ঠিক মিনিট সাতেক পরে তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন-

ম্যাচের ভাড়া বাকি পরেছে নাকি?

আমি চমকে উঠলাম।

এ খবর তো মুহিবুল্লাহ ভাইয়ের জানার কথা না।

উত্তর দিলাম- জ্বী বাকি পড়েছে। আমার ভাই হিসেব করা টাকা। একজন ফ্রেন্ড কে দুঃসময়ে  সাহায্য করার জন্য বেশ কিছু টাকা ধার দিয়েছিলাম।টাকাটা ফেরত দেয়ার ডেট পার হয়েছে। ওর ফোন বন্ধ। ম্যাচ ম্যানেজারও এদিকে টাকার জন্য প্রেসার দিচ্ছে। ইচ্ছে করছে ওর মাথায় একটা মো *টা

বাঁ* শ দিয়ে পি* টা * ই কতক্ষন।

  • ওর বাসা চেনো?
  • হুম চিনি।
  • আচ্ছা তুমি বসো। আমি বাঁশ নিয়ে আসছি। এরপর ওর বাসায় যাব।

বলে মুহিবুল্লাহ ভাই খাট থেকে উঠলেন। জুতা পরে রুম থেকে বের হয়ে গেলেন।

আরে লোকটা পাগল নাকি! আমি তো রাগের মাথায় কথাগুলো বলেছি। সত্যি ই কি সে বাঁশ আনতে যাচ্ছে নাকি!

মুহিবুল্লাহ ভাইয়ের মত অদ্ভুত কিসিমের মানুষের কাছে এসব কোন ব্যপার ই না। মিনিট পাঁচেক পরে তিনি ফিরে আসলেন।

হাতে দু-কাপ চা।হাসতে হাসতে বললেন,  কি ভয় পেয়েছিলে নাকি?

-ভয় না পেলেও ভড়কে গেছিলাম।

আমাকে মুহিবুল্লাহ ভাই এক কাপ চা দিলেন।

চায়ে চুমুক দিয়ে বললাম- তবে যাই বলেন না কেনো,

এসব ধোকাবাজ মানুষদের একটা শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

“ধার নিয়ে টাকা ফেরত না দেয়া মানুষদের একটা শাস্তির বিধান করা হোক….”

মুহিবুল্লাহ ভাই ” ধোকাবাজ কথাটি বিড়বিড় করে কয়েকবার উচ্চারণ করলেন।

এরপর বললেন,

ধোকাবাজ ও বিশ্বাসঘাতক দুটো ভিন্ন জিনিস।

তোমাকে একটা গল্প শুনাই। তাহলে বিষয়টি কিছু হলেও তোমার মাথায় আসবে।

মুহিবুল্লাহ ভাইয়ের গল্প মানেই অসাধারণ কিছু।

আমি তার গল্পে নিমজ্জিত হলাম।

তিনি বলত শুরু করলেন-

” আমি তখন পড়াশোনা করতে সাইবেরিয়ায় অবস্থান করছি।হাড় কাঁপানো ঠান্ডা যাকে বলে তখন সাইবেরিয়ার আবহাওয়া সেরকম। তীব্র তুষারপাত হচ্ছে। মোটা জ্যাকেট গায়ে দিয়ে তুষারে ঢাকা রাস্তা দিয়ে আমাদের হেঁটে এগুতে হতো সামনের দিকে। এই কনকনে ঠান্ডার ভেতরে আমরা  আস্ত একটা জ্ঞানহীন  মানুষ খুঁজে পাই। বয়স আর কত হবে! ধরো ৫৮-৬০।

এই বয়সের একজন মানুষকে পাতলা একটা জামা পরিহিত অবস্থায়  বাইরের প্রচন্ড ঠান্ডার ভেতরে প্রায় মৃত অবস্থায় খুঁজে পাই।কোনো রকম হৃদপিণ্ড রক্ত পাম্প করছিলো.. যে কোনো সময় প্রাণ ত্যাগ করতে পারে।

লোকটিকে সবাই মিলে ধরে আমাদের  বাসায় নিয়ে আসি। ডাক্তার খবর দেই৷ কিন্তু ডাক্তার জানায় সে এই তুষারপাতের ভেতরে গাড়ি নিয়ে আসতে পারবে না। রাস্তা বরফে ঢেকে গেছে। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে প্রাথমিক যে চিকিৎসা গুলো দেয়া যায় সেগুলো দেয়ার চেষ্টা করি৷

লোকটিকে গরম চুল্লীর পাশে রাখা। গায়ের সকল পানি মুছে গরম জামাকাপড় দিয়ে গা মুড়িয়ে দেয়া সহ বিভিন্ন ভাবে আমরা প্রায় ৩০ মিনিট বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করার পরে ওনার জ্ঞান ফেরে।

আরো মিনিট  পনেরো পার হওয়ার পরে তিনি কোনো রকমে উঠে বসেন। তাকে গরম স্যুপ খেতে দেয়া হয়। নিমিষেই সেটুকু শেষ করে তিনি আবার আমাদের কাছে স্যুপ চান।

এক বসাতেই চার বাটি স্যুপ তিনি সাবাড় করে দেন। আমরা সবাই ভাবছিলাম একটা লোক কতটা ক্ষুধার্ত হলে এভাবে গোগ্রাসে চার বাটি স্যুপ খেতে পারে!

তার নাম পরিচয় জানতে চাইলাম। তিনি বেশ কিছুক্ষন চুপচাপ থাকলেন। এরপর ক্লান্ত গলায় বলতে শুরু করলেন,

আমার স্ত্রী গতকাল আমাকে আমার নিজ বাসা থেকে বের করে দিয়েছে।

কথা বলার সময় তার দৃষ্টি ছিলো বাসার সিলিং এর দিকে। যেন তিনি তার ফেলে আসা অতীতকে টিভির পর্দার মত দেখতে পাচ্ছেন সেখানে।

করুণ কন্ঠে তিনি বললেন,

যখন বয়স আমার ২০, উঠতি যৌবন, তখন ভালোবাসার জোয়ারে গা ভাসিয়ে ১৮ বছরের ম্যাডেলিন কে নিয়ে বাসা ছেড়ে পালিয়ে আসি। এরপর বুঝতে পারি নির্মম বাস্তব কি জিনিস.. হাতে ছিলো না কোনো টাকা পয়সা, পড়নের জন্য ছিলো না কোন জামাকাপড়।

তবে কিছু না থাকলেও ভাগ্য আমাদের সাথে ছিলো। প্রথমে আমি একটা চাকরি নেই।  কাজটা ছিলো খুবই কষ্টের। একটা সুপার শপের জিনিসপত্র গাড়ি থেকে নামানো- ওঠানো।

বেতন যা ছিলো কোনো মতে খেয়ে পরে চলে যেত। তবে আমার হাড়ভাঙা খাটুনি আর সততা আমাকে খুব দ্রুত উপরে উঠতে সাহায্য করে। আমার বেতন বাড়লেও পরিশ্রম কমে নি।

আমি অনেক পরিশ্রম করতাম।

তবে দিন শেষে সব ক্লান্তি দূর হয়ে যেত যখন ম্যাডেলিনের কোলে মাথা রেখে বিশ্রাম নিতাম।

খুব দ্রুত আমাদের জীবন ব্যবস্থার মান উপরে উঠতে থাকে। আমরা একটা বাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেই। বাড়ির মালিকানা অর্ধেক ম্যাডেলিনের নামে এবং অর্ধেক আমার নামে থাকবে এমনটা সিদ্ধান্ত হয়৷ ম্যাডেলিনের জন্মদিনের দিন ওকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য যখন ওর হাতে আমি বাড়ির চাবি ও কাগজপত্র সব তুলে দেই- ম্যাডেলিন জানতে পারে বাড়িটা শুধু ওর নামেই লেখা হয়েছে। এটা ছিলো আমার পক্ষ থেকে ওর জন্য উপহার।  কারণ আমার সাথে এসে ও অনেক কষ্ট সহ্য করেছে। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করেছে। আমার উপর আস্থা রেখে আমাকে আগলে রেখেছে। এই উপহার টা ওর জন্য উপযুক্ত যোগ্য সম্মানস্বরূপ।

তবে দিন যত গড়ায়..আমরা বুঝতে পারি ম্যাডেলিন মা হতে পারবে না। কখনোই না। বিষয়টি নিয়ে ও ভেংগে পড়লেও ওকে আমি কখনো এটা নিয়ে ওর সামনে কথা তুলতাম না। আমরা একটা বিড়াল এডপশনে নেই।

ওকে নিয়েই সন্তানের শূন্যতা পূরণ করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা করি।

কিন্তু আমার বয়স যত বাড়লো সন্তান লাভের আশা তীব্র হতে শুরু করলো। এবং আমি একটা সিদ্ধান্ত নিলাম..

আমি আমার বাসার গৃহপরিচারিকার সাথে ঘনিষ্ঠ শুরু করলাম। আমার প্লান ছিল গৃহপরিচারিকার গর্ভের মাধ্যমে  আমার সন্তান ভূমিষ্ঠ করা এবং পরে সে সন্তান কে এডপট করা। তবে এসব কিছুই হবে ম্যাডেলিন এর চোখের আড়ালে। কারণ ম্যাডেলিন কোন কারণে কষ্ট পাক তা আমি চাইছিলাম না।

টাকা দিয়ে গৃহপরিচারিকাকে রাজি করালাম। আমাদের দৈহিক মিলন হতে থাকলো নিয়মিত। তবে সর্বশেষ দু’দিন আগে আমি যখন মাঝরাতে আমার গৃহপরিচারিকার সাথে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছিলাম.. ম্যাডেলিন সেটা দেখে ফেলে। ওর খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়েছিলাম ঠিক ই। তবে সেদিন রাতে ও খাবার খায়নি। ফলশ্রুতিতে হাতে নাতে ধরা খেলাম। ও তখন কিছু বলে নি। পরদিন সকালে উকিল ডেকে আমার থেকে ডিভোর্স নিয়ে নেয় এবং আমাকে আমার নিজের কষ্টের মাধ্যমে তিল তিল করে অর্জিত অর্থ দিয়ে গড়ে তোলা বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দেয়। সারাজীবন কষ্ট করে যে অর্থ আমি উপার্জন করলাম তার কিছুই আমার সাথে নেই। আমি এখন একজন মৃত্যুপথযাত্রী মুসাফির।

কথাগুলো বলেই চোখ বন্ধ করলো বয়োঃবৃদ্ধ লোকটি।

আমরা সবাই তার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলো অবাক হয়ে।

এ পর্যন্ত বলে মুহিবুল্লাহ ভাই থামলেন।

আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন…

এবার বলো তো! উক্ত ঘটনায়, ম্যাডেলিন ও তার স্বামীর ভেতরে কে বিশ্বাসঘাতক এবং কে প্রতারক?

  • হাসিবুল ইসলাম ফাহাদ

সমাপ্ত (সংগৃহীত)

Related searches

বিখ্যাত ভূতের গল্প, ভূতের গল্প বাংলা , বড় ভূতের গল্প , ভুতের গল্প কার্টুন

শেষ রাতের ট্রেন ভুতের গল্প , লুল্লু ভূতের গল্প , ভালো ভূতের গল্প , বাছাই করা সেরা ১০০ ভুতের গল্প pdf

 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply Cancel reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.