নওগাঁ জেলা পরিবার পরিকল্পনা ফলাফল ২০২২ DGFP naogaon Final Result
Naogaon District Family Planning Final Result 2022 নওগাঁ জেলা পরিবার পরিকল্পনা চূড়ান্ত ফলাফল ২০২২ DGFP naogaon Final Result, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের নিয়োগযোগ্য ০৩(তিন) ক্যাটাগরির (পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ সহকারী ও আয়া) পদে গত ২৮/১০/২০২২ খ্রিঃ তারিখে গৃহীত লিখিত পরীক্ষা এবং ০৯/১১/২০১২খ্রিঃ তারিখ হতে ০৩/১২/২০২২খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে নিম্নবর্ণিত রোল নম্বরধারীগণ নিয়োগের জন্য প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন (মেধাক্রম অনুসারে নয়)।
Naogaon District Family Planning Final Result 2022 নওগাঁ জেলা পরিবার পরিকল্পনা ফলাফল ২০২২ DGFP naogaon Final Result
করোনার কারণে চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাও খুলতে পারে । শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও এক দফা বাড়িয়ে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে। এরপরও চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। সামনে শীত মৌসুম থাকায় এ আশঙ্কা আরও ডালপালা মেলছে। কারণ শীতে সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, অনেক দেশ করোনার মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেও ফের বন্ধ করতে বাধ্য হয়। শুধু যুক্তরাষ্ট্রে ছয় মাসে দুই লাখ ৭৭ হাজার ২৮৫ জন স্কুল শিক্ষার্থী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। সেদেশের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে।
এ অবস্থায় চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নাও খোলা হতে পারে, এমন আভাস দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, নভেম্বর মাসে স্কুল খুললেও মাত্র ৩০ দিন সময় থাকবে। টেলিভিশন, রেডিও ও অনলাইনে পাঠদানও তেমন ফলপ্রসু হয়নি। সবমিলিয়ে চলতি বছর শিক্ষায় বড় ক্ষতি ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। সেজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খোলার ঝুঁকি নিতে রাজি নয় সরকার।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়ের তেমন সম্পৃক্ততা নেই। সরকারও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়। বছরের শেষে খুললেও পাঠদানের ক্ষতি পোষানো সম্ভব না। আর শিশুরা করোনায় আক্রান্ত হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। এছাড়া শীতে করোনার প্রকোপ বাড়তে পারে বলে ইতিমধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও অনেক অভিভাবক সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে রাজি নন। স্বাস্থ্যবিধি কতটুকু মানা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন আছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে গণপরিবহণে চাপ বাড়বে। ফলে ঝুঁকিতে পড়বে শিশুরা। সবমিলিয়ে চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নাও হতে পারে বলে মত তাদের।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সরকার উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করলেও তা থেকে সরে এসেছে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে রুমগুলোতে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। রয়েছে গণরুম সমস্যাও। বিশ্ববিদ্যালয় খুললে সংক্রমণ বাড়তে পারে। এসব কারণে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে রাজি নয় সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সঙ্গে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবতে হবে। শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না। বিষয়টি মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলেও মনে করেন তিনি।
আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন এ বিষয়ে বলেছেন, চলতি বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কিনা, সব কিছুই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির উপর। স্কুল খোলার পর আবার বন্ধ করার চেয়ে পরিস্থিতি দেখে একবারে খোলা উত্তম। নানা চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে আগামী নভেম্বর স্বাস্থ্যবিধি মেনে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার চিন্ত করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ‘জেড’ আকারে বসানো হবে। ক্ষতি পোষাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়েরও কয়েকটি বিকল্প প্রস্তাব রয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের ক্লাস-পরীক্ষা নিয়েও বিকল্প চিন্তাভাবনা রয়েছে।