শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সরকারের সামনে যেসব বাধা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে সরকারের সামনে যেসব বাধা । করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশের অন্য সবকিছুকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নেয়ার সরকারি প্রচেষ্টা দেখা গেলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সরকার। কর্মকর্তারা বলছেন, এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছে সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কথায়, এই মুহূর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি নেই- ‘ছুটি বাড়ছে, বাড়াতে হবেই।’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার পেছনে কর্মকর্তারা বেশ কিছু বিষয় বিবেচনা করছেন বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো:
১. সংক্রমণের হার কমলেও এখনো রোগী পাওয়া গেছে
২. শীতের সময়ে করোনার দ্বিতীয় দফা সংক্রমণের শঙ্কা আছে
৩. শিশুরা আক্রান্ত হলে দায় কেউ নেবে না
৪. অভিভাবকদের মধ্যে এখনো আতঙ্ক আছে
৫. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা সম্ভব হবে তা পরিষ্কার নয়
৬. অনেক দেশেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে আবার বন্ধ করতে হয়েছে
৭. অনেক দেশে নতুন করে সংক্রমণ বাড়ছে
তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা না খোলা নিয়ে নানা ধরনের মত আছে বাংলাদেশে- যদিও এগুলো খুলে দেয়ার বিষয়ে সরাসরি কোনো বক্তব্য কোনো মহল থেকে আসেনি। আবার সমাধান সম্পর্কে কোনো মতামত না আসলেও মার্চ থেকে এগুলো বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ আছে অনেকের মধ্যে।
বিশ্বের অনেক দেশেই তো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেছে, তাহলে বাংলাদেশে সমস্যা কোথায়? – এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) বেনজীর আহমেদ বলেন, একেক দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মতো আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিও আলাদা। অনেকে খুলেছে আবার বন্ধও করেছে। অনেক চালু রেখেছে কিন্তু সংক্রমণও বাড়ছে। কিন্তু বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির সাথে সেসব দেশের মিল কম। এখানে সংক্রমণের প্রকৃত তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরো বলেন, এতদিনেও সংক্রমণের আলাদা ম্যাপিং করা যায়নি। শহর বা গ্রাম কোথায় আসলে কি অবস্থা, তা কেউ নিশ্চিত নয়। যা রিপোর্ট হচ্ছে তার ভিত্তিতেই এখানে সব কথা হচ্ছে। তাই অন্য দেশের সাথে মিলিয়ে এখানে সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন বলে মন্তব্য করেন তিনি। বিবিসি বাংলা