পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক সম্মান ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী এপ্রিল মাস থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ধাপে ধাপে আয়োজন করা হবে। বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের (ভিসি) সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
আরো পড়ুন- ঢাবি ভর্তিতে আবেদনের যোগ্যতা বাড়ছে, জিপিএর ওপর নম্বর কমছে
প্রথমবারের মতো গুচ্ছ ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে জুনের ১৯ ও ২৬ তারিখ এবং জুলাইয়ের ৩ ও ১০ তারিখ বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখার পরীক্ষা হবে৷ গুচ্ছভুক্ত সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৯ মে। এছাড়াও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ রাজশাহী, খুলনা ও চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট,কুয়েট, চুয়েট) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১২ জুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১, ২২, ২৭ ও ২৮ জুন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ১০ জুন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ও চুয়েট ভিসি অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন৷
এছাড়া, গুচ্ছভুক্ত ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ জুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৭ জুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে ৪ ও ৫ জুন পরীক্ষা আয়োজন করা হবে৷
তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। শিগগিরই এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, সভায় প্রায় সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত কয়েকটি ধাপে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরিষদের সভায় সব উপাচার্যের উপস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা অংশগ্রহণের সুযোগ পায় সেজন্য একটির সঙ্গে অপর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সময় আলাদা করা হয়েছে। আজকে শুধু দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ অনুযায়ী কিভাবে পরীক্ষা নেবে সেটি নির্ধারণ করবে। এরপর পরিষদের আরেকটি সভায় তা চূড়ান্ত করা হবে।