২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একযোগে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মার্চে থেকে কীভাবে ও কোন পদ্ধতিতে এ পরীক্ষা হবে, সে কাজ শুরু হবে বলে জানা যায়। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ বড় চারটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনই এ প্রক্রিয়ায় আসবে কি না, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানায়নি। তারা বলেছে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে। ইউজিসির চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিমত পোষণ করেনি। তারা বলেছে, প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
আজকের বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা সভা করে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে একমত হন। আর ভর্তি পরীক্ষা নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার ব্যাপারে একমত হন।
তারও আগে ইউজিসির এক সভায় সমন্বিতভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এখন সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার নাম পরিবর্তন করে এটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা’
২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির আলোকে প্রণীত পৃথক প্রশ্নপত্রে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। তিনটি শাখার বিভিন্ন বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত কলেজগুলোর স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তির জন্যও এ প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে।
এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের স্বল্প সময়ের মধ্যে অনলাইনে দরখাস্ত আহবান করা হবে। নভেম্বর মাসের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। কেন্দ্রীয় মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত শিক্ষার্থীবৃন্দ সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদার আলোকে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। সভায় প্রশ্নের সংক্ষিপ্ত লিখিত উত্তর বিশিষ্ট পরীক্ষা পদ্ধতি অনুসরণ করার প্রস্তাব করা হয়।