এক বছরের মধ্যেই শেষ হবে ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষা
বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের ৪৩তম বিসিএসের সকল কার্যক্রম শেষ করা হবে এক বছরের মধ্যে। এ লক্ষে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) একটি রোডম্যাপ তৈরি করেছে। পরীক্ষা যখনই শুরু হোক, তার এক বছরের মধ্যেই কার্যক্রম শেষ করা হবে বলে পিএসসি চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন জানিয়েছেন।
আরো পড়ুন- ৪৩ তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০২১
সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন বলেছেন, বিসিএস পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনার ব্যাপারে কাজ করছে পিএসসি। আমরা একটি রোডম্যাপের আলোকে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি শেষ করতে চাই। এই রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেয়ার এক বছরের মধ্যে প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইভা শেষ হয়ে যাবে। রবিবার (৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
৪৩তম বিসিএস থেকেই রোডম্যাপ অনুযায়ী পরীক্ষা নিতে চায় পিএসসি জানিয়ে চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমরা ৪৩তম বিসিএস থেকেই এই রোডম্যাপ বাস্তবায়ন করতে চাই। সবকিছু ঠিক থাকলে এই বিসিএস দিয়েই আমাদের এই প্রক্রিয়ার যাত্রা শুরু হবে।
পিএসসি চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘আমাদের তিন ধাপে খাতা মূল্যায়ন করা হয়। ৩ পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়নের জন্য অনেক বিলম্ব হচ্ছে। তৃতীয় পরীক্ষকের প্রয়োজন আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পরীক্ষকের নম্বরে বড় ব্যবধানে না থাকলে তৃতীয় পরীক্ষকের মূল্যায়ন কার্যক্রম বাতিল করা হতে পারে। এজন্য একটি রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে।’
পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪৩তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন কার্যক্রম চলবে। মার্চের যেকোনো সময় প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে পিএসসির ওয়েবসাইটে ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ‘পরীক্ষার সময় জানিয়ে দেয়া হবে’।
আরো পড়ুন- ৪২তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০২০
করোনা পরিস্থিতির কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ও পাসকোর্সে মাস্টার্সের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে সেসব পরীক্ষা আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘বিসিএসে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হলে তারা প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুমোদনপত্র এনে বিসিএসের জন্য আবেদন করতে পারবে।’
উল্লেখ্য ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসনে ৩০০ জন, পুলিশে ১০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, শিক্ষায় ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেয়া হবে।