বিসিএস প্রিলিতে বার বার ব্যর্থ হওয়ার কারণসমূহঃ
বিসিএস প্রিলিতে বার বার ব্যর্থ হওয়ার কারণসমূহঃ-
একই বিষয়ের বিষয়ের উপর বার বার বই বদল। টেবিলের দিকে তাকিয়ে দেখেন তো প্রত্যেকটা বিষয়ের জন্য কয় সেট করে বই জোগাড় করেছেন! যেকোনো একসেট গাইড অন্তত ৫বার পড়ার পরে বলবেন পড়া হয়েছে৷ তারপর যদি পারেন তাহলে আরও পড়েন৷
সকল টপিক ভাসা ভাসাভাবে আয়ত্ত করা৷ একটি টপিক শেষ করাই যেন মূখ্য উদ্দেশ্য।
নতুন একটা টপিক ধরলে অন্য টপিকে যাওয়ার জন্য সেই টপিকটি শেষ করতে উঠে পরে লাগেন। এ যেন ১০টার ট্রেনে উঠছেন ট্রেন মিস হয়ে গেলেই সমস্যা। দিনশেষে এই তাড়াহুড়োর ফলে বইটি শেষ হয় ঠিকই, ওই পড়া পরীক্ষার হলে কোনো কাজে আসে না৷
প্রিলির পড়া টাকে লিখিত’র সাথে সমন্বয় করতে না পারা৷ প্রিলির পড়ার সাথে লিখিত’র যে ৮০% মিল আছে তা ধরতে ব্যর্থ হওয়াই প্রিলি ফেলের জন্য যথেষ্ট।
প্রচুর পরিমাণে MCQ নির্ভর হয়ে যাওয়া। সারাদিন প্রশ্ন ও ব্যাখা – এ ধরণের পড়া বেসিক টা কে ধ্বংস করে দেয়।
রিভিশনের প্রতি অতি মাত্রায় উদাসীনতা। প্রতিদিন নতুন নতুন টপিক ধরে না পড়ে ৭০% পুরোনো পড়ার(রিভিশন) সাথে ৩০% নতুন পড়া যুক্ত করতে ব্যর্থ হওয়া৷
যেকোনো বিষয়ে প্রতিটা টপিকের জন্য কিছু মৌলিক জায়গা থাকে সেগুলো শনাক্ত করতে ব্যর্থ হওয়া যার ফলশ্রুতিতে ঘোড়াকে গাধা ভেবে এগিয়ে যান এবং হিসাবের খাতায় একটা খচ্চর দেখতে পান৷
সকল বিষয়ের উপর সমানভাব গুরুত্ব দিতে না পারা৷ নির্দিষ্ট ২/৩টা বিষয়েই ৮০/৯০ শতাংশ সময় ব্যয় করলে। ব্যালেন্স ডাইট টা তো বুঝতে হবে৷ আমিষ গুরুত্বপূর্ণ বলে গলা পর্যন্ত খাবেন তাহলে BMI তে তো গড়মিল হবেই।
প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে পিএসসি’র প্রশ্নের জায়গা টা ধরতে ব্যর্থ হওয়া৷ মনে রাখতে হবে ৬০% প্রশ্নই সেট হয় মাত্র ১০% জায়গা থেকে এবং এই জিনিসটা তখনই ধরতে ব্যর্থ হন যখন গাইড বা বিভিন্ন জব সলিউশনের প্রশ্নের ধরাবাঁধা ব্যাখার উপর নির্ভর করলে।
প্রতিটি টপিকের ব্যতিক্রমী ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো শনাক্ত করে আলাদা করা বা নোট করে সেগুলোর উপর অধিক যত্নশীল না হলে।
বি.দ্রঃ মৌলিক পড়াশোনা বলতে 6-12 এর বোর্ডবইকে বোঝানো হয় নি৷
Written By -অভি