ক্যাম্পাসশিক্ষা নিউজ

প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কবে শুরু হবে?

প্রাথমিক শিক্ষক বদলি কবে শুরু হবে? বদলির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত শিক্ষকরা বদলির আবেদন (http://myschool.eis.dpe.gov.bd) করতে পারবেন। এর এক সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রথম পেইজে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে লগ ইন করতে হবে। অনলাইন আবেদন ফরম পূরণের ধাপ- ব্যবহারকারীর ধরন- এখনে আপনাকে পদবী যেমন : সহকারী শিক্ষক/প্রধান শিক্ষক/সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার/উপজেলা শিক্ষা অফিসার/জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার/বিভাগীয় উপপরিচালক/মহাপরিচালক করেতে হবে। শিক্ষক পিন নম্বর (ই-প্রাইমারি থেকে প্রাপ্ত অথবা মোবাইল নম্বর (ই-প্রাইমারি স্কুল সিস্টেমে ব্যবহৃত) তথ্যগুলো সঠিকভাবে দিয়ে “লগইন করুন” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে প্রবেশ করতে হবে।

 

লগইন করুন বাটনে ক্লিক করলে পরবর্তী ধাপে ‘ই-প্রাইমারি স্কুল সিস্টেম’-এ নিবন্ধিত শিক্ষকের তথ্য (শিক্ষকের নাম, স্থায়ী ঠিকানা, পদবি, যোগদানের তারিখ, বর্তমানে কর্মরত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বদলিতে আগমনের তারিখ, কর্মরত প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত পদের সংখ্যা, ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা) দেখাবে। তথ্যগুলো সঠিক হলে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার বাটনে ক্লিক করতে হবে (তথ্যের ভুল থাকলে ই-প্রাইমারি সিস্টেম হতে হালনাগাদ করে নিতে হবে)। এর পরের ধাপ/পেজ-এ বদলির ধরন নির্ধারন করতে হবে। বদলিরর ধরণ : একই উপজেলা/থানা অথবা আন্তঃ উপজেলা/থানায় বদলির আবেদন অথবা আন্তঃ জেলা বদলির আবেদন অথবা আন্তঃ বিভাগ বদলির আবেদন অথবা সিটি কর্পোরেশন বদলির আবেদন। বদলির ধরন মূলত কোথা হতপ কোথায় বদলিতে গমন করতে চান তা বোঝানো হয়েছে।

এক্ষেত্রে একজন একই থানা/উপজেলা, আন্তঃথানা/উপজেলা, আন্তঃজেলা, আন্তঃবিভাগ ও সিটি কর্পোরেশন-এর এক স্কুল হতে অন্য স্কুলে বদলির আবেদন করতে পারবেন। সর্বশেষ, বদলির ধরন নির্বাচন করতঃ আবেদন সাবমিট করলে আপনার প্রোফাইলে বদলির আবেদনটি দেখা যাবে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে কিভাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালিত হবে তার একটি নির্দেশিকা প্রস্তুত করে দেশের প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এছাড়া আগামী ১ নভেম্বর থেকে সংক্ষিপ্ত পাঠ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা প্রকাশ করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। সেই হিসেবে অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূলে না আসলে নভেম্বরেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।

এ প্রসঙ্গে সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, আমাদের কাছে সবার আগে প্রাধান্য পাবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টি। তাদের নিরাপত্তা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে না আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। যে যাই প্রস্তাব দিক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।

সিনিয়র সচিব আরও বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শীতে করোনা বাড়তে পারে, সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখন কোনও সিদ্ধান্ত নেবো না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না।

এদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

বৈঠকের পর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো। তারা যখন মনে করবে তখনই খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। তবে অনলাইনে পাঠদান চলছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। করোনার কারণে পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। করোনার কারণে পিছিয়ে গেছে এইচএসসি পরীক্ষাও।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply