পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতেই হবে
এইচএসসি না হলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতেই হবে। সরকারি উদ্যোগে এবার বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ই গুচ্ছ পদ্ধতির আওতায় আসছে। কাজেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ছোটাছুটি কিছুটা কমবে। শিক্ষা প্রদানের ধারা ভিন্ন হওয়ায় জাতীয় এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আলাদা ভর্তি করাবে। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো পরীক্ষা ছাড়া কেবল জিপিএর ভিত্তিতে ভর্তি নেবে।
ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, জিএসটি এবং কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জিএসটি গ্রুপ : ইতোমধ্যে দুটি বৈঠক হয়েছে এই গ্রুপের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পরীক্ষা হবে ১০০ নম্বরে এমসিকিউ পদ্ধতিতে। তিনটি বিভাগের জন্য তিনটি পরীক্ষা থাকবে। বিভাগ পরিবর্তনের জন্য প্রচলিত ‘ডি’ নামে কোনো ইউনিট থাকবে না। একজন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী যদি মানবিক বা বাণিজ্য বিভাগের বিষয়ও পড়তে চায় তাহলে তাকে বিজ্ঞান বিভাগেই পরীক্ষা দিতে হবে। তেমনি বাণিজ্য শাখার কেউ মানবিকের বিষয় পড়তে চাইলে নিজের বিভাগেই পরীক্ষা দিতে হবে। এই বিষয়টি মানবিক শাখার ক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করা হবে।
ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৬ পেতে হবে। কোনো পরীক্ষায় জিপিএ-৩ এর কম থাকলে আবেদন করা যাবে না। বাণিজ্য বিভাগের জন্য ওই দুই পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৬ দশমিক ৫ থাকতে হবে। এখানেও কোনো পরীক্ষায় জিপিএ-৩ এর কম থাকলে আবেদন করা যাবে না। আর বিজ্ঞানে দুই পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৭ থাকতে হবে। এখানেও কোনো পরীক্ষায় জিপিএ-৩ এর কম থাকলে আবেদন করা যাবে না। দ্বিতীয় বারে ভর্তিচ্ছুরাও আবেদন করতে পারবেন।
পরীক্ষার নম্বর বণ্টনও প্রকাশ করা হয়েছে। মানবিক বিভাগের পরীক্ষা হবে বাংলা, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের ওপর। এর মধ্যে বাংলায় ৪০, ইংরেজিতে ৩৫ এবং আইসিটিতে ২৫ নম্বর থাকবে। ব্যবসা শিক্ষায় হিসাববিজ্ঞানে ২৫ নম্বর, ব্যবস্থাপনায় ২৫ নম্বর, ভাষায় ২৫ (বাংলায় ১৩ ও ইংরেজিতে ১২ নম্বর) এবং আইসিটি বিষয়ে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ভাষা দক্ষতায় ২০ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ১০ ও ইংরেজিতে ১০ নম্বর থাকবে। এছাড়া রসায়ন ২০, পদার্থ ২০ এবং আইসিটি, গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে আইসিটি, গণিত ও জীববিজ্ঞানের মধ্যে যেকোনো দুটিতে পরীক্ষা দিতে হবে। প্রতিটির নম্বর থাকবে ২০ করে।