শিক্ষা খবরশিক্ষা নিউজ

পরীক্ষায় ভালো করার কৌশল ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

পরীক্ষার নাম শুনলে কম বেশি সবারই হৃদস্পন্দন কয়েক গুণ বেড়ে যায় 2024। পরীক্ষা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ বা চিন্তা থাকাটাই স্বাভাবিক। এই চিন্তা বা উদ্বেগই পরীক্ষায় ভালো করার মূল চালিকাশক্তি। পরীক্ষা নিয়ে যার কোনো ভাবনাই নেই তার প্রস্তুতিতে যথেষ্ট ঘাটতি থেকে যায়। পড়ালেখা থাকলেই পরীক্ষা থাকবে। এর থেকে বাঁচার কোন উপায় নেই। আর তাই পরীক্ষায় ভাল ফলাফল সবারই কাম্য।

এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স, ডিগ্রি, মাস্টার্স পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষায় ভালো করার কৌশল ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ নিয়ে এখানে আলোচনা করা হবে। পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন এর জন্য কিছু কৌশল অনুসরণ করতে হয়। সাফল্য অর্জনের মূলমন্ত্র হলো আত্মবিশ্বাস ও ভালো গাইডলাইন। আত্মবিশ্বাস থাকলে সবকিছু সম্ভব। লেখাটি পড়ে আসন্ন পরীক্ষার জন্য ব্যস্ত শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে আশা করি।

পরীক্ষায় ভালো করার কৌশল ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ

একনজরে এই পোষ্টে কি কি থাকছে দেখে নিন

পরীক্ষার খাতায় ভালো নম্বর পাবার কয়েকটি কৈশল 2024

পরিষ্কার হাতের লেখা:
হাতের লেখা ভালো হতে হবে এমন কোন কথা নেই। তবে হাতের লেখা পরিষ্কার হতে হবে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, “আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী” অর্থাৎ প্রথমে দর্শনে ভালো হতে হবে পরে গুণের বিচার করা হবে। আর তাই পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখা ভালো হলে পরীক্ষকের একটা আলাদা আকর্ষণ তৈরি হয়। সর্বোপরি, সুন্দর ও স্পষ্ট হাতের লেখা পরীক্ষার্থীর সম্পর্কে একটা ইতিবাচক ধারণা তৈরী করে যার প্রভাব সম্পূর্ণ খাতার উপরেই পড়ে। কাটা-ছেঁড়া কম করার চেষ্টা করবে, কাটা গেলে একটান দিয়ে কাটবে।

প্যারা করে লেখা:
উত্তরপত্রে লেখা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আরেকটি দিক খেয়াল রেখে উত্তর করা যেতে পারে, তা হল প্যারা করে লেখা। প্যারা করে লিখলে একই সাথে তোমার উপস্থাপিত তথ্য ভালোভাবে শিক্ষকের চোখে পড়ে এবং তোমার উপস্থাপিত তথ্যও সুস্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়। উত্তর লেখার সময় পয়েন্ট সহকারে প্যারা করে লিখতে হবে আর খেয়াল রাখতে হবে উভয় প্যারার মাঝে দূরত্ব লাইনের মধ্যবর্তী দূরত্বের দ্বিগুণ হবে।

নানা রঙের কলম ও কালি ব্যবহার:
অনেকে পরীক্ষার খাতায় নানা রঙের কলম ও কালি ব্যবহার করে থাকে। এতে সময় যেমন নষ্ট হয় তেমনি খাতার উপস্থাপনার সৌন্দর্যও নষ্ট হয়। তাই তোমরা এ রকমটি করবে না। মার্জিন করার ক্ষেত্রে একটি ভালো মানের পেন্সিল ব্যবহার করবে। বিশেষ পয়েন্ট চিহ্নিত করার জন্য সবুজ, নীল বা হলুদ যে কোনো একটি অথবা তোমার লেখার কলম অথবা মার্জিনের পেন্সিলটিও ব্যবহার করতে পার। নানা রকম অতিরঞ্জিত কালি ব্যবহার করলে খাতার সৌন্দর্য নষ্ট হবে এবং তা নম্বর পাওয়াতেও প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রশ্নপত্র ভালোভাবে পড়া:
পরীক্ষার সময় ধৈর্য সহকারে প্রশ্নের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে ফেলো। অনেক শিক্ষার্থীরই অভ্যাস পুরো প্রশ্ন না পড়েই উত্তর করা শুরু করা। সময় বেশি লাগলেও ধৈর্য সহকারে কাজ কর। প্রশ্নে যে রকম চেয়েছে তাই বুঝিয়ে লেখার চেষ্টা করো। উত্তর উপস্থাপনের সময় প্রশ্নের সাথে প্রসাঙ্গিক উত্তর করার চেষ্টা করো। অযথাই এক কথা বারবার লিখে উত্তর অপ্রাসঙ্গিক করলেও নাম্বার তেমন আসে না! তাই খেয়াল রাখো প্রশ্নে কী চেয়েছে। পরীক্ষার হলে প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না।

কখনো কিছু ছেড়ে আসবে না:
পরীক্ষায় খালি খাতা দিয়ে জমা দিয়ে আসার চাইতে কিছু লিখে আসা অনেক অনেক ভালো। হারাবার তো কিছু নেই, তাই না? খালি খাতা দিলে নিশ্চিত ০ পাবে। তার চাইতে কিছু তো লিখে আসতে পারো।

নিশ্চিত প্রশ্ন সবার আগে:
যেটা পারো, সেটা আগে উত্তর করো। জটিল কাজ আগে করে লাভ নাই। যে উত্তর ভালোভাবে পারো না সেটা নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করবে না।

গাদা গাদা লুজ শিট নেয়ার প্রতিযোগিতা:
অনেকেরই ধারণা থাকে পরীক্ষায় অনেক লুজ শিট নিয়ে খাতা ভারি হলেই তা বেশি নম্বর প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে। এই চিন্তা বাদ দাও। আরবি পরীক্ষা বা বাংলা পরীক্ষায় অনেক সময়ে পরীক্ষকেরা খাতার পৃষ্ঠা গুনে নম্বর দেন। কিন্তু সেগুলো বাদে বাকি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ইনিয়ে বিনিয়ে লিখে পাতার পর পাতা ভরাবার মানে নাই।

শুধু খাতা ভরিয়ে লেখা নয়:
অনেক শিক্ষার্থী সঠিক উত্তর না জেনেই শুধু খাতা ভরিয়ে লিখে ফেলে। তারা মনে করে শিক্ষকরা না পড়েই নাম্বার দেন। তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। শিক্ষকরা নাম্বার প্রদানের ক্ষেত্রে খুব সচেতন। তাই প্রতিটি শিক্ষার্থীর উচিত স্পেসিফিকভাবে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া। অর্থাৎ অযাথা খুব বড় লেখার কথা চেষ্টা না করে, প্রয়োজনীয় অংশটুকুই লেখা উচিত।

সময় মেপে কাজ করো:
পরীক্ষার হলে সময় মেপে কাজ করা মূখ্য বিষয়। অবশ্যই সময়ের দিকে দৃষ্টি রাখবে। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় লেখার অনেক কিছু আছে কিন্তু হাতে সময় নেই। সেজন্য পুরো প্রশ্নকে আগেই সময় অনুসারে ভাগ করে নিবে। চেষ্টা করবে পরীক্ষার হলে ডিজিটাল ঘড়ি ব্যবহার করতে, যাতে নিখুঁতভাবে সময়ের হিসাব থাকে। পরীক্ষা শেষে কোনটা ঠিক হলো, কোনটা ভুল হলো তার হিসাব করা একেবারেই বাদ দাও।

আত্মবিশ্বাস:
পরীক্ষার হলে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি তা হল আত্মবিশ্বাস। পরীক্ষার আগে তুমি যা যা পড়েছো তা সঠিকভাবে খাতায় উপস্থাপন করে আসাটাই মাথায় রাখবে শুধু। আর কিছু নয়! যা শিখে গেলে তা যদি অতিরিক্ত টেনশনে ভুলে গিয়ে লিখে দিয়ে আসতে না পারো তাহলে লাভ নেই। পড়াশোনা আর পরীক্ষা শব্দ দুটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটিকে ছাড়িয়ে আরেকটি কল্পনা করা যায় না। পরীক্ষার হলে প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ে যাওয়া যাবে না। আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে।

পরীক্ষা ছাড়া যেমন কি পড়াশোনা করলে তা মূল্যায়ন করা যায় না তেমনি পড়াশোনা না করলে পরীক্ষাতেও তুমি যথাযথ মূল্যায়ন পাবেনা। তোমার পড়াশোনার পরিমাণের উপর নির্ভর করবে তোমার পরবর্তী কর্ম জীবনের সফলতা। আর পরীক্ষার হলে একটু সচেতন থাকলে আর যা কিছু পড়েছো তা ভালভাবে পরীক্ষার খাতায় লিখে আসতে পারলে আশানুরূপ ফলাফল পাবে আশা করা যায়।

পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই নিজেকে প্রস্তুত করে নিবে। পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আগে ভাগে গুছে রাখবে। আর পরীক্ষার হলে অবশ্যই ৩০-৪০ মিনিট পূর্বে যাওয়ার চেষ্টা করবে। সর্বশেষ ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। পরীক্ষায় ভালো করার কৌশল ও গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group