জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে ভ্যাক্সিনের জন্য নিবন্ধনের নির্দেশ ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

এখনও যারা ভ্যাকসিন গ্রহণ করেননি তাদেরকে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন সম্পন্ন করে কোভিড-১৯ এর টিকা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত জরুরি নির্দেশনা অধিভুক্ত সকল
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।

http://103.113.200.28/student_covidinfo

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোভিড-১৯ রেজিস্ট্রেশনের জন্য ওয়েবসাইট লিংক

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, যেসব শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বা ১৮ এর বেশি এবং যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদেরকে
আগামী ৩ কার্যদিবস অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করে এর নম্বর এই লিংকে http://103.113.200.28/student-covidinfo/ প্রবেশ করে দিতে হবে। সনদপ্রাপ্তি সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী যাতে
স্থানীয় পর্যায়ে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন পেতে পারে সে লক্ষ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যারা ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন এর প্রথম/দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন, তাদের তথ্য অতিসত্ত্বর জাতীয়
বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হবে।

কোভিড-১৯ রেজিস্ট্রেশনের জন্য ওয়েবসাইট লিংক

http://103.113.200.28/student_covidinfo

ছাত্র-ছাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনেশন কার্যক্রম সংক্রান্ত আলােচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত তথ্য জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, বিগত ১১/০৮/২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত সভায় ছাত্র-ছাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোডিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্র ছাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান পদ্ধতি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন- ১৮ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকার নিবন্ধন শুরু

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য তথ্য ইউনিটের প্রধান ডা. শাহ আলী আকবর আশরাফী সভাকে অবহিত করেন যে আজ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১,৯৭,৭৭৭ জন ছাত্র-ছাত্রী সুরক্ষা সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছেন এবং ৯৯,৮৭৩ জন ১ম ডােজ গ্রহণ করেছেন।

নির্বাচন কমিশনের মহাপরিচালক, জনাব এ কে এম হুমায়ূন কবীর, এনআইডি উইং এনআইডি সার্ডার থেকে তথ্য ব্যবহার করে ১৮-২৫ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা সিস্টেমে রেজিস্ট্রেশন করার ব্যাপারে সম্মতি প্রকাশ করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ছাত্র/ছাত্রীদের এনআইডি নিবন্ধনের সময় পেশা হিসেবে ছাত্র উল্লেখ করা হচ্ছে।

তদুপরি ছাত্রছাত্রীদের নিবন্ধনকালে পেশা হিসেবে “ছাত্র” লিখা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে তিনি অবিলম্বে সকল নির্বাচন অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করবেন মর্মে সভায় অবহিত করেন।

এ পর্যায়ে জনাব মুহাম্মদ আশরাফ হােসেন, সিস্টেম ম্যানেজার, এনআইডি উইং, জনাব মাসুম বিল্লাহ, সিস্টেম ম্যানেজার, তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর, জনাব একেএম হুমায়ূন কবীর, মহাপরিচালক, জাতীয় পরিচয়পত্র উইং এবং জাতীয় পরিচয়পত্র উইং সংশ্লিষ্ট কারিগরি কর্মকর্তাগণ আলােচনায় অংশগ্রহণ করেন।

সভায় জনাব হারুন-অর-রশিদ, প্রােগ্রামার, তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর অবহিত করেন যে, বর্তমানে মােট ৫ লাখ ১৭ হাজারের বেশী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রী সুরক্ষা সিস্টেমে রয়েছে। অবশিষ্ট ১৮ বা তদুর্থ বয়সের ছাত্র-ছাত্রীদেয় পরিচয়পত্রের ভিত্তিতে সরাসরি নিবন্ধনের সুযােগ দেয়া হলে অধিক সংখ্যক ছাত্র/ছাত্রীদের ভ্যাক্সিনের আওতায় আনা সহজ হবে।

সেক্ষেত্রে এনআইডি উইং, এনআইডি নিবন্ধনের সময় পেশা হিসেবে “ছাত্র” উল্লেখ করলে তাদের ভ্যাক্সিন গ্রহনের জন্য নিবন্ধনের কাজটি সহজ হবে। এছাড়া এনআইডি উইং তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে পেশার তথ্য প্রদান করতে পারে। সিস্টেম ম্যানেজার, এনআইডি উইং জানান, এনআইডি নিবন্ধনকালে সকল ছাত্র-ছাত্রীর পেশা”ছাত্র” হিসেবে উল্লেখ করা থাকে।

মহাপরিচালক, এনআইডি উইং জানান ছাত্র-ছাত্রীদের এনআইডি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে পেশা উল্লেখ করা হচ্ছে। এ বিষয়ট সুনিশ্চিত করার জন্য সকল নির্বাচন অফিসারকে অবিলম্বে নির্দেশনা দেয়া হবে। জনাব মাসুম বিল্লাহ জানান যে বর্তমানে এনআইডি সার্ভার থেকে নাগরিকদের নাম (বাংলা ইংরেজি), পিতার নাম, মাতার নাম, লিঙ্গ এবং অন্ম-তারিখ এই ৫টি তথ্য নেয়া হয়।

এ তথ্যের সাথে পেশার তথ্য দেয়া হলে ছাত্র- ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজ হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য টিকাদান কেন্দ্রে ছাত্র-ছাত্রীগন তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে পারেন মর্মে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

সভায় বিস্তারিত আলােচনাঅন্তে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহীত হয়:

• এনআইডি সার্ভার থেকে বর্তমানে যে ৫টি তথ্য নেয়া হয় তার পাশাপাশি “পেশা”-এর তথ্যও নেয়া হবে। ১৮-বা তদুর্ধ বয়সের ছাত্রছাত্রীদের এনআইডি নিবন্ধনের সময় পেশা হিসেবে শুধু “ছাত্র” উল্লেখ করতে হবে।

• ১৮-বা তদুর্ধ বয়সের ছাত্র/ছাত্রীগণ এনআইডির ভিত্তিতে সুরক্ষা apps এর মাধ্যমে সরাসরি রেজিস্ট্রশন করতে পারবে। সুরক্ষা সিস্টেমে শ্রেণী নির্বাচনের ক্ষেত্রে “বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী” ক্যাটাগরির পরিবর্তে “১৮ বছর বা তদুর্ধ ছাত্র/ছাত্রী” ক্যাটাগরি অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে সুরক্ষা টিম প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

• ১৮ বছর বা তদর্ধ বয়সের ছাত্র-ছাত্রীদের কোন প্রকার হােয়াইট লিস্টিং এর প্রয়ােজন পড়বে না।

• টিকাদানের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য টিকাদান কেন্দ্রে ছাত্র-ছাত্রীগন তাদের শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড প্রদর্শন করবে।

• বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের এনআইডি উইং ১৮ বছর বা তদুর্ধ বয়সের ছাত্র/ছাত্রীদের আবেদনপ্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্রুততার সাথে নিবন্ধন সম্পন্ন করে এনআইডি কার্ড ইস্যু করবে।