২০২২ ও ২০২৩ সালের এস.এস. সি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
২০২২ ও ২০২৩ সালের এস.এস. সি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আর এসএসসি পরীক্ষা আগামী বছর এপ্রিল এবং এইচএসসি জুনে নেয়া হবে বলে নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা ২০২২ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী নেয়া হবে। আর ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য ঘোষিত ১৮০ দিনের সিলেবাস অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় গত ১৫ই মার্চ থেকে শিক্ষার্থীরা সশরীরে সপ্তাহে ছয়দিন করে শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত যদি পুরোদমে ক্লাস চালু রাখা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীরা নবম ও দশম শ্রেণিতে সর্বমোট ১৬২ কর্মদিবস শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবেন।
স্বাভাবিক অবস্থায় এই দুটো শ্রেণি মিলিয়ে ৩১৬টি ক্লাস হওয়ার কথা। সর্বোপরি তারা ২০২০ সালের জেএসসি ও জেডিসি এবং নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা দিতে পারেনি। তবে তাদের অনেকেই অনলাইন ক্লাস ও অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। এসব ক্লাস এবং অ্যাসাইনমেন্টগুলো ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের জন্য ১৫০ কর্মদিবসের পরিমার্জিত সিলেবাস অনুসারেই পরিচালিত হয়েছে। এসব বিবেচনায় ২০২৩ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা ২০২২ সালের পরীক্ষার জন্য ঘোষিত যে পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস, সে অনুসারেই হবে।
তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ক্লাস করার কথা ছিল। কিন্তু তারা ক্লাস শুরু করতে পেরেছে ২০২২ সালের ২ মার্চ থেকে। অর্থাৎ তারা ৮ মাস ক্লাস করার সুযোগ পায়নি। আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম চালু থাকলে তারা সর্বমোট ২০০ কর্মদিবস শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবে। স্বাভাবিক অবস্থায় তারা ৩৩০ কর্মদিবস শ্রেণি কার্যক্রমে অংশ নিতে পারতো। তারা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ২০২১ সালের এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। এমতাবস্থায় ২০২৩ সালের এইচএসসি, আলিম ও সমমানের পরীক্ষা ২০২২ সালের পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ১৮০ কর্মদিবসের যে পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি, সেই অনুসারেই হবে।