শিক্ষা খবর

ওযু করার সঠিক নিয়ম ও নিয়ত যেনে নিন

ওযু করার সঠিক নিয়ম ও নিয়ত যেনে নিন। ওযু আরবি শব্দ। এর অর্থ হলো নির্দিষ্ট চারটি অঙ্গ পানি দিয়ে ধৌত করা। ওযু সঠিক না হলে নামাজ শুদ্ধ হয় না। তাই সঠিক নিয়মে ওযু করতে হবে। চলুন তাহলে ওযু / অজুর দোয়া, নিয়ত ও ওযু করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জেনে নেই।

 

কা’বা শরীফের দিকে মুখ করে অজু করতে বসিবে

পাক পানির বদনা /মগ বাম পার্শ্বে রেখে অজুর দোয়া (বিসমিল্লাহিল আলিয়্যিল আজীম…….) পড়ে তারপর অজুর নিয়ত করতে হবে। (আরবি নিয়ত না জানলে বাংলাতেই করতে হবে)

এরপর প্রথমে দু-হাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করতে হবে। প্রথমে ডান হাত এবং পরে বাম হাত ধুতে হবে এবং হাতের আঙ্গুলগুলো খেলাল করবে।

তারপর ডান হাতে পানি নিয়ে তিনবার গড়গড়া সহ কুলি করতে হবে। ( রোজাদার হলে গড়গড়া করা যাবে না)

এরপর নাকে পানি দিয়ে তিনবার নাক পরিষ্কার করতে হবে। (বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ও কনিষ্ঠ আঙ্গুল নাকের ছিদ্রে প্রবেশ করায়া নাক সাফ করবে।)

তারপর তিনবার সমস্ত মুখমণ্ডল এমনভাবে ধৌত করতে হবে যাতে চুল পরিমাণ জায়গাও শুকনো না থাকে। দাড়ি ঘন হলে খিলাল করতে হবে।

অতঃপর ডান হাত এবং পরে বাম হাত কনুই পর্যন্ত তিনবার ধৌত করতে হবে। হাতে ঘড়ি, আংটি ইত্যাদি থাকলে তা নাড়াচাড়া করতে হবে যাতে সবখানে পানি পৌঁছায়।

 

তারপর দুহাত ভিজিয়ে মাথা ও কান মাসেহ্ করতে হবে। মাসেহ্ করার সময় দু-হাতের বুড়ো ও শাহাদাত আঙ্গুলি আলাদা রেখে বাকি তিন আঙ্গুলি মিলিয়ে আঙ্গুলিগুলোর ভিতর দিক দিয়ে কপালের চুলের গোড়া থেকে পিছন দিকে মাথার এক-চতুর্থাংশ মাসেহ্ করতে হবে। এরপর শাহাদাত আঙ্গুলি দিয়ে হাতের আঙ্গুলিগুলোর পিঠ দিয়ে ঘাড় মাসেহ্ করতে হবে।

তারপর প্রথমে ডান পা এবং পরে বাম পা তিনবার গিরা পর্যন্ত ভালোভাবে ধৌত করতে হবে যাতে একটু জায়গাও বাকি না থাকে। পায়ের আঙ্গুলগুলো খিলাল করতে হবে।

ওযু করার সঠিক নিয়ম ও নিয়ত যেনে নিন

ওযু করার সঠিক নিয়ম ও নিয়ত যেনে নিন ওযু করার সঠিক নিয়ম ও নিয়ত যেনে নিনওযু করার সঠিক নিয়ম ও নিয়ত যেনে নিন

অজুর কাজগুলো পরপর করে যেতে হবে। অর্থাৎ, এক অঙ্গের পর অন্য অঙ্গ সাথে সাথে ধৌত করতে হবে। অনেকক্ষণ থেকে থেমে করা যাবে না।

 

ওজুর মাকরূহ ও ভঙ্গের কারণ:

ওজু ভঙ্গের কারণসমূহ: যে সব কারণে ওজু ভঙ্গ হয় বা নষ্ট হয় তা হলো-

 

পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া।

দেহের কোনো অংশ থেকে রক্ত, পুঁজ বের হয়ে যদি পবিত্র হওয়ার বিধান প্রযোজ্য হয়। অর্থাৎ গড়িয়ে পড়ে।

মুখ ভর্তি বমি অর্থাৎ বেশি পরিমাণে বমি হলে।

নাক দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হলে।

ঘুমানো- চিৎ হয়ে; কাত হয়ে; হেলান দিয়ে কিংবা কোনো কিছুর সঙ্গে ঠেস দিয়ে ঘুমালে যা সরিয়ে ফেললে ঘুমন্ত ব্যক্তি পড়ে যাবে।

অজ্ঞান হওয়ার পর; এমন অজ্ঞান যাতে বোধ শক্তি লোপ পায়।

অপ্রকৃতিস্থতা। যা ঘুম বা নিদ্রার চেয়েও প্রবল।

রুকু-সাজদা বিশিষ্ট নামাজে অট্ট হাসি; তবে জানাজা নামাজে, তিলাওয়াতে সিজদায় এবং নামাজের বাইরে হাসলে অযু নষ্ট হবে না।

পিছনের রাস্তা দিয়ে অর্থাৎ পায়খানার রাস্তা দিয়ে কীট বের হলে পবিত্রতা অর্জন তথা অযু করতে হবে।

ফোঁড়া বা ফোস্কার চামড়া তুলে ফেলার কারণে যদি পানি বা পুঁজ বের হয়ে  ফোঁড়া বা ফোস্কার মুখ অতিক্রম করে তাহলে পবিত্র নষ্ট হবে।

পুরুষ ও মহিলার গুপ্তাঙ্গ কোনো অন্তরায় ব্যতিত একত্রিত হলে; বীর্যপাত হোক আর না হোক ওজু নষ্ট হবে।

 

ওযু সমাপ্ত করার পর এই দোয়া বলা মুস্তাহাব: ‘আশহাদু আনলা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহ’। দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “তোমাদের কেউ যখন ওযু করে এবং পরিপূর্ণভাবে পানি পৌঁছায় কিংবা (বলেছেন) পরিপূর্ণভাবে ওযু করে এরপর বলে: ‘আশহাদু আনলা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহ’ (অর্থ- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। তিনি এক। তাঁর কোন শরিক নেই।

 

আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল) তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজায় খুলে দেয়া হয়। সে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে”[সহিহ মুসলিম, ত্বহারাত ৩৪৫; সুনানে তিরমিযিতে আরেকটু অতিরিক্ত এসেছে যে, ‘আল্লাহুম্মাজ আলনি মিনাত্তাওয়্যাবীন ওয়াজ আলনি মিনাল মুত্বাতাহ্হিরীন’ (অর্থ- হে আল্লাহ! আমাকে আপনি তওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন, আমাকে পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন)[সহিহুত তিরমিযি গ্রন্থে (৪৮) আলবানী হাদিসটিকে ‘সহিহ’ আখ্যায়িত করেছেন]

 

Take the right rules and rules to do wudhu. Wudhu is an Arabic word. This means washing the specific four organs with water. If wudhu is not correct, the prayer is not pure. So you have to do wudoo’ in the right way. Let’s not know about the proper rules of wudhu / Azur dua, niyat, and wudhu.

 

আল্লাহ তাআলা বান্দার নামাজ আদায়ের জন্য ওজুকে করেছেন ফরজ। বিনা ওজুতে ফরজ ইবাদত করা পাপের কাজ। আল্লাহ উম্মাতে মুসলিমাকে সব ধরনের অনাচার, পাপাচার থেকে হিফাজত করে মনঞ্জিলে পৌঁছার তাওফিক দান করুন। আমিন।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *