মাস্টার্স শেষ বর্ষ পরক্ষিায় সময় বন্টন ও ভাল নম্বর প্রাপ্তির পদ্ধতি
মাস্টার্স শেষ বর্ষ পরক্ষিায় সঠিক ভাবে সময় বন্টন ও ভাল নম্বর প্রাপ্তির পদ্ধতি:
প্রত্যেক বিভাগের প্রতিপি প্রশ্নের জন্য সঠিক সময় নির্ধারণঃ
১০ মার্কের একটি প্রশ্ন লেখার টাইম পাওয়া যাবে ৩০ মিনিট। কেওই ৩০ মিনিটের বেশি একটা প্রশ্ন লিখবেন না। পারলে ২/৩ মিনিট বাচাবেন যাতে যেটা ভাল পারেন সেটাতে সেই সময়টা কাজে লাগানো যায়। ১০ মার্কের জন্য এটলিস্ট ৬ পৃষ্ঠা লিখার চেষ্টা করবেন। তাহলে গড়ে এক পৃষ্ঠা লিখতে ৪/৫ মিনিট পাবেন। কারো হাতের লিখা স্পিড ভাল তারা অবশ্যই বেশি লিখবেন।
৪ মার্কের একটি প্রশ্ন লেখার টাইম পাওয়া যাবে ১০ মিনিট করে। এখানে ২.৫/৩ পৃষ্ঠা লিখবেন।
প্রশ্নের সাথে পয়েন্টের মিল রাখার চেষ্টা করবেন।
অহেতুক লিখে পৃষ্ঠা বড়ে কোন লাভ নেই। খাতার উপস্থাপনা ও হাতের লিখা এবং প্রশ্নের মূল উত্তরটা অল্প কথায় বুঝাতে পারলেও ভাল মার্ক পাবেন। এমন রেকর্ড আছে অতিরিক্ত কাগজ না নিয়েও থিউরিটিকেল একাধিক বিষয়ে A+ পাবার। মূলত স্যাররা প্রথম ১/২ টা প্রশ্ন পড়লেই বুঝতে পারে স্টুডেন্টা কেমন।
কোন লিখা ভুল হলে তা এক টানে কেটে দিবেন এমন ভাবে কাটবেন যাতে ওবারাইটিং না হয়।
দ্রুত লিখতে গিয়ে এমন ভাবে লিখা যাবে না যাতে কিছুই বুঝা যায় না। লিখা বুঝা না গেলে স্যার খাতা দেখে বিরক্ত হবে, নম্বরও কম দিবে।
খাতার বামে ও উপরে ১ ইঞ্চি মার্জিন করবেন, ডানে ও নিচে ১২ ইঞ্চি জায়গা রাখবেন তাহলে দেখতে ভাল লাগবে।
একটা প্রশ্ন শেষ করে ওই পৃষ্ঠাতেই কখনই নতুন প্রশ্ন শুরু করবেন না। আর প্রশ্নের নম্বর এমন ভাবে মার্ক করে দিবেন যাতে টিচারের চোখে দ্রুত পরে।
প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের সাইজ একই রাখার টেষ্টা করবেন যাতে একটা বেশি বড় আবার একটা বেশি ছোট না হয়।
সংজ্ঞামূলক প্রশ্নে প্রথমেই সূচনা দিবেন তারপর বইয়ের সংজ্ঞা দেন মনীষীদের দুইটা সংজ্ঞা দিবেন তারপর সংজ্ঞাগুলো থেকে কি কি মূল বিষয় পেলেন তার একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিবেন।
Read more মাস্টার্স শেষ পর্ব পরিক্ষায় উত্তর উপস্থাপন, লেখার সময় ও কৌশল
এক মার্কও ছাড়া যাবে না, ৫ মার্কে এটা গ্রেড পরিবর্তন হবে তাই এই দিকটা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
পয়েন্ট হাইলাইট করার জন্য কালার পেন ব্যবহার করতে পারেন।
OMR পেজ পূরণ করতে গিয়ে অনেকেই অনেক সময় ভুল করে ফেলেন সেই ক্ষেত্রে ভুল লিখা একটানে কেটে তার পাশে ছোট করে লিখে দিন। আর বৃত্তের মধ্যে ভুল হলে সেটা কাটার প্রয়োজন নেয় সঠিকটা ভরাট করবেন।
পরীক্ষার শেষ সময় তারাহুরা করা অনেকেই অতিরিক্ত খাতা নিয়ে থাকেন, অতিরিক্ত খাতার সংখ্যা এটেন্ডেন্স সিটে লিখত হয়, মূল খাতার শেষ পৃষ্ঠায় নম্বর লিখতে হয় এবং শিক্ষকের স্বাক্ষর নিতে হয়। শিক্ষকের স্বাক্ষরটাই মূল, নম্বর লেখতে মনে না থাকলেও সমস্যা নাই। তাই সেটি খেয়াল করবেন।
প্রথমে ক এরপর গ এরপর খ বিভাগ দিলে দেখবেন পরীক্ষায় ভাল মতই সবগুলা প্রশ্ন দিতে পেরেছেন। অনেকেই খ আগে দিতে গিয়ে ভাল করে লিখে সময় নষ্ট করে ফেলে পরে গ বিভাগে সময়ের অভাবে শেষের প্রশ্ন গুলা এতটাই ছোট দিয়ে ফেলে যা খ বিভাগের চেয়েও ছোট হয়ে যায়। তাই টাইম মেন্টেন করা মেইন কাজ ঘড়ি ধরে পরীক্ষা দিতে হবে।
এ প্রশ্নের শুরুতে লিখা থাকে ধারাবাহিক ভাবে সকল প্রশ্নের উত্তর দিতে কিন্তু অনেক শিক্ষার্থীরা এমন কি পরীক্ষার হলে থাকা শিক্ষকও ধারাবাহিকতা বলতে কোনটাকে বুঝায় তায় জানে না। ধারাবাহিক ভাবে লিখা বলতে বুঝায় আপনি যে বিভাগ শুরু করেছেন সেই বিভাগ শেষ করে অন্য বিভাগ শুরু করবেন। একেক বার একেক বিভাগ লিখা যাবে না। সবচেয়ে ভাল হয় যে বিভাগ শুরু করবেন সেই বিভাগর সিরিয়াল ঠিক রেখে লিখতে পারলে তাহলে শিক্ষকের খাতা দেখতে সুবিধা হয়। তবে এটা মূল বিষয় নয়। মূল বিষয় হলো এক বিভাগ শেষ করে অন্যটা শুরু করা।
যারা টাইম মেইন্টেন করে ঠিকমত সব দিতে পারবেন তারাই ভাল করবেন। ২/৩ টা পরীক্ষা টাইম মেইন্টেন করে দিতে পারলে পরের গুলাও টাইম মেইন্টেন করতে পারবেন সহজেই। আশা করি সবার কথাগুলা কাজে দিবে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স শেষ বর্ষ ২০২১ সালের পরীক্ষার যথোপোযুক্ত সময় বন্টন
পরীক্ষার মোট সময় = ৪ ঘন্টা (৪ × ৬০) অর্থ্যাৎ ২৪০ মিনিট