পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একের পর এক পরীক্ষা
করোনায় শিক্ষাজীবন নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯ লাখ শিক্ষার্থী। আটকে আছে বেশ কয়েকটি বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা। কবে হবে, সেটি নিয়েও অনিশ্চয়তা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়।
করোনার কারণে গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলো অনলাইনে ক্লাস নিলেও আটকে আছে পরীক্ষা। বিশেষ করে স্নাতক শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় ফলাফল পাচ্ছেন না তারা। ফলে কোনো চাকরির জন্য আবেদনও করতে পারছেন না। ৩য় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ বাকি শুধু ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষা। এ কারণে এই শিক্ষার্থীরা উত্তীর্ণ হতে পারছেন না চতুর্থ বর্ষে। তৈরি হচ্ছে সেশনজট।
শিক্ষকরা বলছেন, এসব পরীক্ষা না নেয়া হলে শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়বেন। এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, পরীক্ষার সবধরনের প্রস্তুতি নেয়া আছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে একের পর এক পরীক্ষা। অনলাইনে এক ইন্টারভিউয়ে ভিসি অধ্যাপক হারুন অর রশিদ ও একই কথা বলেছেন তিনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাবার পরামর্শ দেন, তিনি আরো বলেন আমরা কোন ভাবেই অটোপাস বা পরীক্ষা না নিয়ে ফল প্রকাশ করবো না।
এদিকে, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি অনলাইন সংবাদ সম্মলনে বলেছেন, মাসখানেক পর কারিগরি এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেয়া হবে, তিনি তিনি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাবার পরামর্শ দেন এবং আরো উল্লেখ করেন স্নাতক কোর্সে কোন ভাবেই অটোপাস বা পরীক্ষা না নিয়ে ফল দেয়া ঠিক হবেনা কেননা তারা এই সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরীর বাজারে প্রবেশ করবে এতে তারা সমস্যায় পড়তে পারে এজন্য তিনি শিক্ষার্থীদের আরো ধৈর্যশীল হতে বলেন।
এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রো-ভিসি ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। কোনো অবস্থাতেই অটোপাস দেয়ার ভাবনা নেই তাদের। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে হবে পরীক্ষা।