জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন আর পিছিয়ে নেই
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখন আর পিছিয়ে নেই। যেকোন প্রতিযােগিতামূলক পরীক্ষায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঈর্ষণীয় সাফল্য করছে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। বিশ্বমানের করে নিজেদের তৈরি করতে হবে।
আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) জুম অ্যাপসের মাধ্যমে আয়োজিত ভাইস চ্যান্সেলরস এওয়ার্ড ও রচনা প্রতিযােগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
আরো পড়ুন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলরস এওয়ার্ড প্রবর্তন করে আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি ভাইস চ্যান্সেলর এওয়ার্ডপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে স্বর্ণপদক ও সনদ তুলে দেন। আর রচনা প্রতিযােগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানে দুজন কৃতী শিক্ষার্থী তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ আরো বলেন, আজ আমরা বিশেষ অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের জন্য আনন্দের দিন, স্মরণীয় দিন। অনেক জঞ্জাল পরিষ্কার করে আজকে আমরা এই পর্যায়ে এসেছি। শিক্ষার্থীদের মাঝে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের প্রতিযােগিতা তৈরি করতে হবে। তাহলে আমাদের পরিবেশ ও সমাজ পরিশালিত হবে। এই পুরস্কার প্রবর্তনের মাধ্যমে সেই পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করি।
১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ভাইস চ্যান্সেলর’স এওয়ার্ড প্রবর্তনের কথা থাকলেও এ পর্যন্ত তা প্রদান করা হয়নি। এই প্রথমবার এটি প্রদানের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলােতে অধ্যয়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সেরা ফলাফলধারী ৩০ শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতাে ভাইস চ্যান্সেলরস এওয়ার্ড (স্বর্ণপদক) প্রদান করা হয়েছে। এওয়ার্ড প্রাপ্তদের মধ্যে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে রয়েছেন ২৬ জন আর স্নাতক (পাস) কোর্সে ৪ জন। স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ৩০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৫ জনই ছাত্রী।
আরো পড়ুন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ফলাফলধারী ৩০ শিক্ষার্থী পেলেন স্বর্ণপদক
আর মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়ােজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রােজনামচা গ্রন্থদ্বয় থেকে যা শিক্ষণীয়’ শীর্ষক রচনা প্রতিযােগিতায় বিজয়ী ৪ জনকে নগদ অর্থ ও সনদ দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ, শিক্ষা সচিব মাে. মাহবুব হােসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মাে. গােলাম ফারুক।
এওয়ার্ডপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কলেজসমূহ ছাড়াও অন্যান্য কলেজের অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেট সদস্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আবদুস সােবহান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মীজানুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এম এ মান্নান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েল উপাচায ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিনির্ধারণী বিভিন্ন বডির শীর্ষস্থানীয় সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক ও প্রফেসর ড. কর্মকর্তারা জুম অ্যাপসে যুক্ত ছিলেন।