জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিজিপিএ ৩.৯১ পেয়ে সারাদেশে প্রথম বগুড়ার ছেলে আবু তাকী
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি বিষয়ে ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষায় সারাদেশে প্রথম হয়ে প্রথমবারের মতাে ভাইস চ্যান্সেলর’স এওয়ার্ড (স্বর্ণপদক) জয় করলেন বগুড়ার ছেলে আবু তাকী। তিনি বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় সিজিপিএ-৪ এর মধ্যে ৩ দশমিক ৯১ পেয়েছেন।
আরো পড়ুন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ফলাফলধারী ৩০ শিক্ষার্থী পেলেন স্বর্ণপদক
আবু তাকী বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সাতচুয়া গ্রামের মৃত আলহাজ্ব মাওলানা মো আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তার সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো হয়েছে ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ২০১৭-এর মেডেল ও সনদপত্র। গত ১০ ফেব্রুয়ারি মেডেল ও সনদপত্র আবু তাকীর হাতে তুলে দেন অত্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহজাহান আলী।
জানা গেছে, বাবা-মায়ের চার ভাইবোনের মধ্যে আবু তাকী সবার বড়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি আজিজুল হক কলেজের ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের আরবি বিভাগে ভর্তি হন তিনি। সে দাখিল ও আলিম উভয় পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
আবু তাকী জানান, আরবিতে ২০১৩-২০১৪ সেশনের অনার্স পরীক্ষায় সিজিপিএ ৩.৯১ পেয়ে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম হই এবং ভাইস চ্যান্সেলর’স এওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হই। ভার্চুয়াল মিটিং এ মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মণি (এমপি) ভাইস চ্যান্সেলর’স এওয়ার্ড হিসাবে একটি স্বর্ণপদক ও একটি সনদ প্রদান করেন। আলহামদুলিল্লাহ,আল্লাহ পাকের শুকরিয়া এমন অর্জনে আমি অত্যান্ত আনন্দবোধ করছি।
আবু তাকী আরো জানায়, আমি আমার বাবা মা ও শিক্ষক মহোদয়গণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বাবা মার অনুপ্রেরণা আর শিক্ষকদের সঠিক গাইডলাইনের কারণেই এমন অর্জন সম্ভব হয়েছে। তবে আনন্দের সাথে সাথে কষ্টও অনুভব করছি। কারণ আমার এ অর্জনের পিছনে যার অনুপ্রেরণা সবচেয়ে বেশি ছিল তিনি হলেন আমার বাবা। তিনি গত ১০/১২/২০২০ ইং তারিখে আমাদেরকে ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পরিশেষে সবার কাছে দোয়া চাই আমি যেন আমার এ সফলতার ধারা যেন অব্যাহত থাকে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিষয়ে সিজিপিএ ৪ এর ভিতর ৩.৯১ পেয়ে সারাদেশে প্রথম আবু তাকী
আরো পড়ুন- চ্যান্সেলরস এওয়ার্ড প্রবর্তন করে এনইউ আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার্থীর স্বর্ণপদক অর্জনে সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহজাহান আলী জানান, এই অর্জন পুরো কলেজ এবং জেলাকে গৌরবানিত্ব করেছে। আশা করছি সামনের বছর আমাদের শিক্ষার্থীরা এই অর্জনের সংখ্যা বাড়াবে।
তিনি আরও জানান, কলেজে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি এবং আরও আরও বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করতে পারলে শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা তুলে ধরতে পারবে।