জিপি ইমু প্যাক ২০২৪ GP Imo Package
জিপি ইমু প্যাক ২০২৪ GP Imo Package মাইজিপি থেকে প্যাক কিনলেই পাবেন জিপি পয়েন্টস। এই জিপি পয়েন্টস দিয়ে বিনামূল্যে পাবেন ইন্টারনেট এবং এসএমএস প্যাক।
জিপি ২.৬১ টাকায় ২৬ এমবি ইমু প্যাক
মেয়াদঃ ৩ দিন
অ্যাক্টিভ কোডঃ 1213063#
জিপি ১৯ টাকায় ইমু প্যাক
মেয়াদঃ 28 দিন
অ্যাক্টিভ কোডঃ 1213024#
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেজেন্টেশন চালু করা সময়ের দাবি।আসসালামু আলাইকুম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা যারা অনার্স করতেছি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমরা কিন্তু অনেক ভাবেই অবহেলিত। শুনতে খারাপ লাগলে দিন শেষে এটাই সত্যি বাংলাদেশে জাতীয় নাম শুনলেই-
ঢাকার মানুষ যে ভাবে গ্রামের মানুষ সম্পর্কে ধারনা করে ঠিক একই ভাবে চাকরির বাজারে জাতীয় মানেই তাই।
যদিও জাতীয় থেকে অনেক সফলতা আছে কিন্তু ব্যার্থতাও তো কম নয়। আমি কোন কর্ম কেই ছোট করছি না। তবে এখানে একটা বিষয় আছে সেটা হচ্ছে আমরা কতটা স্মার্ট আর কোয়ালিটিফুল।
এখন আবার ভাই কেউ দর দাম আর ব্র্যান্ড নিয়ে আইসেন না। আমি কোন ড্রেস রিলেটেড কিছু বলতেছিনা। আমাদের কথা, বাচন ভঙ্গি আর পার্সোনালিটি। এই তিনটা জিনিসে আমরা জাতীয়রা মারাত্নক ভাবে পিছিয়ে আছি। প্রাইভেট ভার্সিটিতে যারা পরে একবার ভাবেন তো তারা কি আমাদের চেয়ে অনেক ভালো ছাত্র? কিন্তু তারা ঠিক ই জেনারেল সাবজেক্ট পড়েই স্মার্ট জবে ঢুকতেছে।
প্রাইভেট আর পাবলিকের সাথে জাতীয়র মেইন পার্থক্য ই হচ্ছে কথা, বাচন ভঙ্গি আর পার্সোনালিটির। সে জন্য আপনি আমি ভাইভা দিতে গেলে প্রশ্ন ধরার আগেই বুঝে ফেলে আমি জাতীয় থেকে আসছি।
আমরা আমাদের নিজেদেরকে উন্নত না করতে পারলে আমরা সব সময়ই অবহেলিত থেকে যাবো।
তাহলে এটার সমাধান? সমাধান একটাই। সেটা হচ্ছে জাতীয় তে প্রাইভেটের মতো বিভিন্ন ক্লাব যে গুলা একদম অফিস মেইনটেইন করে পরিচালিত হয় ( ডকুমেন্টারির দিক থেকে) চালু করা এতে বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে আর প্রেজেন্টেশন চালু করণ করতে হবে।
জাতীয় ভার্সিটির অনেকেই জানিই না যে প্রেজেন্টেশন কি? অনেকেই শুধু শুনেছি। আর প্রাইভেটে প্রেজেন্টেশন এর জন্য মার্ক থাকে প্রতি সেমিস্টারে। যদি এতই ফাউল থাকতো তাহলে প্রাইভেট ভার্সিটি গুলা এতে এত্তো গুরুত্ব দিতো না।
পাবলিকলি কথা বলা, স্মার্টনেস হওয়া, কথা বলার সময় বাচনভঙ্গি ঠিক রাখা এই তিনটাই শিক্ষা দিবে এই প্রেজেন্টেশন।
যখন মাসে একটা করে প্রেজেন্টেশন থাকবে, সামনে গিয়ে কথা বলা একটু স্মার্ট হয়ে আসতে বাধ্য করা, তখন নরমালি ফরমালে চলে আসবে সবাই৷ যেভাবে প্রাইভেট আর পাবলিকে আসে।
গ্রাম থেকেই কিন্তু প্রাইভেট আর পাবলিক ভার্সিটিতে বেশি স্টুডেন্ট ভর্তি হয়। জাতীয়তেও গ্রামেরই বেশি অংশ থাকে। কিন্তু দুই যায়গার চিত্র দুইটা। কেন ভাই?
আমরা স্নাতক কোর্স করি, ওরাও করে। আমরাও চার বছরে পাশ করি ওরাও চার বছরে পাশ করে। তাহলে তফাত টা কই? একবার ভেবে দেখুন।
জাতীয়তে আরেকটা ব্যাপারে আমরা খুব উদাসীন সেটা হচ্ছে কলেজে ৪/৫ টা সংগঠন আছে সময় দিয়ে কি হবে? কি করছে এর পূর্বে যারা সময় দিছে? হুদাই সময় লস. ইত্যাদি ইত্যাদি অনেকেই মনে করেন।
কিন্তু ভাই লাভ লস এখন বুঝতে পারবেন না। পরে ঠিক বুঝবেন। সব সময় আর্থিক লাভ না দেখে শিক্ষার লাভ টাও দেখেন।
অনার্স চলাকালীন সব সময় চেষ্টা করুন কোন কিছুর সাথে লেগে থাকার। আর কিছু না হোক আপাতত নিয়ম কানুন জানতে পারবেন। কিভাবে একটা অফিস চলে, কিভাবে একটা সংগঠন চালাতে হয় ইত্যাদি অনেক কিছু। জব বা ব্যাবসা যা ই করেন না কেন কাজে দিবে।
বড় বড় গ্রুপ কোম্পানি এই যে যারা প্রাইভেট থেকে এতো কিছু শিখে আসতেছে তাদেরকে রেখে আমাদের কেন হায়ার করবে বলেন? তাদের কি এতোই ঠেকা পরছে আমাদের নিয়োগ দিয়ে ১ বছর শুধু আপনাকে এগুলাই শিখাবে? তাদের কাছে জানা ব্যাক্তিই অভাব নাই।
তাই নিজেকে সব সময় বই কেন্দ্রিক না রেখে বিভিন্ন ট্রেনিং, প্রোগ্রাম এগুলা করেন। মাঝে মাঝে প্রোগ্রাম লিডিং দেন অনেক কিছু বুঝবেন, শিখবেন।
আপনাকে আপনি মাপেন আপনি বিসিএস এর যোগ্য কি না..! যদি উত্তরটা না হয় তাহলে এখন থেকেই ক্যারিয়ারে নজর দেন।
আপনার সিজিপিএ থেকে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনার বাস্তবিক জ্ঞান। সরকারি চাকুরি সবার জন্য নয়। কারন টা ভালো ভাবেই উপলব্ধি করতে পারতেছেন।
পরিশেষে, সকলেই আওয়াজ তুলুন-
জাতীয় তে প্রেজেন্টেশন চালু করা এখন সময়ের দাবি। নিজেদেরকে চোখের সামনে নিজেকে নষ্ট করে দিতে পারিনা৷
আবার আমরা অনেকেই জাতীয় তে পড়া মানেই এক্সামের আগের রাতে সাজেশন পরে পরিক্ষা দেওয়া বানিয়ে ফেলছি। এটাও রোধ করা যাবে যদি এসাইনমেন্ট সিস্টেম করা যায় সাথে সঠিক মূল্যায়ন করা যায়।
জাতীয়তে অনেক সাফল্য আছে। এখানে দলাদলি করা আমার উদ্দেশ্য নয়। আমার জায়গা থেকে আমি যতটুকু বুঝেছি আমাদের আর প্রাইভেট, পাবলিকে যাস্ট এতুটুই তফাত বিদ্যমান। পাবলিকে বেছে বেছে মেধাবী নেয় এতে শিক্ষক অনেকটা বেগ কম পায়। আর জাতীয়তে শিক্ষকদের একটু পরিশ্রম বেশি হয়। যা প্রাইভেটেও হয়ে থাকে।
যারা গুরুদ্বায়িত্বে আছেন তাদের অবশ্যই এ ব্যাপারে স্বিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কে জাতির সামনে অবহেলিত করার মতো সক্ষমতা যেন আর কেউ না দেখাতে পারে। সে ব্যাপারে এখন থেকেই সোচ্চার হতে হবে।
(বানান ভুল মার্জনীয় )
আতিকুর রহমান
প্রাণিবিদ্যা বিভাগ-সেশন ২০১৫-১৬
নওগাঁ সরকারি কলেজ।