অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরিক্ষার রুটিন বাতিলের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
অনার্স ৪র্থ বর্ষের পরিক্ষার রুটিন বাতিলের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করেছে নওগা সরকারি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা Human chain of students demanding cancellation of honors 4th year examination routine। চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা সূচি পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ন শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুরে কলেজ চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা এ মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এ সময় উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে বক্তব্য রাখেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহবুব আলম, পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী অরুপ কুমার, প্রণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকেশ চন্দ্র, শাহরিয়ার হোসেন, রাজু আহম্মেদ, নাফসিন আরা সুলতানা চাঁপা, পলি রানী, সৌরভ হোসেন ,মো. নাজমুল ইসলাম, শামিম সরকার, মো. ফারুক হোসেন, মো. রাজ্জাক, আনিস আবির, মাসুদুর রহমান আনাস আলজিয়া,প্রমুখ।
আজ ২৮ মার্চ ২০২৪ এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরিক্ষার রুটিন বাতিলের দাবীতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন দেখুন-
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সকল কলেজের ৪র্থ বর্ষের পরিক্ষার সময় সীমা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ। এই পরিক্ষার রুটিন প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই হতাশায় ভুগছে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত স্নাতক(সম্মান) ৪র্থ বর্ষ(২০১৮-২০১৯)সেশনের নিয়মিত ছাত্রছাত্রীবৃন্দ।
মাত্র ১-১.৫ মাসের প্রস্তুতিতে তাদের এই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিলে নিশ্চিত অকৃতকার্য হয়ে আবার ১ বছর বসে থাকতে হবে। এতে তাদের ভবিষ্যতে অন্ধকার নেমে আসবে। বলে যানিয়েছে মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবি ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষার সময় ৩ থেক ৪ দিন গ্যাপ দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করে তাদের কে পড়াশুনার একটু সুযোগ করে দেওয়া হোক।
নিম্নে মানববন্ধন নিয়ে এক ছাত্রীর বক্তব্য দেয়া হলো।
আমি অনার্স চতুর্থ বর্ষের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিয়মিত ছাত্রী। ফাইনাল ইয়ারের পরিক্ষা কি ছেলেখেলা মনে হয় আপনাদের কাছে,কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থীদের বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন আপনারা।যতদ্রুত সম্ভব রুটিন পরিবর্তন চাই রেজাল্টের জন্য আমাদের ঠিকই ৫ মাস অপেক্ষা করতে হবে। ১০-১৫ দিনের জন্য কি ২ বছর কমে যাবে?যারা রুটিন করলো তাদের কি একবার বিবেচনা করা উচিত ছিলো না যে, দূর থেকে যারা আসবে তাদের কি অবস্থা হবে?
তাদের শারীরিক সুস্থতার প্রয়োজন আছে কি না? যারা জীবনের মূল্য এতটা বুঝে ২ বছরের ক্ষতি পূরণ ১৯ দিনে করতে চাইছেন তারা কি আসলেই এই সেশনজট কমাতে পারবেন?? কিছুতেই সম্ভব না
তাই রুটিন পরিবর্তন চাই। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২ সালের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার আবেদন ফরম পূরণ চলছে।
এমতাবস্তায় আমরা অধিকাংশ অনার্স চতুর্থ বর্ষের নিয়মিত শিক্ষার্থীরা প্রত্যেক এর দাবী হলো পর্যাপ্ত গ্যাপ দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।অনার্স চতুর্থ বর্ষের নিয়মিত পরীক্ষা ।