জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

নিজেকে বিলীন করে বাঙালি সত্তাকে বলিয়ান করছেন শেখ হাসিনা’: উপাচার্য

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের জন্য একটি মাইল ফলক উল্লেখ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, তাঁর ফিরে আসার মধ্য দিয়ে আজ প্রায় ৪ দশকের পথ পরিক্রমায় যৌক্তিকভাবেই দাবি করা যায়- তার সঙ্গে ফিরে এসেছে বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, সামাজিক নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক চর্চা এবং রাজনৈতিক মূল্যবোধ।নিজেকে বিলীন করে বাঙালি সত্তাকে বলিয়ান করছেন শেখ হাসিনা।’

আজ সোমবার (২৩ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: মুক্তির অভিযাত্রায় বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধে এসব কথা তুলে ধরেন উপাচার্য।

উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, “স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সেদিনের বৃষ্টিস্নাত বিকেলে মানুষ তাঁকে ভালবেসে যে শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতা প্রদর্শন করেছিল, তিনি তাঁর প্রতিদানে মানুষের মঙ্গল নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন অব্যাহত গতিতে। ব্যক্তি শেখ হাসিনা বাঙালির কাছে আজ ভীষণ প্রিয়, আস্থার ঠিকানা। এদেশের গরিব দুঃখী মানুষ তাঁকে ভালবাসে। পিতার মতো তাঁর মধ্যেও এই অনন্য গুণটি গ্রোথিত-তিনি অতি সাধারণকে অসাধারণ ভালবাসায় ভরিয়ে রাখতে জানেন এবং তা করেন অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে। এটি শেখ হাসিনার এক অনন্য শক্তি ও গুণ। শেখ হাসিনা আমাদের কাছে আলোকজ্জ্বল একটি নাম, একটি আদর্শ, মানুষের কাছে তিনি প্রিয় আশ্রয়, কঠিন দুঃসময়ে তিনি হন সর্বহারা মানুষের ভরসার ঠিকানা।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘ব্যক্তি শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা আজ সর্বজনবিদিত। তাঁর বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও নেতৃত্বও মনে প্রাণে তাঁকে শ্রদ্ধার চোখে দেখেন। রাজনীতিতে এটি একটি বিশাল প্রাপ্তি ও অর্জন। শেখ হাসিনার এই স্বীকৃতি মূলত তাঁর রাজনৈতিক সততা, দক্ষতা, নিয়ম-নিষ্ঠা, স্বচ্ছ ও সরল জীবনাচারের জন্য ঘটছে। ব্যক্তি জীবনে তাঁর চালচলন, জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা এবং পরিচ্ছদ ভীষণভাবে সারল্য ও সততায় পরিপূর্ণ। শেখ হাসিনা একজন সংস্কৃতিবান রাজনীতিক হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর মধ্যে রয়েছে বাঙালির শাশ্বত ঐতিহ্যের প্রতি প্রবল ঝোক।

আধুনিকতাকে যেমন তিনি উদারভাবে গ্রহণ করেন একই সঙ্গে ঐতিহ্যের প্রতিও রয়েছে তাঁর তীব্র আকর্ষণ। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চায় তিনি যেন নিজেই একজন অংশীদার এবং এতে নেতৃত্বও দেন অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে। বিজ্ঞানমুখী ও আধুনিক শিক্ষার বিকাশে তিনি যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করে গড়ে তুলেছেন বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। পাশাপাশি সার্বজনীন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করণে তিনি বহুদিন ধরে অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। এছাড়াও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন আজ দৃশ্যমান। সমাজের কাঠামোগত পরিবর্তন প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার ভূমিকা ও নেতৃত্ব সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয়।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ১৯৮১ সালের শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেছেন বলেই আজ দেশের মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে। পেট ভরে খেতে পারে। যাঁর নেতৃত্বে দেশ বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে দেশের সাধারণ মানুষ নৌকায় ভোট দেয়ার প্রহর গুনছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এদেশের মাটিতে সোনা ফলে। ধানের ফলন ভালো হয়েছে। আমাদের খাদ্য সংকট হবেনা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) আবদুল হাফিজ মল্লিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা.ইয়াসমিন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন প্রমুখ ।

 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply