ব্লেন্ডেড অ্যাপ্রোসে শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিস্তৃত করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
ব্লেন্ডেড অ্যাপ্রোসে শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিস্তৃত করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, কলেজ শিক্ষকদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে বহুমুখী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৪ সালে শিক্ষক প্রশিক্ষণকেই সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করা হবে। শিক্ষক প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সরাসরি প্রশিক্ষণ দিয়ে মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা হবে। জিআইএস, মেন্টাল হেলথ, ক্যারিয়ার কাউন্সিল বিষয়েও প্রশিক্ষণ চলবে।
৩১ জানুয়ারি বিকেলে অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপের মাধ্যমে এই প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (সিইডিপি) এর অধীন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের ২টি ব্যাচ যথাক্রমে ৩৬ ও ৩৭তম ব্যাচের ৮টি বিষয়ের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বজনীন গ্রহণযোগ্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তাদের আধুনিক ও মানবিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। আমরা যান্ত্রিক মানুষ তৈরি করতে চাই না। তাদের জন্য আকর্ষণীয় ক্লাসরুম তৈরি করে ক্লাসমুখী করতে হবে। এজন্য শিক্ষকদের ইকুইপ্ট হতে হবে। তাদেরকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের এই ব্যাচের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গত ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ থেকে শুরু হয়। এই প্রশিক্ষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের মোট ৩০৭ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। ২৮দিনব্যাপী চলা প্রশিক্ষণের আজ ৩১ জানুয়ারি ছিল সমাপনী দিন। এই সমাপনী অনুষ্ঠানে স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বিন কাশেমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, সিইডিপির প্রজেক্ট ডাইরেক্টর (পিডি) মোহাম্মদ খালেদ রহীম।
এই প্রশিক্ষণে ১২টি বিষয়ের কোর্স উপদেষ্টাবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- হিসাববিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. শারমিন মুসা, ইসলামের ইতহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ড. মামুন আল মোস্তফা, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. খন্দকার মো. আশরাফুল মুনিম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফারুক আহমেদ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ড. দেবাশীষ কুমার কুণ্ডু।
এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন শিক্ষক প্রশিক্ষণ দপ্তরের পরিচালক মো. হাছানুর রহমান।
আরো পড়ুন-
দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সর্বস্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাে. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘পেশাদারিত্ব বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই।
ইতােমধ্যে প্রায় ৬০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হয়েছে। আইসিটি ও প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানাের জন্য প্রতি বছরই পর্যায়ক্রমে সকলকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।গাজীপুর ক্যাম্পাসের সিনেট হলে বিশ্ববিদ্যালয়র সার্বিক কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এই কথা বলেন উপাচার্য।
প্রশিক্ষণের আওতায় যারা এখনোে আসেনি তাদের তালিকা প্রণয়ন ও প্রশিক্ষণে তাদের অন্তর্ভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষপ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন উপাচার্য।উপাচার্য ড., মশিউর রহমান বলেন, ‘দেশের উচ্চশিক্ষার মানান্নয়নে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বদ্ধপরিকর। ইতােমধ্যে এ লক্ষ্যে.অনেকগুলাে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
অচিরেই দেশের বিভাগীয় অঞ্চলের কলেজগুলোর অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হবে। এছাড়া সভায় শিক্ষক সমাবেশ, সমাবর্তনসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার, রেজিস্ট্রার মােল্লা মাহফুজ আল-হােসেন, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মােহাম্মদ বিন কাশেম, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মাে. মনিরুজ্জামান শাহীনসহ বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান উপস্থিত ছিলেন।