জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন সিলেবাস কার্যকর করা হবে
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক এএসএম আমানুল্লাহ বলেছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস ও কারিকুলামে সংস্কার আনা হবে। বর্তমান সিলেবাস এবং শিক্ষার মান নিয়ে মানুষের মধ্যে কিছু নেতিবাচক ধারণা রয়েছে, যা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। “আমরা সিলেবাসের সংস্কার করতে যাচ্ছি যাতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা দেশে ও বিদেশে ভালো চাকরি পেতে সক্ষম হয়।” অধ্যাপক আমানুল্লাহ আরও জানান, গত বিসিএস পরীক্ষায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তৃতীয় স্থান অর্জন করেছিল, তবে তাদের লক্ষ্য দ্বিতীয় এবং প্রথম স্থানে পৌঁছানো।
“জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক টিমের সঙ্গে আমরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের কাজ করছি। ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘পরীক্ষা বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে আগামী বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশের পিছিয়ে পড়া পরীক্ষাগুলোর সমাধান করতে পারলে, সেশনজট ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।”
“আমরা যখন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করি, তখন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল এলোমেলো। তবে এখন প্রায় আড়াই হাজার কলেজের গভর্নিং বডি গঠন করে, সারাদেশের কলেজগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রণ করছে।”
“অনেক শিক্ষক তাদের দাবি নিয়ে আমাদের কাছে আসছেন। তবে আমাদের কিছু সময় দেওয়া প্রয়োজন। যদি সারাক্ষণ ঘেরাও করে রাখেন, তাহলে আমাদের পক্ষে কাজ করা কঠিন হবে। আশা করছি, সরকার দ্রুত একটি পদক্ষেপ নেবে।”
টাঙ্গাইলের মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।