পাঠ্যপুস্তক ও গবেষণা গ্রন্থ নিয়ে একুশে বই মেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
এই প্রথম দেশের উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ৯টি নতুন মৌলিক গ্রন্থ, গবেষণা গ্রন্থ ও বিভিন্ন কলেজ শিক্ষকদের গবেষণা ও প্রবন্ধ গ্রন্থ এবং জার্নাল নিয়ে অমর একুশে বইমেলা ২০২৩ এ অংশগ্রহণ করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলা একাডেমির মূল চত্বরে ৮৮৩ নম্বর স্টলটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রণীত টেক্সটবুক, বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা গ্রন্থ জার্নাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ত্রৈমাসিক সমাচার পাওয়া যাবে। এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সারাদেশে ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থী। তাদের জন্য মানসম্পন্ন টেক্সটবুক তৈরি করছি আমরা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে ৯টি মৌলিক গ্রন্থ প্রণয়ন করা হয়েছে। এগুলো অমর একুশে বই মেলায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া আরও বিভিন্ন বিষয়ে মৌলিক গ্রন্থ প্রণয়নের কাজ চলমান রয়েছে।’
নতুন প্রজন্মকে বেশি বেশি বই পড়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘মানসিক বিপ্লব অর্জনের জন্য বই পড়ার বিকল্প নেই। অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার জন্য গাইড বইয়ের বদলে মূল বই পড়তে হবে। সৃজনশীল এবং মানবিক গুণবালী বৃদ্ধির জন্য বই হচ্ছে মূল হাতিয়ার।’ এ বছর বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘পড়ো বই গড়ো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ-এ উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রিয়জনকে উপহার হিসেবে বই দেওয়ার জন্য আহবান জানান উপাচার্য। মানসম্মত পুস্তক প্রণয়নে কলেজ শিক্ষকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকগণ তাদের শিক্ষা ও গবেষণা কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল ও কার্যকর করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত এসকল প্রকাশনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
এবারের বইমেলায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে- ফান্ডামেন্টালস অব ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, ট্যুরিজম ইন বাংলাদেশ, ট্যুরিজম প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি মার্কেটিং, ব্যাস্টিক অর্থশাস্ত্রের মূলনীতি, শ্রম অর্থনীতি, স্বেচ্ছা সেবা এবং বাংলাদেশের বেসরকারি সংস্থা, সমাজকর্ম পরিচিতি, বঙ্গবন্ধু: সমাজ ও রাষ্ট্রভাবনা ইত্যাদি।