শিক্ষা নিউজ

মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়াই পাস দেয়া হচ্ছে

এবার মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছাড়াই পাস দেয়া হচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও এইচএসসির পর এ বছর মাধ্যমিক স্তরের বার্ষিক পরীক্ষাও হচ্ছে না। গতকাল বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বছর কোনো বার্ষিক পরীক্ষা হচ্ছে না। সব শিক্ষার্থীই পরবর্তী ক্লাসে উঠবে। তবে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শিখনফল অর্জনে ৩০ কর্মদিবসে শেষ করা যায়—এমন একটি সিলেবাস প্রণয়ন করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ওই সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের নভেম্বর থেকে প্রতি সপ্তাহে একটি করে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে। এই সিলেবাস ও অ্যাসাইনমেন্ট টেলিভিশনে প্রচারের পাশাপাশি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইট দেওয়া হবে। সব স্কুলেই এই সিলেবাস পাঠানো হবে। শিক্ষকরা তা নানা উপায়ে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। সেই অ্যাসাইনমেন্টের মূল্যায়ন করে শিক্ষার্থীদের ঘাটতিগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী ক্লাসে তা পূরণের চেষ্টা করা হবে।

তবে শিক্ষার্থীদের পরের ক্লাসে ওঠার ক্ষেত্রে অ্যাসাইনমেন্টের মূল্যায়নের যে কোনো প্রভাব থাকবে না, তা সাংবাদিকদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই মূল্যায়নের মাধ্যমে যেন কোনো চাপ সৃষ্টি করা না হয়। এই মূল্যায়ন শুধুমাত্র আমাদের বোঝার জন্য যে শিক্ষার্থীদের কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, সেগুলো পরের ক্লাসে কাটিয়ে ওঠার ব্যবস্থা করব।’

শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষকরা প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট প্রতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করবেন। শিক্ষার্থীরা এই অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করে পরবর্তী সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে পরের সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করবে। এ ক্ষেত্রে অনলাইনের সাহায্য নেওয়া যাবে।

কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে, রুটিনও প্রকাশ করেছে। এই পরীক্ষায় অংশ না নিলে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে না বলে যে কথা প্রচার হয়েছে, সে প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নসংক্রান্ত অন্য কোনো কার্যক্রম বা পরীক্ষা নিতে পারবে না। অ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের দুর্বল দিকগুলো চিহ্নিত করে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে সেগুলো দূর করার যথাযথ উদ্যোগ নেবেন।’

শিক্ষার্থীরা পুরো টিউশন ফি পরিশোধ না করলে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা থাকবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সব শিক্ষার্থী পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হবে। এ বিষয়ে আমরা নির্দেশনা পাঠিয়ে দেব।’ স্থানান্তরিত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী স্থানান্তর হয়েছে। ওই সব শিক্ষার্থী তাদের নিকটবর্তী যেকোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিলেবাস ও অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করতে পারবে এবং জমা দিতে পারবে।’ আগামী নভেম্বরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে না বলেও আভাস দেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন বা আয়-রোজগার হারিয়েছেন, তাঁদের বলব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাঁদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করবে। তাঁদের যতটা সম্ভব ছাড় দেওয়া যায় বা কিস্তিতে টিউশন ফি পরিশোধ করাসহ নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

শিক্ষার্থীরা জেএসসি পরীক্ষার কোনো সনদ পাবে কি না—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সনদ ও বৃত্তির বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত পরে জানিয়ে দেব। তবে পরীক্ষা দিলে এসব শিক্ষার্থী একটি সনদ পেত। এবার তারা পরীক্ষা না দিয়েই পরবর্তী ক্লাসে যাচ্ছে, সে জন্য তারা সনদ পাবে না, তা তো নয়।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply