শিক্ষা নিউজ

রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর HSC Srijonshil Question Answer

রেইনকোট গল্পের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর HSC Srijonshil Question Answer ‘রেইনকোট’ গল্পের অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর

১। ‘ আব্বু ছোটমামা হয়েছে’— ছোট মেয়ের এ উক্তিতে প্রফেসর কেন চমকে ওঠেন?
উত্তরঃ ‘ আব্বু ছোটমামা হয়েছে’— ছোট মেয়ের এ উক্তিতে প্রফেসর চমকে ওঠেন, কারণ তিনি ভেবেছেন তার শ্যালক মিন্টু আবার অস্ত্রশস্ত্র হাতে ঘরে ঢুকে পড়ল কিনা। প্রফেসর নুরুল হুদার শ্যালক মিন্টু একজন মুক্তিযোদ্ধা। সেদিন বৃষ্টি থাকায় কলেজে যাওয়ার সময় শ্যালকের রেইনকোট গায়ে দেন নুরুল হুদা। তা দেখে তার ছোট মেয়ে তাকে বলে যে সে ছোট মামা হয়েছে। মেয়ের মুখে এ কথা শুনে তিনি চমকে ওঠেন। কারণ তিনি ভেবেছেন অস্ত্রশস্ত্র হাতে মিন্টু এসেছে। আর মিন্টু আসার অর্থ হলো তাকে ধরার জন্য বাড়িতে মিলিটারির আগমন।

২। ‘এগুলো হলো পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা’— উক্তিটি বুুঝিয়ে দাও।
উত্তরঃ শহীদমিনার সম্পর্কে পাকিস্তানি মিলিাটারির বড় কতার্দের ধারণা দিতে গিয়ে উক্তিটি করেন প্রিন্সিপ্যাল সাহেব। প্রিন্সিপ্যাল ডক্টর আফাজ আহমদ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর দোসর হিসেবে কাজ করতেন। নানা বুদ্ধি—পরামর্শ দিয়ে তিনি তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করতেন। তিনি জানতেন দেশের শহীদমিনারগুলো বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রতীক। তাই তিনি পাকিস্তানি মিলিটারির বড় কতার্দের কাছে সবিনয়ে বলেছিলেন, “ পাকিস্তান যদি বাঁচাতে হয় তো সব স্কুল—কলেজ থেকে শহীদমিনার হটাও। এগুলো হলো পাকিস্তানের শরীরের কাঁটা।” উক্ত কথার মাধ্যমে তার দেশ ও জাতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার ঘৃণ্য দিকটি প্রকাশিত হয়েছে।

৩। নুরুল হুদা কেন বাসা পাল্টানোর জন্য হন্যে হয়ে লেগে গেলেন?
উত্তরঃ পাশের ফ্ল্যাটের এক মহিলা নুরুল হুদার স্ত্রীর কাছে মিন্টুর খোঁজ করলে ভীতু প্রকৃতির মানুষ নুরুল হুদা মিলিটারির ভয়ে বাড়ি পাল্টানোর জন্য হন্যে হয়ে লেগে যান।
কলেজশিক্ষক নুরুল হুদার শ্যালক মিন্টু মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে। এ কারণে তার ভগ্নিপতির দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। আবার কেউ এসে মুক্তিযোদ্ধা মিন্টুর কথা জিজ্ঞাসা করতে পারে এ ভেবে তিনি বাসা পাল্টান। তারই সূত্র ধরে পাশের ফ্ল্যাটের এক মহিলা তার স্ত্রীর কাছে মিন্টুর কথা জিজ্ঞেস করলে তিনি মিলিটারির ভয়ে বাড়ি পাল্টানোর জন্য তৎপর হয়ে ওঠেন। মিলিটারির আবির্ভাবের পর থেকে নুরুল হুদা চার বার বাসা পাল্টিয়েছেন।

৪। ‘রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইন্টার, আমাদের জেনারেল মনসুন।’ ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ‘রাশিয়ায় ছিল জেনারেল উইন্টার, আমাদের জেনারেল মনসুন।’— এ কথাটি নুরুল হুদা স্টাফরুমে তার কোনো এক কলিগের মুখে শুনেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার বাহিনী প্রচণ্ড শীতের কারণে রুশ বাহিনীর হাতে পরাস্ত হয়েছিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের প্রবল বষার্য় তেমনি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। উক্তিটির মাধ্যমে সেই বিষয়টিরই তুলনা করা হয়েছে। কুলির ছদ্মবেশে কলেজে আলমারি দিতে এসে এক গেরিলা মুুক্তিযোদ্ধা বলেছিল ‘বষাকালেই তে জুৎ’। নুরুল হুদার মনে হয়, এ কথার মধ্য দিয়ে আলোচ্য কথাটিই বলতে চেয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশের ছেলেরা বষার্র সঙ্গে পরিচিত থাকলেও পাকিস্তানি বাহিনীর তা ছিল না।

৫। ইসহাককে দেখে সবাই তটস্থ থাকে কেন?
উত্তরঃ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে প্রিন্সিপালের পিয়ন ইসহাক বাংলা বলা ছেড়ে দিয়ে দিনরাত উদুর্তে কথা বলে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সে পাকিস্তানিদের পক্ষ অবলম্বন করে।১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের ভয়ে বাঙালিরা সব সময় তটস্থ থাকত। পাকিস্তানের সমর্থক রাজাকার হলেই, সে যে শ্রেিণ— পেশারই হোক না কেন বাঙালির ওপর তার ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করে এবং সেই অপকর্মের মদদ দেয় পাকিস্তানি বাহিনী।‘রেইনকোট’ গল্পের প্রিন্সিপালের সামান্য পিয়ন ইসহাক উর্দু বলতে পারায় এবং পাকিস্তানের ঘোর সমর্থক রাজাকার হওয়ায় তার ভয়ে সবাই ভীত থাকত।

৬। ‘যেন বৃষ্টি পড়ছে মিন্টুর রেইনকোটের ওপর’ ব্যাখ্যা কর ।
উত্তরঃ মিক্তিযোদ্ধা শ্যালক মিন্টুর রেইনকোট গায়ে দেয়ার পর ভীতু নুরুল হুদার মধ্যে যে সাহসী চেতনা সঞ্চারিত হয় সে কথার প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছে আলোচ্য উক্তিটিতে। নুরুল হুদা ভীতু প্রকৃতির মানুষ। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা শ্যালকের রেখে যাওয়া রেইনকোট গায়ে দিয়ে কলেজে যাওয়ার সময় এই ভীতু নুরুল হুদার মধ্যে দেশপ্রেম ও সাহসী চেতনার স্ফূরণ ঘটে । মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আঁতাতের অভিযোগ এনে মিলিটারি নুরুল হুদার ওপর নির্মম নির্যাতন চালায়। তার ছোটখাট শরীরটাকে আঙটার সাথে ঝুলিয়ে দিয়ে তার গায়ে চাবুক দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে আঁতাত রাখার অভিযোগে এবং দেশপ্রেমের চেতনায় নুরুল হুদা এতটাই উত্তেজিত বোধ করে যে চাবুকের বাড়িগুলো তার কাছে মনে হয় যেন স্রেফ উৎপাত ,যেন বৃষ্টি পড়ছে রেইনকোটের ওপর।মূলত মুক্তিযোদ্ধার রেখে যাওয়া রেইনকোটটি নুরুল হুদার মনে সাহসী চেতনার উদ্রেক করে।

প্রিমিয়াম সাজেশন Premium Suggestion

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকারের উপর চাপ বাড়ছে , ১৪ নভেম্বরের পর সীমিত পরিসরে ক্লাস । বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল সেমিস্টারের ব্যাবহারিক ক্লাস ও পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এছাড়া মাধ্যমিকে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট করে স্কুলে নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুরোপুরি খোলার পক্ষে দাবি জোরালো হচ্ছে। অবশ্য আগামী ১৪ নভেম্বরের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খুলতে সরকার চিন্তাভাবনা করছে বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, অনেক দেশেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলেও আবারও বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে দ্বিধায় আছে সরকার। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেনও। তবে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানবেতন জীবনযাপন করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিও জোরালো হচ্ছে। বিশেষত ৫০ হাজার কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক-কর্মচারীরা এ দাবিবে সরব বেশি। তাদের বেতন-ভাতা বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন।

এ বিষয়ে কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান এম ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশের সর্বত্র লোক সমাগম স্বাভাবিক। কওমি মাদরাসা খুলেছে, ইংলিশ মিডিয়ামেও পরীক্ষা হচ্ছে। তাহলে কিন্ডারগার্টেন স্কুল খুলতে বাধা কোথায়?’ কিন্ডারগার্টেন খোলার অনুমতি না দিলে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করারও হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

আর ঢাকার গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু সাঈদ ভূঁইয়া বলেন, ‘অভিভাবকদের সঙ্গে এ ব্যাপারে মতবিনিময় করেছি, তাঁদের অধিকাংশই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পক্ষে। তবে শিক্ষার্থীদের তিন ভাগে স্কুলে আনা যেতে পারে। প্রয়োজনে তারা সপ্তাহে দু’দিন স্কুলে আসবে, অনলাইনেও ক্লাস চলবে। এতে শিক্ষার্থীদের মানসিক অস্থিরতা দূর হবে।’

সূত্র জানায়, আগামী ১৪ নভেম্বরের পর্যায়ক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের। সে ক্ষেত্রে শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। অবশ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক না হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নেওয়া সম্ভব বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহের মাইজবাড়ী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ আশফাক উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। তারা নিয়মিতই বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে। এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সময় এসেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের কয়েক ভাগে আমরা ক্লাস নিতে পারব।’

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী  বলেন, ‘দুই সপ্তাহ পর চেষ্টা করে দেখব, সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় কি না। সবই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। আগামী বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সীমিত পরিসরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা যায় কিনা, চিন্তা-ভাবনা করে দেখছি।’

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply