ক্যাম্পাসশিক্ষা নিউজ

খুব দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চাই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষকে টিকার আওতায় আনতে চাই। খুব দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে চাচ্ছি। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গণভবনে থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আরো পড়ুন- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে আগামী ৩০ মার্চ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাস মহামারী শুরু থেকেই আমরা ভাইরাস মোকাবেলায় যা যা প্রয়োজন সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ইতোমধ্যে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যখন টিকা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে তখন থেকেই আমরা খোঁজা শুরু করেছিলাম কোথা থেকে সংগ্রহ করা যায় আমরা আগেই আগাম টাকা দিয়ে টিকার বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম। সেজন্যই এত তাড়াতাড়ি টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়েছে। আরও ৩ কোটি ডোজ টিকা কেনা হবে।

২০২১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সে উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে তৈরি করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশের মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ রুখতে এ আইন করা হয়েছে।’

জনগনের দায়িত্বশীলতার কারণে করোনাভাইরাস মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে এসেছেন। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলোর সবাই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন। এজন্য দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

আরো পড়ুন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ল ২৯ মার্চ পর্যন্ত

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতেই স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর এই সুখবর দিতে সংবাদ সম্মেলন করেন সরকারপ্রধান। স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে সিডিপির সব শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে।

এ গুলোর মধ্যে রয়েছে- মাথাপিছু আয় যেখানে হতে হয় কমপক্ষে এক হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার—সেখানে ২০২০ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল এক হাজার ৮২৭ ডলার। মানবসম্পদ সূচকে উন্নয়নশীল দেশ হতে ৬৬ পয়েন্টের প্রয়োজন আর বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ৭৫ দশমিক ৩। জাতিসংঘের আইন অনুসারে, কোনো দেশ পরপর দুটি ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনায় উত্তরণের মানদণ্ড পূরণে সক্ষম হলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পায়। নিউইয়র্কে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি বা ইউএন-সিডিপির সভা থেকে তা ঘোষণা করা হয়।

উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ পেলে পাঁচ বছরের প্রস্তুতিকাল শেষে ২০২৬ সালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে আনুষ্ঠানিক উত্তরণ ঘটবে। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠলে সস্তায় ঋণ পাওয়া এবং বিভিন্ন রপ্তানি সুবিধা হারাবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়া নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন সরকার প্রধান। বাংলাদেশের এই অর্জনকে ধরে রেখে নতুন পর্যন্ত তা আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সরকার প্রধান।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply