বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে ১০ টি বাক্য
১।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ মার্চ, ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।
২। বঙ্গবন্ধুর ছাত্র জীবনের সূচনা হয় গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালযয়ের মাধ্যমে। পরবর্তীতে গোপালগঞ্জ মাথুরা নাথ মিশনারী স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাশ করেন।
৩। বঙ্গবন্ধু মেট্রিক পাশ করার পরে কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে ভর্তি হন। তিনি ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে থাকতেন। বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিতে বেকার হোস্টেলের ২৩ এবং ২৪ নম্বর কক্ষ মিউজিয়াম হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর একই বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন।
৪।বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং দক্ষিণ এশিয়ার একজন শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব।
৫।বঙ্গবন্ধু ভারত বিভাজন আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে অর্থাৎ বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রাম শুরু করেন এবং তার নেতৃত্ব দেন।
৬।১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিবেচিত করা হয়।
৭। শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একটি সম্মেলনে ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ সালে তৎকালীন ডাকসুর সভাপতি তোফায়েল আহমেদ প্রথম ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন।
৮।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার মানুষের কাছে ‘শেখ মুজিব’ এবং ‘শেখ সাহেব’ নামেও বিশেষভাবে সমাদৃত।
৯।বঙ্গবন্ধুর সন্তান ৫ জন । যথাক্রমে শেখ হাসিনা, শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রেহেনা ও শেখ রাসেল।
১০। ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ সালে বিপথগামী কিছু সেনা সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নিশংস ভাবে হত্যা করে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার প্রাদুর্ভাব যখন কেটে যাবে আমরা তখনই স্কুল খুলে দেবো। বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২১ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন- খুব তাড়াতাড়ি আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবো: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, করোনার কারণে শিশুরা স্কুলে যেতে পারছেনা, যেটি অত্যন্ত কষ্টের। ছোট ছোট সোনামনিরা তোমাদের আমি বলব তোমরা ঘরে বসেই পড়াশোনা করবে। সেই সাথে খেলাধুলা করবে। কারণ খেলাধুলা, সংস্কৃতির চর্চা এগুলো জীবনের জন্য অপরিহার্য। কারণ তোমরাই তো ভবিষ্যৎ। তোমরাই তো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। সরকার প্রধান আরও বলেছেন, ছোট্ট সোনামণিদের কাছে আমি এটাই চাই তোমরা তোমাদের জীবনটাকে সুন্দর করো, পড়াশোনা শেখো। করোনার প্রাদুর্ভাব কেটে যাবে এবং আমরা তখনই স্কুল খুলে দেবো।
তিনি আরও বলেন, পড়াশোনার সাথে খেলাধুলা করতে হবে। তোমরা এখনো খেলাধুলা করতে পারো। আমরা প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। সেখানে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারবে। শুধু পড়ো পড়ো পড়ো কারোরই ভালো লাগেনা। কার ভালো লাগে পড়ো পড়ো? পড়াশোনার সাথে খেলাধুলা করতে হবে। গান শুনতে হবে। তোমরা নিজেরাও গান গাইবে। লিখবে। নিজেদের খুশি মত কাজ করবে। আমরা সেটাই চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন শিক্ষার্থীদের যাতে যাতায়াতের অসুবিধা না হয় সেজন্য আমরা সব জায়গায় প্রাইমারি স্কুল করে দিয়েছি মায়েদের মোবাইলে উপবৃত্তির টাকা চলে যাচ্ছে। শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মই যেন হয়েছিলো দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। শিশুদের মধ্যেই আগামীর জাতির কাণ্ডারি খুঁজে নেয়ার চেতনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। করোনার এই বৈরী সময়ে গৃহবন্দি শিশুদের নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার পরামর্শ দেন সরকার প্রধান বলেন, আজকের শিশুরাই আগামীর উন্নত বাংলাদেশের চালক হবে উল্লেখ করে।