শিক্ষা নিউজ

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিকল্প পদ্ধতি খুঁজছে সরকার

চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিকল্প পদ্ধতি খুঁজছে সরকার। তবে, এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্বেগ বাড়ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবেন তারা। কিন্তু, আগের পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ও অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের মতো কিছু বিকল্পের কথাও ভাবতে হচ্ছে তাদের। বিষয় সংখ্যা ও মোট নম্বর কমিয়ে এনে পরীক্ষা নেওয়ার কথাও ভেবে দেখা হচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘কোনোকিছুই চূড়ান্ত নয়। আমরা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়াসহ বেশ কিছু বিকল্পের ব্যাপারে কাজ করছি। এসব নিয়ে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার অবস্থায় নেই আমরা। তবে, শিগগিরই এ ব্যাপারে ঘোষণা দেওয়া হবে।’

প্রতি বছর এসএসসি, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সাধারণত ফেব্রুয়ারি ও এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হয়। মহামারির কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চলতি বছর এসব পরীক্ষা নিতে পারেনি শিক্ষা বোর্ডগুলো। ধাপে ধাপে এ বন্ধ বাড়িয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।

গত কয়েক বছরে প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের এবং প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষার্থী এইচএসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়।

চলতি বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এসব পাবলিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভেবেছিল সরকার। যথাক্রমে ৬০ দিন ও ৮৪ দিন ক্লাস নিয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাদের।

কিন্তু, কোভিড পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকায় ক্লাস নেওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় গত মাস থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে মাউশি। এসব অ্যাসাইনমেন্ট স্কুল-কলেজে জমা দিতে বলা হয়।

গত ১৩ জুন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানান, মহামারি পরিস্থিতিতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব না হলে, সরকার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার কিছু বিকল্প ভেবে দেখছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাউশি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বেশ কিছু বিকল্পের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে ভাবছেন তারা। পূর্ববর্তী পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল ও অ্যাসাইনমেন্টের ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করার সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এসএসসির ফলাফলের ৫০ শতাংশ, জেএসসি পরীক্ষার ২৫ শতাংশ ও অ্যাসাইনমেন্টের ফলাফলের ২৫ শতাংশ সমন্বয় করে এইচএসসির ফলাফল তৈরি করা হতে পারে।

আর এসএসসির ফলাফল তৈরি করা হতে পারে জেএসসির ফলাফলের ৫০ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্টের ফলাফলের ৫০ শতাংশ সমন্বয় করে।

কর্মকর্তারা বলছেন, বিষয় সংখ্যা কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথাও ভাবছেন তারা। যেমন, বাংলা ও ইংরেজির একটি করে পত্রের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। এ দুটি বিষয়ের প্রত্যেকটিতে দুটি করে পত্রের পরীক্ষা নেওয়া হয়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ জানিয়েছেন, কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে তারা পরীক্ষা নেওয়া এবং অন্যান্য বিকল্পের ব্যাপারে কাজ করছেন।

তিনি জানান, তারা ইতোমধ্যে এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন এবং এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি নিয়ে কাজ করছেন।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply