১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুললেও বিশ্ববিদ্যালয় খুলছে না
করোনার কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে ১২ সেপ্টেম্বর খুলতে যাচ্ছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলবে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ও কলেজ। তবে ১২ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরো পড়ুন- ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সকল স্কুল-কলেজ খোলা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
জানা গেছে, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে মন্ত্রণালয় প্রস্তুত। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা আগামী ৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১৫ অক্টোবরের পর খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং মেডিক্যাল কলেজগুলো ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে খোলার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, সর্বশেষ সিদ্ধান্তে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। আমরা আশা করছি ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব ইনশাআল্লাহ। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে আমরা বসব। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের।
ডা. দীপু মনি বলেন, তাঁদের (বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ) সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তাঁরা চেয়েছেন অন্তত প্রত্যেক শিক্ষার্থীর যেন প্রথম ডোজ টিকা সম্পন্ন হয়। আমরা তখন বিশ্ববিদ্যালয় খোলার জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছিলাম। এখন আবার তাদের সঙ্গে কথা বলবো অক্টোবরের মাঝামাঝি খুলে দেওয়া যায় কিনা। আর তারা যদি আগেও খুলতে চায় খুলতে পারেন।
আরো পড়ুন- একাডেমিক কাউন্সিল চাইলে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারবে
এদিকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকও বলছেন, ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হলেও এখনই পুরোপুরিভাবে দেশের সব স্কুল-কলেজ চালু করা সম্ভব নয়। জেলার অনেক বিদ্যালয়ে এখনও অনেক সমস্যা আছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ সমস্যাগুলো তারা দূর করতে পারবেন।
এর আগে ২৬ আগস্ট করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
‘তবে এর আগে টিকা সংক্রান্ত তথ্য সব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছক আকারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) পাঠাতে হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয় শতভাগ টিকার আওতায় আসবে, সে বিশ্ববিদ্যালয় হলসহ সব কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’