আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেউ শিক্ষিত বেকার হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা ডিগ্রি নিয়ে বের হবে, তারা কেউ শিক্ষিত বেকার হবে না। শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল খেলার মাঠে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘আমার বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আন্তঃহল বক্তৃতা প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত আমরা একটি সম্পূর্ণ নতুন শিক্ষাক্রম শুরু করছি। আমরা আগামী বছর থেকে আমাদের যে নতুন শিক্ষাক্রম, সেটি নিয়ে ‘ট্রাই আউটে’ যাচ্ছি। এটিকে বিভিন্ন পর্যালোচনা করে পরিমার্জিত করে ২০২৩ সালে আমরা বাস্তবায়ন করব। ২০২৩ সাল থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে এটি পুরো দমে কাজ করবে। এই শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থীদের স্বশিখন ও প্রায়োগিক শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হবে।
দীপু মনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রয়োজন। কারণ আজকে আমরা যা শিখছি, সে শিক্ষা হয়ত দু’চার বছর পর আমরা কোনো কাজেই লাগাতে পারব না। তাই নতুন বিষয় শিখতে হবে, নতুন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। নতুন শিক্ষাক্রমটি আমরা একেবারেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক করছি। সেখানে বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে, কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। দক্ষ এবং যোগ্য মানবসম্পদ তৈরি করতে চাই আমরা, যারা হবে অভিযোজনে দক্ষ এবং সক্ষম। অর্থাৎ তারা যেকোনো পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে। পরীক্ষার চাপ যত কমানো যাবে, পড়াশোনার মান ততই ভালো হবে। তাই আমরাও এ পথেই হাঁটতে চাই। পুরো পড়াশোনাটা হবে শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক।
তিনি আরো বলেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা ডিগ্রি নিয়ে বের হবে, তারা কেউ শিক্ষিত বেকার হবে না। তারা কর্মক্ষম মানুষ হবে, নিজেরা উদ্যোক্তা হয়ে অন্যের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো অনেক বেশি গবেষণা করবে, নতুন জ্ঞান সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখবে, জ্ঞানের চর্চা করবে, মুক্তবুদ্ধির চর্চা করবে। নতুন নতুন ধারণা নিয়ে কাজ করা হবে এবং সেগুলো বাস্তব জীবনে কাজে লাগানো হবে।