শিক্ষা নিউজ

প্রতি পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার উদ্যোগের বাস্তবায়ন নেই

প্রতি পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার উদ্যোগের বাস্তবায়ন নেই। নতুন বাজেটে প্রতি পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে এমনটাই বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গ্রামকে শহরে রূপান্তর এবং প্রতি পরিবার থেকে চাকরি দেওয়া—এ দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েই এবারের বাজেট প্রণয়নের কথা ছিল। এই দুটি বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রবিবার (১০ মার্চ) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে প্রতি পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়া হবে।  এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।

অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ১৩ জুন বৃহস্পতিবার ১১তম বাজেট পেশ করেন সেখানে প্রতি পরিবার থেকে একজনকে  চাকরি দেওয়ার উদ্যোগ সম্পর্কে কোন বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি। বরং বাজেটে ভিন্ন দিক পরিলক্ষিত হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানো হবে।

আরো পড়ুন- ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করে বাজেটের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেছেন। রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মতো করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। গবেষণা সংস্থা সিপিডি বলেছে, বাজেটে ধনীদের জন্য অনেক কিছু থাকলেও কৃষক ও সাধারণ মানুষের জন্য কিছু নেই।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি কর্মসংস্থানের কথা আমরা বলেছি, চাকরি দেয়ার কথা বলিনি। শুক্রবার বিকাল ৩টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থানের কথা আমরা বলেছি, চাকরি দেয়ার কথা বলিনি। ১০০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রেখেছি। শিক্ষার কথা বলেছি; প্রযুক্তিগত শিক্ষা, কারিগরি শিক্ষা, ভোকেশনাল ট্রেনিং। আর আমরা চাই ট্রেনিং নিয়ে শিক্ষিত হয়ে নিজের কাজ নিজে করতে শিখুক।

তিনি বলেন, কাজেই ৩ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। আর আছে বলেই আজ ধান কাটার লোক পাওয়া যায় না। ধান কাটার জন্য এখন লোক পাওয়া যাচ্ছে না কেন? যদি এত বেশি বেকার থাকে; তাহলে ধান কাটার লোকের অভাব হতো না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, একজন মানুষ একদিন ধান কাটলে ৪০০-৫০০ টাকা পাবে। আবার তিন বেলা খাবার, দুই বেলা খাবে আর এক বেলা আবার বাড়ি নিয়ে যাবে। এরপরও কৃষক ধান কাটার জন্য লোক খুঁজে পায় না। কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে বলেই এখন ধান কাটার লোকের অভাব হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কর্মসংস্থানের কথা বলি, আর সবার ধারণা হয়ে যায় চাকরি দেয়া। ১৬ কোটি মানুষকে কি চাকরি দেয়া যায়? পৃথিবীর কোনো দেশ দেয়? কর্মসংস্থান হচ্ছে, মানুষ যেন কাজ করে খেতে পারে, সেই সুযোগটা সৃষ্টি করা।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়। বাজেটের আকার ধরা হয় পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। বাজেটে বেকারত্ব নিরসনে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়, শ্রমবাজারে বিপুল কর্মক্ষম জনশক্তির আগমন, অন্যদিকে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে শ্রমিকের চাহিদা কমে যাওয়ার বিষয়টি সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে এবং এর সমাধানে নানাবিধ পদক্ষেপ নিচ্ছে।

সরকার শিল্পখাতে কর্মসৃজনের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ব্যবসা ও বিনিয়োগ পরিবেশ আধুনিকায়ন, শ্রমিকের সুরক্ষা জোরদার করা এবং পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর অধিক হারে কর্মে প্রবেশ উপযোগী আইন-বিধি, নীতি কৌশল সংস্কারের জন্য তিন বছর মেয়াদে কার্যক্রম শুরু করেছে।

বাজেট প্রস্তাবে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে ১০টি আইন-বিধি, নীতি কৌশল প্রণয়ন অথবা সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দুই বছরে অবশিষ্ট সংস্কার কাজ সম্পাদন করে ক্রমবর্ধমান জনশক্তির জন্য মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে।

এছাড়া বিশেষ জনগোষ্ঠীর প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে তিন কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্বের অবসান ঘটানো হবে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group