এয়ারটেল ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক নাম্বার Airtel Internet Balance Check Number
এয়ারটেল ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক নাম্বার Airtel Internet Balance Check Number Airtel ডেটা/ইন্টারনেট ব্যালেন্স USSD কোড ব্যবহার করে চেক করা যেতে পারে।
এয়ারটেল ইন্টারনেট ব্যালেন্স চেক নাম্বার Airtel Internet Balance Check Number
একক সংখ্যার ইউএসএসডি কোড
১ ডিজিটের কোড ডায়াল করে সহজেই উপভোগ করুন আপনার পছন্দসই কিছু সার্ভিস। নীচের তালিকা দেখুন:
একক ইউএসএসডি কোড সার্ভিস সমূহ
০# মিনিট বান্ডেল
*১# ব্যলান্স চেক/বকেয়া বিল
*২# নিজ মোবাইল নাম্বার দেখা
৩# ডাটা (এমবি) চেক
*৪# ইন্টারনেট প্যাক কেনা
*৫# জনপ্রিয় ভ্যাস বন্ধ ও চালু
*৬# নিজ প্যাকেজ ও কল ট্যারিফ
*৭# প্রমোশনাল এসএমএস বন্ধ ও চালু
*৮# ঝটপট ব্যালেন্স/এয়ার ক্রেডিট
*৯# সকল ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস বন্ধের রিকোয়েস্ট
*১২৩# সকল সার্ভিস দেখা
বাড়ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি। করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হচ্ছে। আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত এ ছুটির পর এই ছুটির শেষ দিনে আবারো ছুটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানা গেছে।। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আলোচনা করে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ২৯ জুলাই সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত ছুটি বাড়ানো হয়। এই ছুটির শেষ দিনে আবারো ছুটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবার আভাস দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে উদ্ভুত পরিবেশ অনুকূলে এলেই সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা চিন্তা করবে। পরীক্ষা নেয়ার মত অনুকুল পরিবেশ তৈরি হলে ১৫ দিন সময় দিয়ে স্থগিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে তার ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে, যাতে পরীক্ষার্থীরাও জেনে প্রস্তুতি নিতে পারে। অনুকূল পরিবেশ হলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা চিন্তা করবে সরকার জানান শিক্ষামন্ত্রী।
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আপনারা জানেন দেশের এই করোনা পরিস্থিতিতে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতি আপনারা সবাই অবহিত। প্রায় ১৪ লাখ এইচএসসি পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম, এখনো আছি। ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীর সঙ্গে আরও কয়েক লাখ লোকবল জড়িত। এত সংখ্যক মানুষকে আমরা ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না।
জানা গেছে, সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার প্রস্তুতি হিসেবে সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করার কাজ শুরু করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর বয়স ও শ্রেণি অনুযায়ী জ্ঞান অর্জনের বিষয় সামনে রেখে সিলেবাস সংশোধন করা হবে বলে বলেও জানা গেছে। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার পক্ষে অনেকেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, এ মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা পরীক্ষা নেয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। তাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আগামীকাল দুই মন্ত্রণালয় বসে সিদ্ধান্ত নেবো। করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে আগেই। এছাড়া চলতি বছরের মার্চে যে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল করোনার কারণে সেটিও শুরু করা যায়নি।আগামী নভেম্বরে পিইসি-ইবতেদায়ি এবং জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা আয়োজন হওয়ার কথা থাকলেও এসব পরীক্ষা পিছিয়ে নিয়ে ডিসেম্বরে আয়োজন করা হতে পারে। করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক না হলে সেপ্টেম্বরে খুলতে না পারলে শিক্ষাবর্ষ দুই মাস বাড়ানোর বিকল্প চিন্তাও আছে জানা গেছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বুধবার ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সেপ্টেম্বরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। কর্মদিবস বিবেচনায় নিয়ে সিলেবাস সংক্ষেপ হচ্ছে। এ নিয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কাজ শুরু করেছে বলে জানান তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা মাথায় রেখে আমরা সকল সিদ্ধান্ত নেব। ভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তা করা হবে। বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমরা বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। নতুন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে জানান তিনি।
অনির্ধারিত ছুটি পুষিয়ে নিতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরি, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের জন্য সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে করোনা মহামারি কঠিন আকারে ধারণ করেছে। প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার মানুষ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। তার সঙ্গে প্রায় দিনই ৪০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। এসব বিষয় আমলে নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়।