১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারী পরীক্ষার তারিখ
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারী পরীক্ষা আগামী মার্চে আয়োজন করা হবে। ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী ১৫ মার্চ আয়োজন করা হতে পারে। প্রথমদিন স্কুল পর্যায়ের এবং দ্বিতীয়দিন কলেজ পর্যায়ের পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।
গত ৪ নভেম্বর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, প্রিলিমিনারিতে ১০০ নম্বরের বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে প্রার্থীদের। এই ধাপে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানে ২৫ করে মোট ১০০ নম্বর। পাস নম্বর ৪০। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১, ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর করে কাটা পড়বে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পাস নম্বর ৪০%। তিনটি পর্যায়ে অর্থাৎ স্কুল পর্যায়, স্কুল পর্যায়-২ ও কলেজ পর্যায়ে পৃথক প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হবে।
লিখিত পরীক্ষায় প্রার্থীদের নির্ধারিত স্ব-স্ব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা দিতে হবে। এই নিবন্ধনের মাধ্যমে প্রার্থীরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে চাকরির সুযোগ পাবেন। অষ্টাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা ২০২৩ এর প্রিলিমিনারি টেস্টের তারিখ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হবে। এরপরই ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আয়োজনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারী পরীক্ষা আগামী মার্চে নিতে চায় বলে জানিয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। সে লক্ষ্যেই এগুচ্ছে কর্তৃপক্ষ। কক্ষ সংকটের কারণে এতোদিন পরীক্ষার আয়োজন করতে পারেনি তারা। এতে অনিশ্চয়তায় পড়ে প্রায় ১২ লাখ প্রার্থী।
১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের ফল নিয়ে ব্যস্ত কর্মকর্তারা। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশপ্রাপ্তদের এবারই প্রথম পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে। যা নিয়ে চরম ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মচারী ও কর্মকর্তারা। সবশেষ ফাইলের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে আছে বলে জানিয়েছেন তারা। এরপর ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন প্রিলিমিনারির পরীক্ষা নেয়া হবে৷
১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। এতে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দ্বিতীয় ধাপে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরবর্তী ধাপে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, বেসরকারি স্কুল-কলেজ, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগে সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত এনটিআরসিএ কেবল সনদ প্রদান করতো। সনদের ভিত্তিতে নিয়োগ দিতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠায় ২০১৫ সাল থেকে নিবন্ধন সনদ দেওয়ার পাশাপাশি মেধারভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশও করছে এনটিআরসিএ।