এইচএসসি ২০২০ পাসের সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থী বৃত্তি পাচ্ছেন
২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ জন্য ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসিতে উত্তীর্ণ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের তথ্য চেয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর থেকে শিক্ষা বোর্ডগুলোতে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন- ষষ্ঠ থেকে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের আর্থিক অনুদানের আবেদন বিজ্ঞপ্তি
অধিদপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, রাজস্ব খাতভুক্ত মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তির কোটা বণ্টনের জন্য ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার উত্তীর্ণ নিয়মিত শিক্ষার্থীদের তথ্যাদি নমুনা ছক অনুসারে পাঠাতে বলা হয়েছে। এ তথ্য আগামী ১১ মার্চের মধ্যে সফট কপি ই-মেইলে (dd_plan@yahoo.com) এবং হার্ড কপি মাউশির মহাপরিচালক বরাবর পাঠাতে বলা হয়েছে।
অধিদপ্তরের দেয়া ছকে প্রতিটি বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা, মোট উত্তীর্ণ নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, জিপিএ-৫ প্রাপ্ত নিয়মিত উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং জিপিএ ৫ ব্যতীত উত্তীর্ণ নিয়মিত পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা চাওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মাউশির উপ-পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের রাজস্বখাত থেকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। এ জন্য আমরা সব শিক্ষা বোর্ডে যোগ্য ও নিয়মিত শিক্ষার্থীদের তালিকা পাঠাতে বলেছি। সেখান থেকে ১০ হাজার ৫০০ জনকে নির্বাচন করা হবে। তার মধ্যে মেধা কোটায় ১ হাজার ১২৫ জন ও সাধারণ কোটায় ৯ হাজার ৩৭৫ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। এ সংখ্যা ১০টি শিক্ষা বোর্ডে ভাগ করে দেয়া হবে। তারা যোগ্যদের মধ্যে এ বৃত্তি বণ্টন করবে।
তিনি আরও বলেন, এইচএসসি পর্যায়ে মেধা কোটায় মাসিক ৮২৫ টাকা, তার সঙ্গে এককালীন ১ হাজার ৮০০ টাকা এবং সাধারণ কোটায় মাসিক ৩৭৫ টাকা ও এককালীন ৭৫০ টাকা করে প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হলে সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হবে। তারপর এ অর্থ প্রদান করা হবে। বৃত্তি প্রদানে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে জিপিএ-৫ ধারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে জানান তিনি।